ঢাকা, ২ অক্টোবর (ঢাকা পোস্ট) : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে তারা (সরকার) খুব রেগেছে। তাদের নেতা-মন্ত্রীরা সমস্ত ডিপ্লোমেটিক নর্মসকে উপেক্ষা করে তার বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবি ও খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করে কৃষক দল।
তিনি বলেন, তাদের (সরকার) বংশধর যে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আছে সেগুলোও মিথ্যাচার করছে। এদের দায়িত্বশীলতার এত অভাব যে- যে দেশে আমাদের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি পণ্য যায়, সেই দেশের সঙ্গে তারা সমস্যা তৈরি করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আরেকটা খবর আছে- এই সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্স মানে আমাদের বিদেশে যে শ্রমিকরা কাজ করেন তারা যে টাকা পাঠায়। এর অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর তাদের আস্থা নাই সেজন্য তারা অর্থ পাঠাচ্ছে না। এরকম অবস্থা করে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে কেনো বিকল্প নাই। একটাই পথ। এই অবৈধ সরকারকে সরাসরি বলতে চাই- এখনো সময় আছে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। সত্যিকার অর্থে দেশের ভালো চান, দেশের কল্যাণ চান তাহলে এই ব্যবস্থায় আসুন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকার বিভিন্ন রকম আইনকানুন দেখাচ্ছে। যখন আপনার(শেখ হাসিনার) কানের সমস্যা হয়েছিল তখন আপনি আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন…যান নাই… আজকে দেশনেত্রী যখন জীবন-মরণের সমস্যা তখন এইসব কথা বলছেন কেন? একটাই কারণ যে, রাজনৈতিকভাবেই তারা বেগম জিয়াকে হিংসা করে, তারা তাকে সুস্থ করতে চায় না, রাজনীতি করতে দিচ্ছে না।
‘আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ লক্ষ্য একটাই যে, এ দেশে কোনো বিরোধী দল থাকবে না, তারাই সরকার চালাবে। তাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হবে তারাই শুধু এ দেশের মালিক আর আমরা সব প্রজা।’
রংপুরের ভাষায় জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখানে আমাদের রংপুর-দিনাজপুরের মানুষ আছেন। এক কৃষক নেতা অনেকদিন আগে ব্রিটিশ পিরিয়ডে বিদ্রোহ করেছিলেন, বিপ্লব করতে গিয়ে সমগ্র কৃষককে ডাক দিয়েছিলেন। এই হচ্ছে ডাক। কোথায় আছেন, সবাই জাগেন, জেগে উঠেন। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে জেগে উঠেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে, এই শপথ নিয়ে আসুন আমরা আগামী দিনগুলোতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি, প্রতিরোধ গড়ে তুলি, এদের সমস্ত নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।’
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামে সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।
সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবি ও খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করে কৃষক দল।
তিনি বলেন, তাদের (সরকার) বংশধর যে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আছে সেগুলোও মিথ্যাচার করছে। এদের দায়িত্বশীলতার এত অভাব যে- যে দেশে আমাদের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি পণ্য যায়, সেই দেশের সঙ্গে তারা সমস্যা তৈরি করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আরেকটা খবর আছে- এই সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্স মানে আমাদের বিদেশে যে শ্রমিকরা কাজ করেন তারা যে টাকা পাঠায়। এর অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর তাদের আস্থা নাই সেজন্য তারা অর্থ পাঠাচ্ছে না। এরকম অবস্থা করে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে কেনো বিকল্প নাই। একটাই পথ। এই অবৈধ সরকারকে সরাসরি বলতে চাই- এখনো সময় আছে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। সত্যিকার অর্থে দেশের ভালো চান, দেশের কল্যাণ চান তাহলে এই ব্যবস্থায় আসুন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকার বিভিন্ন রকম আইনকানুন দেখাচ্ছে। যখন আপনার(শেখ হাসিনার) কানের সমস্যা হয়েছিল তখন আপনি আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন…যান নাই… আজকে দেশনেত্রী যখন জীবন-মরণের সমস্যা তখন এইসব কথা বলছেন কেন? একটাই কারণ যে, রাজনৈতিকভাবেই তারা বেগম জিয়াকে হিংসা করে, তারা তাকে সুস্থ করতে চায় না, রাজনীতি করতে দিচ্ছে না।
‘আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ লক্ষ্য একটাই যে, এ দেশে কোনো বিরোধী দল থাকবে না, তারাই সরকার চালাবে। তাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হবে তারাই শুধু এ দেশের মালিক আর আমরা সব প্রজা।’
রংপুরের ভাষায় জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখানে আমাদের রংপুর-দিনাজপুরের মানুষ আছেন। এক কৃষক নেতা অনেকদিন আগে ব্রিটিশ পিরিয়ডে বিদ্রোহ করেছিলেন, বিপ্লব করতে গিয়ে সমগ্র কৃষককে ডাক দিয়েছিলেন। এই হচ্ছে ডাক। কোথায় আছেন, সবাই জাগেন, জেগে উঠেন। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে জেগে উঠেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে, এই শপথ নিয়ে আসুন আমরা আগামী দিনগুলোতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি, প্রতিরোধ গড়ে তুলি, এদের সমস্ত নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।’
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামে সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।