ছবি : সংগৃহীত
আগরতলা, ২৯ জুন : গতকাল বুধবার ইসকনের উল্টো রথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বাবা ও ছেলে রয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে ছয় জনে অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় আজ কুমারঘাট থানায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ঝিরঝিরে বৃষ্টি শেষে উল্টো রথ নিয়ে বের হয় ইসকন। সামনে এবং পেছনে প্রচুর মানুষের ভীড় ছিল। সেই রথ ফিরে আসার সময় কুমারঘাট ব্লক চৌমুহনী এলাকায় ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের সংস্পর্শে চলে। রথের চূড়া ওই তারে লেগে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে রথের সিঁড়িতে থাকা মানুষ বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। মুহুর্তের মধ্যেই সেখানে আগুন ধরে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত মানুষের চিৎকারে চারিদিকে হইচই শুরু হয়ে যায়। চোখের আপনজনের আগুনে ঝলসে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ আর্তনাদে ফেঁটে পড়েন। খবর পেয়ে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হয় ঠিকই। কিন্তু তার আগেই বাবা ও ছেলে সহ ৬ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে নেয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় আরও একজনের। নিহতদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় জানা গেছে । তারা হলেন সীমা পাল (৩৩), সুস্মিতা বৈশ্য (৩০), রূপক দাস (৪০), সোমা বিশ্বাস (২৮), রোহন দাস (৯), শান মালাকার (৯)। তাঁদের মধ্যে রূপক দাস এবং রোহন দাস সম্পর্কে বাবা-ছেলে হন। এদিকে, আহতদের মধ্যে ৯ জনকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে এবং ১৮ জনকে কুমারঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছয় জনকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল থেকে আগরতলায় জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নেভায়।
এদিকে এ ঘটনায় প্রয়াত রূপক দাসের ভাই কাঞ্চনপুর নিবাসী পঞ্চম দাস আজ কুমারঘাট থানায় রথযাত্রার আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৪৬/২০২৩। পুলিশ ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধি ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। সাথে তিনি যোগ করেন, ময়না তদন্তের পর মৃতদেহগুলি পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে, কুমারঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গতকালের ওই রোমহর্ষক ঘটনার জন্য কার্যত রথযাত্রার আয়োজকদের দায়ী করেছেন।
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কমল দেববর্মা বলেন, গতকাল ইসকন উল্টো রথের নির্দিষ্ট যাত্রাপথের বদলে অন্য রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে গেছে। তাঁর দাবি, কুমারঘাট মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় জগন্নাথের মাসির বাড়ি থেকে নিদেবী চৌমুহনী ইসকন মন্দিরে উল্টো রথের অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, আয়োজকরা উল্টো রথ ব্লক চৌমুহনী নিয়ে গিয়েছিলেন। তাতেই, বিপত্তি দেখা দিয়েছে। তাঁর সাফ কথা, ব্লক চৌমুহনী দিয়ে উল্টো রথ যাওয়ার অনুমতি ছিল না।
আগরতলা, ২৯ জুন : গতকাল বুধবার ইসকনের উল্টো রথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বাবা ও ছেলে রয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে ছয় জনে অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় আজ কুমারঘাট থানায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ঝিরঝিরে বৃষ্টি শেষে উল্টো রথ নিয়ে বের হয় ইসকন। সামনে এবং পেছনে প্রচুর মানুষের ভীড় ছিল। সেই রথ ফিরে আসার সময় কুমারঘাট ব্লক চৌমুহনী এলাকায় ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের সংস্পর্শে চলে। রথের চূড়া ওই তারে লেগে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে রথের সিঁড়িতে থাকা মানুষ বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। মুহুর্তের মধ্যেই সেখানে আগুন ধরে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত মানুষের চিৎকারে চারিদিকে হইচই শুরু হয়ে যায়। চোখের আপনজনের আগুনে ঝলসে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ আর্তনাদে ফেঁটে পড়েন। খবর পেয়ে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হয় ঠিকই। কিন্তু তার আগেই বাবা ও ছেলে সহ ৬ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে নেয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় আরও একজনের। নিহতদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় জানা গেছে । তারা হলেন সীমা পাল (৩৩), সুস্মিতা বৈশ্য (৩০), রূপক দাস (৪০), সোমা বিশ্বাস (২৮), রোহন দাস (৯), শান মালাকার (৯)। তাঁদের মধ্যে রূপক দাস এবং রোহন দাস সম্পর্কে বাবা-ছেলে হন। এদিকে, আহতদের মধ্যে ৯ জনকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে এবং ১৮ জনকে কুমারঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছয় জনকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল থেকে আগরতলায় জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নেভায়।
এদিকে এ ঘটনায় প্রয়াত রূপক দাসের ভাই কাঞ্চনপুর নিবাসী পঞ্চম দাস আজ কুমারঘাট থানায় রথযাত্রার আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৪৬/২০২৩। পুলিশ ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধি ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। সাথে তিনি যোগ করেন, ময়না তদন্তের পর মৃতদেহগুলি পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে, কুমারঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গতকালের ওই রোমহর্ষক ঘটনার জন্য কার্যত রথযাত্রার আয়োজকদের দায়ী করেছেন।
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কমল দেববর্মা বলেন, গতকাল ইসকন উল্টো রথের নির্দিষ্ট যাত্রাপথের বদলে অন্য রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে গেছে। তাঁর দাবি, কুমারঘাট মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় জগন্নাথের মাসির বাড়ি থেকে নিদেবী চৌমুহনী ইসকন মন্দিরে উল্টো রথের অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, আয়োজকরা উল্টো রথ ব্লক চৌমুহনী নিয়ে গিয়েছিলেন। তাতেই, বিপত্তি দেখা দিয়েছে। তাঁর সাফ কথা, ব্লক চৌমুহনী দিয়ে উল্টো রথ যাওয়ার অনুমতি ছিল না।