ইউপি সদস্য রায়হান বেপারী ও নুরে আলম শিকদার
শরীয়তপুর, ০৯ (ঢাকা পোস্ট) : পেশায় তারা অটোরিকশা চালক। অটোরিকশা চালিয়ে জনসেবা করে হয়েছেন জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সম্মানি ভাতা যা পান, তা দান করেন এলাকার মসজিদের উন্নয়নে। অন্যদিকে তাদের সংসার চলে অটোরিকশার চাকা ঘুরিয়ে। শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এমন দুইজন জনপ্রতিনিধির দেখা মিলেছে।
তারা হলেন- উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রায়হান বেপারী ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরে আলম শিকদার। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুইজনেই অটোরিকশা চালানোর সময় অসহায় মানুষের দুঃখের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জনপ্রতিনিধি হবেন। নির্বাচিত হয়ে তাদের ওয়ার্ডের মানুষের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেবেন। নির্বাচিত হয়ে কথা রেখেছেন তারা। তবে বাদ দেননি অটোরিকশা চালানো। খবর পাওয়া মাত্রই অটোরিকশা চালিয়ে মানুষের সুখ-দুঃখে ছুটে যান তারা।
রায়হান বেপারী এক সময় ঢাকায় ছোট একটি চাকরি করলেও ১০ বছর আগে এলাকায় এসে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হলেও এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে অটোরিকশা চালানোকেই ধরে রেখেছেন তিনি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাওয়া তার সম্মানি ভাতা ৩ হাজার ৬০০ টাকা স্থানীয় ৬টি মসজিদে দান করে দিয়ে অটোরিকশা চালানোর উপার্জন দিয়েই চালিয়ে আসছেন সংসার।
ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রায়হান বেপারী ওই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান বেপারী ও মৃত তানু বেগম দম্পতির ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী শ্রাবনী আক্তার এবং রিয়া ও প্রিয়া নামে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
রায়হান বেপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, অটোরিকশা চালাতে গিয়ে মানুষের কষ্ট দেখে খুব খারাপ লাগতো। আগের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষদের হক থেকে বঞ্চিত করেছেন। সরকারি সাহায্য সঠিকভাবে বণ্টন করেননি। তখন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের হক তাদের হাতে তুলে দেব। করোনার সময়ে অটোরিকশা চালিয়ে জমানো টাকা দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগেই ৬৩ জন অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। গত ইউপি নির্বাচনে আমি প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলে এলাকার রিকশাচালক, অটোচালকসহ লোকজন আমাকে নির্বাচনী ব্যানার পোস্টার করে দেন। এমনকি ওই ওয়ার্ডের রিকশাচালক-অটোরিকশা চালকরা যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি আমার হয়ে জনসংযোগ চালান। সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ দেখেই ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেন।
তিনি আরও বলেন, এলাকার জনগণ আমাকে ভালোবেসে এই জায়গায় বসিয়েছে। তারা আমাকে কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়াই জয়যুক্ত করেছে। একজন জনপ্রতিনিধি চাইলে সৎভাবে তাদের জনগণের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। যেটা আমি প্রমাণ করে দেখাতে চেয়েছিলাম। আমি সেটা প্রমাণ করেছি। তাই আমিও নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিনা স্বার্থে এ সকল সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আগামীতেও তাদের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছলেমান বেপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন,আমরা গরিব মানুষ। জনপ্রতিনিধি বানিয়েছি গরিব। আমাদের হক আমরা রায়হান বেপারীর কাছ থেকে ঠিকমতো বুঝে পাই।
বাঁধন হোসেন নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, রায়হান বেপারী করোনার সময় সাধারণ মানুষের জন্য যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, সেভাবে আর কাউকে পাইনি। তাই তাকে মেম্বার বানাইছি। রায়হান বেপারী মেম্বার হওয়ার পরও অটোরিকশা চালানো ছাড়েননি। আগে যেভাবে খেটে পরিশ্রম করে উপার্জন করতেন, এখনো ওইভাবে পরিশ্রম করে সংসার চালান। কোথাও যেতে চাইলে তার অটোরিকশায় নিয়ে যাই। ভাড়া দিলে নেন, না দিলে নেন না।
অপরদিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরে আলম শিকদার অটোরিকশা চালানোর সময় এলাকার দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে তার সখ্যতা তৈরি হয়। অটোরিকশায় যাওয়া আসার সময় এসব মানুষের কাছে তাদের সুখ-দুঃখের গল্প শুনতেন তিনি। তারা অভিযোগ করে বলতেন, অনেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেন না। এমনকি তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এসব কথা শুনে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা জাগে তার। তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন নির্বাচনে জয় লাভ করলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। এরপর গত নির্বাচনে তিনি অংশ নিলে এলাকার মানুষ তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেন। তবে ইউপি সদস্য হওয়ার পরও এখনো জীবিকা নির্বাহ করেন অটোরিকশা চালিয়েই।
নুরে আলম শিকদার পূর্ব ডামুড্যা এলাকার আবুল হাসেম শিকদারের ছেলে। নুরে আলম শিকদারের সংসারে স্ত্রী জাকিয়া বেগম, ছেলে জিসান ও মেয়ে জয়া রয়েছে। ইউপি সদস্য নূরে আলম শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এলাকার লোকজন আমাকে ভোটে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেন। আমি প্রার্থী হলে তারা আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেন। তাদের ভালোবাসার কারণেই আজ আমি তাদের সেবা করতে পারছি। আমি এখনো বিপদে-আপদে তাদের ডাক পেলেই ছুটে যাই। জনগণ যতদিন চাইবে আমি তাদের সেবা দিয়ে যেতে চাই।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরুজ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নূরে আলম শিকদার আমাদের ভাইয়ের মতো। আমরা তার কাছে সব কিছু শেয়ার করি। এখনো আমাদের কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে মেম্বারকে মধ্য রাতে তার অটোরিকশার জন্য ফোন দিলে তিনি সাথে সাথে চলে আসেন। একজন মেম্বার হয়েও কখনোই তার মধ্যে অহংকার দেখিনি।
আহাদ মিয়া নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, তার ভালো ব্যবহারের কারণেই তাকে আমরা জনপ্রতিনিধি বানিয়েছি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রকৃত অসহায় মানুষ তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে পাচ্ছেন। তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ছুটে যান।
দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিনুল হক মিন্টু শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা অর্থের দিক দিয়ে গরিব হলেও মানসিক দিক থেকে সচ্ছল। রায়হান ও নূরে আলম দুজনেই মেহনতী মানুষ। তাই গরিব মানুষের কষ্টও তারা বেশি উপলব্ধি করতে পারেন। জনসাধারণের সেবা দেওয়ার জন্য এমন মানসিকতার মানুষই আমাদের বেশি প্রয়োজন।
শরীয়তপুর, ০৯ (ঢাকা পোস্ট) : পেশায় তারা অটোরিকশা চালক। অটোরিকশা চালিয়ে জনসেবা করে হয়েছেন জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সম্মানি ভাতা যা পান, তা দান করেন এলাকার মসজিদের উন্নয়নে। অন্যদিকে তাদের সংসার চলে অটোরিকশার চাকা ঘুরিয়ে। শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এমন দুইজন জনপ্রতিনিধির দেখা মিলেছে।
তারা হলেন- উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রায়হান বেপারী ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরে আলম শিকদার। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুইজনেই অটোরিকশা চালানোর সময় অসহায় মানুষের দুঃখের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জনপ্রতিনিধি হবেন। নির্বাচিত হয়ে তাদের ওয়ার্ডের মানুষের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেবেন। নির্বাচিত হয়ে কথা রেখেছেন তারা। তবে বাদ দেননি অটোরিকশা চালানো। খবর পাওয়া মাত্রই অটোরিকশা চালিয়ে মানুষের সুখ-দুঃখে ছুটে যান তারা।
রায়হান বেপারী এক সময় ঢাকায় ছোট একটি চাকরি করলেও ১০ বছর আগে এলাকায় এসে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হলেও এখন পর্যন্ত পেশা হিসেবে অটোরিকশা চালানোকেই ধরে রেখেছেন তিনি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাওয়া তার সম্মানি ভাতা ৩ হাজার ৬০০ টাকা স্থানীয় ৬টি মসজিদে দান করে দিয়ে অটোরিকশা চালানোর উপার্জন দিয়েই চালিয়ে আসছেন সংসার।
ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রায়হান বেপারী ওই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান বেপারী ও মৃত তানু বেগম দম্পতির ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী শ্রাবনী আক্তার এবং রিয়া ও প্রিয়া নামে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
রায়হান বেপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, অটোরিকশা চালাতে গিয়ে মানুষের কষ্ট দেখে খুব খারাপ লাগতো। আগের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষদের হক থেকে বঞ্চিত করেছেন। সরকারি সাহায্য সঠিকভাবে বণ্টন করেননি। তখন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের হক তাদের হাতে তুলে দেব। করোনার সময়ে অটোরিকশা চালিয়ে জমানো টাকা দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগেই ৬৩ জন অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। গত ইউপি নির্বাচনে আমি প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলে এলাকার রিকশাচালক, অটোচালকসহ লোকজন আমাকে নির্বাচনী ব্যানার পোস্টার করে দেন। এমনকি ওই ওয়ার্ডের রিকশাচালক-অটোরিকশা চালকরা যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি আমার হয়ে জনসংযোগ চালান। সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ দেখেই ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেন।
তিনি আরও বলেন, এলাকার জনগণ আমাকে ভালোবেসে এই জায়গায় বসিয়েছে। তারা আমাকে কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়াই জয়যুক্ত করেছে। একজন জনপ্রতিনিধি চাইলে সৎভাবে তাদের জনগণের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। যেটা আমি প্রমাণ করে দেখাতে চেয়েছিলাম। আমি সেটা প্রমাণ করেছি। তাই আমিও নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিনা স্বার্থে এ সকল সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আগামীতেও তাদের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছলেমান বেপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন,আমরা গরিব মানুষ। জনপ্রতিনিধি বানিয়েছি গরিব। আমাদের হক আমরা রায়হান বেপারীর কাছ থেকে ঠিকমতো বুঝে পাই।
বাঁধন হোসেন নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, রায়হান বেপারী করোনার সময় সাধারণ মানুষের জন্য যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, সেভাবে আর কাউকে পাইনি। তাই তাকে মেম্বার বানাইছি। রায়হান বেপারী মেম্বার হওয়ার পরও অটোরিকশা চালানো ছাড়েননি। আগে যেভাবে খেটে পরিশ্রম করে উপার্জন করতেন, এখনো ওইভাবে পরিশ্রম করে সংসার চালান। কোথাও যেতে চাইলে তার অটোরিকশায় নিয়ে যাই। ভাড়া দিলে নেন, না দিলে নেন না।
অপরদিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরে আলম শিকদার অটোরিকশা চালানোর সময় এলাকার দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে তার সখ্যতা তৈরি হয়। অটোরিকশায় যাওয়া আসার সময় এসব মানুষের কাছে তাদের সুখ-দুঃখের গল্প শুনতেন তিনি। তারা অভিযোগ করে বলতেন, অনেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেন না। এমনকি তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এসব কথা শুনে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা জাগে তার। তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন নির্বাচনে জয় লাভ করলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। এরপর গত নির্বাচনে তিনি অংশ নিলে এলাকার মানুষ তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেন। তবে ইউপি সদস্য হওয়ার পরও এখনো জীবিকা নির্বাহ করেন অটোরিকশা চালিয়েই।
নুরে আলম শিকদার পূর্ব ডামুড্যা এলাকার আবুল হাসেম শিকদারের ছেলে। নুরে আলম শিকদারের সংসারে স্ত্রী জাকিয়া বেগম, ছেলে জিসান ও মেয়ে জয়া রয়েছে। ইউপি সদস্য নূরে আলম শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এলাকার লোকজন আমাকে ভোটে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেন। আমি প্রার্থী হলে তারা আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেন। তাদের ভালোবাসার কারণেই আজ আমি তাদের সেবা করতে পারছি। আমি এখনো বিপদে-আপদে তাদের ডাক পেলেই ছুটে যাই। জনগণ যতদিন চাইবে আমি তাদের সেবা দিয়ে যেতে চাই।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরুজ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নূরে আলম শিকদার আমাদের ভাইয়ের মতো। আমরা তার কাছে সব কিছু শেয়ার করি। এখনো আমাদের কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে মেম্বারকে মধ্য রাতে তার অটোরিকশার জন্য ফোন দিলে তিনি সাথে সাথে চলে আসেন। একজন মেম্বার হয়েও কখনোই তার মধ্যে অহংকার দেখিনি।
আহাদ মিয়া নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, তার ভালো ব্যবহারের কারণেই তাকে আমরা জনপ্রতিনিধি বানিয়েছি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রকৃত অসহায় মানুষ তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে পাচ্ছেন। তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ছুটে যান।
দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিনুল হক মিন্টু শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা অর্থের দিক দিয়ে গরিব হলেও মানসিক দিক থেকে সচ্ছল। রায়হান ও নূরে আলম দুজনেই মেহনতী মানুষ। তাই গরিব মানুষের কষ্টও তারা বেশি উপলব্ধি করতে পারেন। জনসাধারণের সেবা দেওয়ার জন্য এমন মানসিকতার মানুষই আমাদের বেশি প্রয়োজন।