কলকাতা, ২১ জুলাই : ডলার সংকটের মাঝেই বড় সুখবর। বাংলাদেশে ঢুকছে প্রচুর রেমিট্যান্স। প্রবাসীদের আয়ে ঘুরবে অর্থনীতি। বিদেশের মাটিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাদের কথা কজন ভাবে? এই প্রবাসীরা শুধুই কি টাকা ইনকামের মেশিন নাকি এদেরও মন বলে কিছু আছে? এদের জীবন জানলে চোখে জল আসবে। এরা পোড়া মোমবাতির মতো। নিজেরা জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু আলো দেয় নিজের পরিবারকে, নিজের দেশের অর্থনীতিকে। এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে প্রথম কলকাতা।
বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের পালে এখন দুর্দান্ত গতি। নেপথ্যে প্রবাসীদের আয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসের মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রায় ৯৯ কোটি ৫৫ লক্ষ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। আশা করা হচ্ছে, এভাবেই রেমিট্যান্স আসতে থাকলে এই মাসের শেষেই তা প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ভাবতে পারছেন, অঙ্কটা ঠিক কতটা। দেশটা যেভাবে ডলার সংকটে ভুগছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এটা কিন্তু কম বড় সুখবর নয়। প্রবাসী আয়ে সবথেকে এগিয়ে ভারত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত আর পাকিস্তানের পরে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। দেশটার টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থা সামলাতে এই প্রবাসীদের আয় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, ভারত তুলনামূলক ভাবে প্রশিক্ষিত কর্মী বেশি পাঠায়। তাই প্রবাসী আয়টাও অনেকটা। তবে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ও কম নয়, জিডিপির প্রায় ৪.৬%।
বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫ টি দেশের অর্থনীতির মধ্যে একটা হবে। ২০৩৩ সালের মধ্যে পিছনে ফেলে দেবে ভিয়েতনাম, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার বহু দেশকে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি যে কারণ, তার মধ্যে প্রধান প্রবাসী আয়। কাঁচামাল আমদানির খরচটা বাদ দিলে পোশাক খাতের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় প্রবাসীদের পাঠানোর রেমিট্যান্স থেকে।
কিন্তু এই প্রবাসীদের অবস্থা কেমন? প্রশিক্ষিত আর দক্ষদের বাদ দিলে কম বেশি সবার অবস্থা একই। নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটি কিন্তু সবার জন্য সুখকর হয় না। বহু প্রবাসীকে নানান ভোগান্তি আর বঞ্চনার শিকার হতে হয়। অথচ তাদের দুঃখ-কষ্ট বোঝার জন্য কেউ থাকে না। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার যুবক নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। আবার কেউ বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথে যাচ্ছেন নিরুদ্দেশের যাত্রায়। প্রায় ১৬২টি দেশে বাংলাদেশের এক কোটি প্রবাসীর বসবাস। যারা দিন রাত কাজ করে পরিবারের একটু সুখের আশায় পরিশ্রম করে চলেছেন। কাজের ব্যস্ততার মাঝে নিজেদের প্রতি কোন খেয়ালই থাকে না। যখন বাংলাদেশে ২ ঈদের খুশির উৎসব চলে, তখনও অনেক প্রবাসী বাড়ি ফিরতে পারেন না। কখন মাস শেষে বেতন পাবেন ,আর সেই বেতন বাড়িতে পাঠাবেন সেই চিন্তাতেই তারা অস্থির। অনেক সময় শোনা যায়, বহু প্রবাসী ভাই শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন। কেউ বাবা মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। কফিন বন্দি দেহ আসে বাড়িতে। কত টাকা এসেছে তা জানার জন্য পাড়া-প্রতিবেশীদের মনে তখন কৌতূহলের শেষ নেই। কখনো বা প্রবাসীদের মৃতদেহ পড়ে থাকে হিমঘরে। বাড়ি পর্যন্ত এসে পৌঁছায় না। রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে কুয়েতে প্রায় ২১৭ জন, ২০১৮ সালে প্রায় ২৫৩ জন প্রবাসী মারা গেছেন।
প্রশ্নটা এখানেই , এই বঞ্চনার শেষ কোথায়? তারা কি শুধু দিয়েই যাবে ? পাবে না কিছু ? প্রবাসীদের টাকা শুধু কাগজের মূল্য নয়, লেগে আছে তাদের ঘাম, চোখের জল আর স্বপ্ন। কারোর স্বপ্ন পূরণ হয়, আবার কারোর স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটে।
বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের পালে এখন দুর্দান্ত গতি। নেপথ্যে প্রবাসীদের আয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসের মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রায় ৯৯ কোটি ৫৫ লক্ষ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। আশা করা হচ্ছে, এভাবেই রেমিট্যান্স আসতে থাকলে এই মাসের শেষেই তা প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ভাবতে পারছেন, অঙ্কটা ঠিক কতটা। দেশটা যেভাবে ডলার সংকটে ভুগছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এটা কিন্তু কম বড় সুখবর নয়। প্রবাসী আয়ে সবথেকে এগিয়ে ভারত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত আর পাকিস্তানের পরে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। দেশটার টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থা সামলাতে এই প্রবাসীদের আয় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, ভারত তুলনামূলক ভাবে প্রশিক্ষিত কর্মী বেশি পাঠায়। তাই প্রবাসী আয়টাও অনেকটা। তবে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ও কম নয়, জিডিপির প্রায় ৪.৬%।
বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫ টি দেশের অর্থনীতির মধ্যে একটা হবে। ২০৩৩ সালের মধ্যে পিছনে ফেলে দেবে ভিয়েতনাম, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার বহু দেশকে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি যে কারণ, তার মধ্যে প্রধান প্রবাসী আয়। কাঁচামাল আমদানির খরচটা বাদ দিলে পোশাক খাতের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় প্রবাসীদের পাঠানোর রেমিট্যান্স থেকে।
কিন্তু এই প্রবাসীদের অবস্থা কেমন? প্রশিক্ষিত আর দক্ষদের বাদ দিলে কম বেশি সবার অবস্থা একই। নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটি কিন্তু সবার জন্য সুখকর হয় না। বহু প্রবাসীকে নানান ভোগান্তি আর বঞ্চনার শিকার হতে হয়। অথচ তাদের দুঃখ-কষ্ট বোঝার জন্য কেউ থাকে না। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার যুবক নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। আবার কেউ বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথে যাচ্ছেন নিরুদ্দেশের যাত্রায়। প্রায় ১৬২টি দেশে বাংলাদেশের এক কোটি প্রবাসীর বসবাস। যারা দিন রাত কাজ করে পরিবারের একটু সুখের আশায় পরিশ্রম করে চলেছেন। কাজের ব্যস্ততার মাঝে নিজেদের প্রতি কোন খেয়ালই থাকে না। যখন বাংলাদেশে ২ ঈদের খুশির উৎসব চলে, তখনও অনেক প্রবাসী বাড়ি ফিরতে পারেন না। কখন মাস শেষে বেতন পাবেন ,আর সেই বেতন বাড়িতে পাঠাবেন সেই চিন্তাতেই তারা অস্থির। অনেক সময় শোনা যায়, বহু প্রবাসী ভাই শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন। কেউ বাবা মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। কফিন বন্দি দেহ আসে বাড়িতে। কত টাকা এসেছে তা জানার জন্য পাড়া-প্রতিবেশীদের মনে তখন কৌতূহলের শেষ নেই। কখনো বা প্রবাসীদের মৃতদেহ পড়ে থাকে হিমঘরে। বাড়ি পর্যন্ত এসে পৌঁছায় না। রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে কুয়েতে প্রায় ২১৭ জন, ২০১৮ সালে প্রায় ২৫৩ জন প্রবাসী মারা গেছেন।
প্রশ্নটা এখানেই , এই বঞ্চনার শেষ কোথায়? তারা কি শুধু দিয়েই যাবে ? পাবে না কিছু ? প্রবাসীদের টাকা শুধু কাগজের মূল্য নয়, লেগে আছে তাদের ঘাম, চোখের জল আর স্বপ্ন। কারোর স্বপ্ন পূরণ হয়, আবার কারোর স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটে।