হবিগঞ্জ, ০১ সেপ্টেম্বর : হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান লন্ডন প্রবাসী ৮১ বছর বয়সী চার্টাড ইঞ্জিনিয়ার হাজী মতিন ব্রিটিশ শিক্ষা কারিকুলামে জিসিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বৃটিশ বাংলাদেশী ও স্থানীয় ব্রিটিশদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি জিসিইসি পরীক্ষার ইতিহাসে ৮১ বছর বয়সে এই পরীক্ষা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন।
হাজী মতিন বলেন, আমার নাতনী নাতালিয়া কোভিডের কারণে প্রস্তুতির জন্য আত্মবিশ্বাসী ছিলনা। তাই নাতনীকে সাহস দেয়ার জন্য বলেছিলাম ‘আমি ও তোমার সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো।পরবর্তীতে তিনি যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং কৃতিত্বের সাথে অংকে ভাল নাম্বারসহ কৃতকার্য হন।
হাজী এম, এ মতিন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাগুলা গ্রামে ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখার প্রতি তার ভালবাসা এবং আগ্রহ ছিল প্রবল। মক্তবে যাওয়া -আসার মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরে মিরাশী এম.ই স্কুলে ভর্তি হন। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৯৬৩ ইং সালে পড়াশুনা করতে তিনি ইংল্যান্ড চলে যান। আসামান্য ভাল ফলাফল এবং প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তির ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করার সুযোগ লাভ করেন। তিনি এ্যাষ্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিভাগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৭৩ সালে সাফল্যের সাথে তিনি চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ফেলোশিপ লাভ করেন। দীর্ঘ ৪৯ বছর কর্মময় জীবনে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি এবং পরামর্শক হিসেবে কাজ করার পর এখন অবসর জীবনে লন্ডনে বসবাস করছেন। লন্ডন প্রবাসী হলেও তিনি নিজ জন্মভূমির প্রতি আন্তরিক। এলাকার শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে সব সময় নিয়োজিত রাখেন। ভাল কাজের জন্য তিনি ব্রিটেনের রাণী কর্তৃক পুরস্কার লাভ করেন।
হাজী মতিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য সহাপাঠীদেরকে নিয়ে লন্ডন বাংলাদেশী এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৪ সালে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং কল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি সংগঠনটিকে নতুন করে পুনঃগঠন করেন। এর মূল কাজ ছিল দেশের লোকজনকে হজ্ব ও ওমরাহ করতে পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া, অসহায় মানুষের মৃত্যুর সময় সাহায্য করা এবং কবরস্থানের ব্যবস্থা করা। চুনারুঘাট উপজেলায় তাঁর গ্রাম ঘেঁষে পাহাড়ের কাছে জমি ক্রয় করে একটি বসতি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। বাবার স্মৃতি রক্ষার্থে আতিকপুর নামে নামকরণ করেন। সেখানে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করেন। এই গ্রামে ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় শরণার্থীরা এসে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে সেখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। চুনারুঘাট উপজেলায় অনেক স্কুল ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য করেছেন শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা । অসহায় ঘর-বাড়ি বিহীন পাহাড়ি লোকদের বসবাসের জন্য নতুন আরেকটি বসতি স্থাপন করেন। বসবাসরত পাহাড়ি লোকদের অনুরোধে এই নতুন বসতিকে মতিননগর নামকরণ করেন। তিনি ঢাকা আশুলিয়া ক্যান্সার হাসপাতাল, হবিগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের দাতা সদস্য এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা # ৩৯-র আজীবন সদস্য। এভাবেই তিনি দেশে এবং বিদেশে সমাজের এবং মানুষের সেবা আজও করে যাচ্ছেন।
হাজী মতিন বলেন, আমার নাতনী নাতালিয়া কোভিডের কারণে প্রস্তুতির জন্য আত্মবিশ্বাসী ছিলনা। তাই নাতনীকে সাহস দেয়ার জন্য বলেছিলাম ‘আমি ও তোমার সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো।পরবর্তীতে তিনি যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং কৃতিত্বের সাথে অংকে ভাল নাম্বারসহ কৃতকার্য হন।
হাজী এম, এ মতিন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাগুলা গ্রামে ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখার প্রতি তার ভালবাসা এবং আগ্রহ ছিল প্রবল। মক্তবে যাওয়া -আসার মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরে মিরাশী এম.ই স্কুলে ভর্তি হন। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৯৬৩ ইং সালে পড়াশুনা করতে তিনি ইংল্যান্ড চলে যান। আসামান্য ভাল ফলাফল এবং প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তির ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করার সুযোগ লাভ করেন। তিনি এ্যাষ্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিভাগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৭৩ সালে সাফল্যের সাথে তিনি চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ফেলোশিপ লাভ করেন। দীর্ঘ ৪৯ বছর কর্মময় জীবনে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি এবং পরামর্শক হিসেবে কাজ করার পর এখন অবসর জীবনে লন্ডনে বসবাস করছেন। লন্ডন প্রবাসী হলেও তিনি নিজ জন্মভূমির প্রতি আন্তরিক। এলাকার শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে সব সময় নিয়োজিত রাখেন। ভাল কাজের জন্য তিনি ব্রিটেনের রাণী কর্তৃক পুরস্কার লাভ করেন।
হাজী মতিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য সহাপাঠীদেরকে নিয়ে লন্ডন বাংলাদেশী এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৪ সালে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং কল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি সংগঠনটিকে নতুন করে পুনঃগঠন করেন। এর মূল কাজ ছিল দেশের লোকজনকে হজ্ব ও ওমরাহ করতে পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া, অসহায় মানুষের মৃত্যুর সময় সাহায্য করা এবং কবরস্থানের ব্যবস্থা করা। চুনারুঘাট উপজেলায় তাঁর গ্রাম ঘেঁষে পাহাড়ের কাছে জমি ক্রয় করে একটি বসতি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। বাবার স্মৃতি রক্ষার্থে আতিকপুর নামে নামকরণ করেন। সেখানে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করেন। এই গ্রামে ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় শরণার্থীরা এসে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে সেখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। চুনারুঘাট উপজেলায় অনেক স্কুল ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য করেছেন শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা । অসহায় ঘর-বাড়ি বিহীন পাহাড়ি লোকদের বসবাসের জন্য নতুন আরেকটি বসতি স্থাপন করেন। বসবাসরত পাহাড়ি লোকদের অনুরোধে এই নতুন বসতিকে মতিননগর নামকরণ করেন। তিনি ঢাকা আশুলিয়া ক্যান্সার হাসপাতাল, হবিগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের দাতা সদস্য এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা # ৩৯-র আজীবন সদস্য। এভাবেই তিনি দেশে এবং বিদেশে সমাজের এবং মানুষের সেবা আজও করে যাচ্ছেন।