রংপুরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে উপস্থিত জনতাকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা / ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা, ২ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় এসে রংপুরের মঙ্গা দূর করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার আসলে মঙ্গা থাকে না। আর কখনই রংপুরে দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গা আসবে না।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে রংপুরের জিলা স্কুল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে নেতা-কর্মীরা তাকে বরণ করে করে নেন। জনসভাস্থলে গিয়ে শুরুতেই শেখ হাসিনা প্রায় ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসে রংপুরের মঙ্গা দূর করেছে। রেললাইনসহ বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাইন, রাস্তাঘাটের উন্নতি আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। মা-বোনেরা ঘরে বসে চিকিৎসা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সারাদেশের ভূমিহীন মানুষদের ঘর করে দিচ্ছি। রংপুর বিভাগে কোথাও ভূমিহীন থাকবে না। আওয়ামীলীগ সরকার তাদের সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দিতে পারে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমরা চাই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ ভোট দিতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে লুটপাট করে। তারা ক্ষমতায় লুটপাট ছাড়া কি করেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কিছু করেনি। একমাত্র নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন নদী খনন করেছি। সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ করেছি। তিস্তা মহাপরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করে দিবো। এছাড়া রংপুর সুগার মিল চালু করণ, রংপুর বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
রংপুরের সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুচলেকা নিয়ে লণ্ডনে পালিয়ে যাওয়া নেতা হলো তারেক রহমান। আরেক নেতা খালেদা জিয়ার যোগ্যতা কি আছে। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে তিনিও আজ নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাদের আর নেতা কে। আমাদের নেতা শেখ হাসিনা। আন্দোলন, নির্বাচনের নেতা শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ পালাবে না। আমাদের শিকড় মাটির গভীরে। রাজপথেই ফয়সালা হবে।
কাদের আরও বলেন, বিএনপির একদফা খাদে পড়ে গেছে। আর পারবে না। সোহরাওয়ার্দীতে তাদের হাটু ভেঙে গেছে। বুধবার (২ আগস্ট) বেলা ১২টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার কার্যক্রম। জাতীয় সঙ্গীত শেষে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়। এর আগে মহাসমাবেশে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১টা ১৩ মিনিটে রংপুরে পৌঁছেন। তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাস হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে যান তিনি। সেখানে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জনসমাবেশে যোগ দেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসন গ্রহণ করার পর বক্তব্য রাখেন, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন (বকুল)।
তারও আগে বক্তব্য রাখেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অনেকে।
ঢাকা, ২ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় এসে রংপুরের মঙ্গা দূর করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার আসলে মঙ্গা থাকে না। আর কখনই রংপুরে দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গা আসবে না।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে রংপুরের জিলা স্কুল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে নেতা-কর্মীরা তাকে বরণ করে করে নেন। জনসভাস্থলে গিয়ে শুরুতেই শেখ হাসিনা প্রায় ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসে রংপুরের মঙ্গা দূর করেছে। রেললাইনসহ বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাইন, রাস্তাঘাটের উন্নতি আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। মা-বোনেরা ঘরে বসে চিকিৎসা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সারাদেশের ভূমিহীন মানুষদের ঘর করে দিচ্ছি। রংপুর বিভাগে কোথাও ভূমিহীন থাকবে না। আওয়ামীলীগ সরকার তাদের সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দিতে পারে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমরা চাই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ ভোট দিতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে লুটপাট করে। তারা ক্ষমতায় লুটপাট ছাড়া কি করেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কিছু করেনি। একমাত্র নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন নদী খনন করেছি। সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ করেছি। তিস্তা মহাপরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করে দিবো। এছাড়া রংপুর সুগার মিল চালু করণ, রংপুর বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
রংপুরের সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুচলেকা নিয়ে লণ্ডনে পালিয়ে যাওয়া নেতা হলো তারেক রহমান। আরেক নেতা খালেদা জিয়ার যোগ্যতা কি আছে। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে তিনিও আজ নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাদের আর নেতা কে। আমাদের নেতা শেখ হাসিনা। আন্দোলন, নির্বাচনের নেতা শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ পালাবে না। আমাদের শিকড় মাটির গভীরে। রাজপথেই ফয়সালা হবে।
কাদের আরও বলেন, বিএনপির একদফা খাদে পড়ে গেছে। আর পারবে না। সোহরাওয়ার্দীতে তাদের হাটু ভেঙে গেছে। বুধবার (২ আগস্ট) বেলা ১২টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার কার্যক্রম। জাতীয় সঙ্গীত শেষে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়। এর আগে মহাসমাবেশে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১টা ১৩ মিনিটে রংপুরে পৌঁছেন। তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাস হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে যান তিনি। সেখানে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জনসমাবেশে যোগ দেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসন গ্রহণ করার পর বক্তব্য রাখেন, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন (বকুল)।
তারও আগে বক্তব্য রাখেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অনেকে।