হবিগঞ্জ, ১৯ আগস্ট : খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবীতে হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে ভন্ডুল হয়েছে। শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর চিড়াখানা সড়ক এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধলে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সহস্রাধিক রাউন্ড বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনসহ দুই শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জমায়েত হন। পূর্ব থেকেই জেলা বিএনপির অফিসের সামনে চিড়িয়াখানা এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিকেল ৫টার দিকে শায়েস্তানগর এলাকা থেকে ছাত্রদলের ব্যানারে একটি বিশাল মিছিল শহরের দিকে এগুলে পুলিশ প্রধান সড়ক থেকে সড়ে গিয়ে তাদের দলীয় অফিসের রাস্তায় যাওয়ার অনুরোধ করে। পুলিশের বাধা না মেনে প্রধান সড়কে মিছিল করতে চাইলে উভয় পক্ষের মাঝে শুরু হয় সংঘর্ষ।
পুলিশ মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করতে বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তার পাশে রাখা নির্মাণ কাজের পাথরের স্তুপ থেকে পাথর নিয়ে পুলিশের উপর নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় ট্রাফিক পয়েন্ট ও শায়েস্তানগর তেমুনিয়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় আগুন জালিয়ে দেয় এবং পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তখন ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় এসে অভিযান চালায়। সন্ধ্যার আগে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসে। এসময় পুলিশের বাধার মুখেই বিএনপির অফিসের সামনে চলে কর্মসূচি। বিএপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধলে ওই এলাকার লোকজন দিক বিদিক ছুটতে থাকে। রাস্তার পাশের সকল দোকান পাট বন্ধ করে দেয়া হয়।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আফজাল হোসেন জানান, পুলিশের গুলিতে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মাঝে পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়াল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, পৌর যুবদলের আহবায়ক মুর্শেদ আহমেদ সাজন এবং মিজান শাহ এর অবস্থা গুরুতর। বিএনপির ১০/১৫জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছেও বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেছেন।
হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে না গিয়ে শহরের প্রধান সড়কে মিছিল করে হট্টগোল সৃষ্টির চেষ্টা করে। তারা পুলিশের উপর আক্রমন করে। তাদের হামলায় হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। কি পরিমাণ বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে তা এখনও হিসাব করা হয়নি। ২ ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জমায়েত হন। পূর্ব থেকেই জেলা বিএনপির অফিসের সামনে চিড়িয়াখানা এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিকেল ৫টার দিকে শায়েস্তানগর এলাকা থেকে ছাত্রদলের ব্যানারে একটি বিশাল মিছিল শহরের দিকে এগুলে পুলিশ প্রধান সড়ক থেকে সড়ে গিয়ে তাদের দলীয় অফিসের রাস্তায় যাওয়ার অনুরোধ করে। পুলিশের বাধা না মেনে প্রধান সড়কে মিছিল করতে চাইলে উভয় পক্ষের মাঝে শুরু হয় সংঘর্ষ।
পুলিশ মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করতে বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তার পাশে রাখা নির্মাণ কাজের পাথরের স্তুপ থেকে পাথর নিয়ে পুলিশের উপর নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় ট্রাফিক পয়েন্ট ও শায়েস্তানগর তেমুনিয়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় আগুন জালিয়ে দেয় এবং পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তখন ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় এসে অভিযান চালায়। সন্ধ্যার আগে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসে। এসময় পুলিশের বাধার মুখেই বিএনপির অফিসের সামনে চলে কর্মসূচি। বিএপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধলে ওই এলাকার লোকজন দিক বিদিক ছুটতে থাকে। রাস্তার পাশের সকল দোকান পাট বন্ধ করে দেয়া হয়।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আফজাল হোসেন জানান, পুলিশের গুলিতে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মাঝে পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়াল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, পৌর যুবদলের আহবায়ক মুর্শেদ আহমেদ সাজন এবং মিজান শাহ এর অবস্থা গুরুতর। বিএনপির ১০/১৫জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছেও বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেছেন।
হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে না গিয়ে শহরের প্রধান সড়কে মিছিল করে হট্টগোল সৃষ্টির চেষ্টা করে। তারা পুলিশের উপর আক্রমন করে। তাদের হামলায় হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। কি পরিমাণ বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে তা এখনও হিসাব করা হয়নি। ২ ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।