নাইপিদো, ০৮ সেপ্টেম্বর : মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন গত বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে ষ্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রী, সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র (Credentials) পেশ করেন। সকালে মিয়ানমারের রাস্ট্রাচার বিভাগের প্রতিনিধিগণ রাস্ট্রদূত-কে দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ হোটেল থেকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা যোগে রাষ্ট্রপতি ভবনে নিয়ে যান। সেখানে রাস্ট্রাচার মহাপরিচালক তাকে স্বাগত জানান। এরপর রাষ্ট্রপতি ভবনের নতুন নির্মিত ক্রেডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে ষ্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান-এর নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন। পরিচয়পত্র গ্রহণ করে চেয়ারম্যান বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
আলোচনার শুরুতেই ষ্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত, ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন-কে অভিনন্দন জানান এবং উপস্থিত মিয়ানমার সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যাক্তিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি একজন দক্ষ ও পেশাদার কূটনীতিক-কে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রেরণ করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আলোচনাকালে মিয়ানমার-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল বিষয়সমূহ যথা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, বাণিজ্য সম্পর্ক, আকাশ, স্থল ও নৌ-পথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, মানব-পাচার, মাদক-পাচার ও অস্ত্র চোরাচালান সহ প্রথাগত ও অপ্রথাগত নিরাপত্তা-সহযোগিতা, সামরিক সহযোগিতা এবং জনযোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে মত বিনিময় হয়।
বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত যথাসম্ভব দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই ও স্বেচ্ছাধীন প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের কথা পূনব্যাক্ত করেন। চেয়ারম্যান এ বিষয়ে তার সরকারের আন্তরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রকাশ করে শীঘ্রই প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। তিনি দুই প্রতিবেশি দেশের অধিকতর অর্থনৈতিক সম্ব্রিদ্ধির লক্ষ্যে জোরালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং আন্তঃদেশীয় সংযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। চেয়ারম্যান জনস্বাস্থ্য কূটনীতিতে রাষ্ট্রদূতের অভিজ্ঞতার কথা উল্ল্যেখ করে এ বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে— তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন। তিনি আরো বলেন এ উন্নতির ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হবে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন তার পরিচয়পত্র গ্রহণ করার জন্য চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান। তিনি দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে এবং একে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তার সহযোগিতা কামনা করে। অত্যন্ত আন্তরিক ও উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী এ আলোচনার শেষে রাষ্ট্রদূত ষ্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান-এর শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ কামনা করেন। চেয়ারম্যান মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূতের কর্ম-মেয়াদের সাফল্য কামনা করেন এবং তার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী থান শোয়ে, ষ্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের যুগ্ম-সচিব লে. জেনারেল ই এন উ, দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) এবং ডিফেন্স এটাশে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার শুরুতেই ষ্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত, ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন-কে অভিনন্দন জানান এবং উপস্থিত মিয়ানমার সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যাক্তিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি একজন দক্ষ ও পেশাদার কূটনীতিক-কে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রেরণ করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আলোচনাকালে মিয়ানমার-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল বিষয়সমূহ যথা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, বাণিজ্য সম্পর্ক, আকাশ, স্থল ও নৌ-পথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, মানব-পাচার, মাদক-পাচার ও অস্ত্র চোরাচালান সহ প্রথাগত ও অপ্রথাগত নিরাপত্তা-সহযোগিতা, সামরিক সহযোগিতা এবং জনযোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে মত বিনিময় হয়।
বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত যথাসম্ভব দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই ও স্বেচ্ছাধীন প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের কথা পূনব্যাক্ত করেন। চেয়ারম্যান এ বিষয়ে তার সরকারের আন্তরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রকাশ করে শীঘ্রই প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। তিনি দুই প্রতিবেশি দেশের অধিকতর অর্থনৈতিক সম্ব্রিদ্ধির লক্ষ্যে জোরালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং আন্তঃদেশীয় সংযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। চেয়ারম্যান জনস্বাস্থ্য কূটনীতিতে রাষ্ট্রদূতের অভিজ্ঞতার কথা উল্ল্যেখ করে এ বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে— তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন। তিনি আরো বলেন এ উন্নতির ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হবে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন তার পরিচয়পত্র গ্রহণ করার জন্য চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান। তিনি দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে এবং একে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তার সহযোগিতা কামনা করে। অত্যন্ত আন্তরিক ও উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী এ আলোচনার শেষে রাষ্ট্রদূত ষ্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান-এর শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ কামনা করেন। চেয়ারম্যান মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূতের কর্ম-মেয়াদের সাফল্য কামনা করেন এবং তার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী থান শোয়ে, ষ্টেট এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের যুগ্ম-সচিব লে. জেনারেল ই এন উ, দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) এবং ডিফেন্স এটাশে উপস্থিত ছিলেন।