ঢাকা, ১৬ আগস্ট (ঢাকা পোস্ট) : চার শ্রেণিকে বিবেচনায় নিয়ে সোমবার (১৪ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখানে চারটি পৃথক স্কিম রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে বিধিমালায় মোট ১৮টি ধারা রাখা হয়েছে। পৃথক চারটি স্কিম হলো– প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম ও স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য সমতা স্কিম।
এসব স্কিমে কত জমায় সর্বোচ্চ কত টাকা পাওয়া যাবে?
(ক) প্রবাস স্কিম (প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য)
বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক মাসিক ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার ও ১০ হাজার টাকা চাঁদার সমপরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাসী ব্যক্তি দেশে ফেরার পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করতে পারবেন। প্রয়োজনে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে, পেনশন স্কিমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় মুদ্রায় পেনশন প্রাপ্য হবেন।
প্রবাস স্কিমে একজন প্রবাসী যদি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ৪২ বছর জমা দেন, এরপর তিনি মাসে পাবেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা করে।
৭ হাজার ৫০০ টাকা করে জমা দিলে মাসে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯১ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা জমা দিলে মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে।
(খ) প্রগতি স্কিম (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য)
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক মাসিক ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের এই স্কিমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্কিমের চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মচারী এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দেবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই স্কিমে অংশগ্রহণ না করলে, সেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বেসরকারি কোনো চাকরিজীবী যদি মাসে ৫ হাজার টাকা করে ৪২ বছর জমা দেন, তাহলে তিনি মেয়াদ শেষে মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে।
৩ হাজার টাকা জমায় মাসে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৯৬ টাকা এবং ২ হাজার টাকা জমায় মেয়াদ শেষে প্রতি মাসে পাবেন ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকা করে।
(গ) সুরক্ষা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য)
অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যেমন– কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি শ্রেণির ব্যক্তি মাসিক ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সুরক্ষা স্কিমে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে ৪২ বছর জমা দিলে প্রতি মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে।
৩ হাজার টাকা জমায় প্রতি মাসে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৯৬ টাকা, ২ হাজার টাকা জমায় প্রতি মাসে ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকা এবং ১ হাজার টাকা জমায় মেয়াদ শেষে প্রতি মাসে পাবেন ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে।
(ঘ) সমতা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য অংশ প্রদায়ক পেনশন)
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে সময়ে সময়ে প্রকাশিত আয়সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা (যাদের বর্তমান আয়সীমা বাৎসরিক অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) মাসিক ১ হাজার চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এক হাজার টাকার মধ্যে চাঁদা দাতা ৫০০ টাকা ও সরকারি অংশ ৫০০ টাকা হবে।
অর্থাৎ নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্ধারিত সমতা স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের মাসিক চাঁদার অর্ধেক দেবে সরকার। এক্ষেত্রে একজন অংশগ্রহণকারীকে মাসে দিতে হবে ৫০০ টাকা, এর বিপরীতে সরকার দেবে আরও ৫০০ টাকা।
এভাবে কেউ যদি ৪২ বছর জমা দেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি মাসে পেনশন পাবেন ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে।
এসব স্কিমে কত জমায় সর্বোচ্চ কত টাকা পাওয়া যাবে?
(ক) প্রবাস স্কিম (প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য)
বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক মাসিক ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার ও ১০ হাজার টাকা চাঁদার সমপরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাসী ব্যক্তি দেশে ফেরার পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করতে পারবেন। প্রয়োজনে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে, পেনশন স্কিমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় মুদ্রায় পেনশন প্রাপ্য হবেন।
প্রবাস স্কিমে একজন প্রবাসী যদি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ৪২ বছর জমা দেন, এরপর তিনি মাসে পাবেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা করে।
৭ হাজার ৫০০ টাকা করে জমা দিলে মাসে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯১ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা জমা দিলে মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে।
(খ) প্রগতি স্কিম (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য)
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক মাসিক ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের এই স্কিমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্কিমের চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মচারী এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দেবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই স্কিমে অংশগ্রহণ না করলে, সেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বেসরকারি কোনো চাকরিজীবী যদি মাসে ৫ হাজার টাকা করে ৪২ বছর জমা দেন, তাহলে তিনি মেয়াদ শেষে মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে।
৩ হাজার টাকা জমায় মাসে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৯৬ টাকা এবং ২ হাজার টাকা জমায় মেয়াদ শেষে প্রতি মাসে পাবেন ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকা করে।
(গ) সুরক্ষা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য)
অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যেমন– কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি শ্রেণির ব্যক্তি মাসিক ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সুরক্ষা স্কিমে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে ৪২ বছর জমা দিলে প্রতি মাসে পাবেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে।
৩ হাজার টাকা জমায় প্রতি মাসে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৯৬ টাকা, ২ হাজার টাকা জমায় প্রতি মাসে ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকা এবং ১ হাজার টাকা জমায় মেয়াদ শেষে প্রতি মাসে পাবেন ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে।
(ঘ) সমতা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য অংশ প্রদায়ক পেনশন)
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে সময়ে সময়ে প্রকাশিত আয়সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা (যাদের বর্তমান আয়সীমা বাৎসরিক অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) মাসিক ১ হাজার চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এক হাজার টাকার মধ্যে চাঁদা দাতা ৫০০ টাকা ও সরকারি অংশ ৫০০ টাকা হবে।
অর্থাৎ নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্ধারিত সমতা স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের মাসিক চাঁদার অর্ধেক দেবে সরকার। এক্ষেত্রে একজন অংশগ্রহণকারীকে মাসে দিতে হবে ৫০০ টাকা, এর বিপরীতে সরকার দেবে আরও ৫০০ টাকা।
এভাবে কেউ যদি ৪২ বছর জমা দেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি মাসে পেনশন পাবেন ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে।