ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর : বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী আর নেই। আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন।। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৮৫ বছর। এ সময় তিনি ৪ মেয়ে, নাতি নাতনী, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের ১ম জানাজা আজ বাদ মাগরিব ঢাকার লালমাটিয়াস্থ মরহুমের নিজ বাসা এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নিয়ে যাওয়া হবে। মৌলভীবাজার জেলা শহর ও বড়লেখায় তাঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় জানাজা শেষে তাঁকে গাংকুল গ্রামে দাফন করা হবে। ।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন
এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর জন্ম মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়। তিনি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান থেকে সক্রিয় রাজনীতির শুরু করেন। পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি। এবাদুর রহমান চৌধুরী ইউনাইটেড পিপলস পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করলে এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীসহ ইউপিপির সিলেট অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। ১৯৮৮ ও ৯১ সালে মৌলভীবাজার-১ ( বড়লেখা) আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাশাপাশি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেলা পরিষদ গঠন করলে এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান মনোনীত হন।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে জেলা বারের বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী জাতীয় পার্টি ত্যাগ করে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলেও ২০০১ সালে তিনি ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাশাপাশি জোটের মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হলে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মনোনীত হন। এসময় তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। তিনি বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য। তবে ওয়ান ইলেভেনের পর বিএনপিতে তার অবস্থান ও প্রভাবে ভাটা পড়তে থাকে। এরপর বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে ধীরে ধীরে সরে যান।
সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদকের শোক
সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জের অধুনালুপ্ত দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং সুপ্রভাত মিশিগানের সম্পাদক চিন্ময় আচার্য্য। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোক বার্তায় তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০০২ সালে অধুনালুপ্ত দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রকাশনার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী। তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসকে সহযোগিতা করেছেন, পাশে থেকেছেন। এজন্য আমি মরহুম এবাদুর রহমান চৌধুরীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
মরহুমের ১ম জানাজা আজ বাদ মাগরিব ঢাকার লালমাটিয়াস্থ মরহুমের নিজ বাসা এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নিয়ে যাওয়া হবে। মৌলভীবাজার জেলা শহর ও বড়লেখায় তাঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় জানাজা শেষে তাঁকে গাংকুল গ্রামে দাফন করা হবে। ।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন
এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর জন্ম মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়। তিনি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান থেকে সক্রিয় রাজনীতির শুরু করেন। পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি। এবাদুর রহমান চৌধুরী ইউনাইটেড পিপলস পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করলে এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীসহ ইউপিপির সিলেট অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। ১৯৮৮ ও ৯১ সালে মৌলভীবাজার-১ ( বড়লেখা) আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাশাপাশি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেলা পরিষদ গঠন করলে এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান মনোনীত হন।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে জেলা বারের বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী জাতীয় পার্টি ত্যাগ করে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলেও ২০০১ সালে তিনি ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাশাপাশি জোটের মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হলে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মনোনীত হন। এসময় তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। তিনি বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য। তবে ওয়ান ইলেভেনের পর বিএনপিতে তার অবস্থান ও প্রভাবে ভাটা পড়তে থাকে। এরপর বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে ধীরে ধীরে সরে যান।
সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদকের শোক
সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জের অধুনালুপ্ত দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং সুপ্রভাত মিশিগানের সম্পাদক চিন্ময় আচার্য্য। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোক বার্তায় তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০০২ সালে অধুনালুপ্ত দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রকাশনার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী। তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসকে সহযোগিতা করেছেন, পাশে থেকেছেন। এজন্য আমি মরহুম এবাদুর রহমান চৌধুরীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।