ওয়ারেন, ১৪ অক্টোবর : আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) শুভ মহালয়া। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গপূজার ক্ষণ গণনা শুরু। মহালয়ার ৬ দিন পরই আসে মহাসপ্তমি। শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। আজ পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা ঘটছে দেবীপক্ষের। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। দিনটি সাড়ম্বরে উদযাপনের জন্য মিশিগানের বিভিন্ন মন্দিরে মাঙ্গলিক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে, তাই মহালয়া। আর এই দিনটি হচ্ছে পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। শাস্ত্র অনুযায়ী মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়। অন্যদিকে মহালয়া বলতে ‘পিতৃলোক’কেও বোঝায়, যেখানে বিদেহী পিতৃপুরুষ অবস্থান করছেন। পিতৃপক্ষের অবসানে, অমাবস্যার সীমানা ডিঙ্গিয়ে আলোকময় দেবীপক্ষের আগমনের মহালগ্নটি মহালয়ার বার্তা বহন করে আনে। এক্ষেত্রে স্বয়ং দেবীই হচ্ছেন সেই মহান আশ্রয়। তাই উত্তরণের লগ্নটির নাম মহালয়া। সনাতন ধর্মে কোন শুভ কাজ করতে গেলে প্রয়াত পূর্বজসহ সমগ্র জীবজগতের জন্য তর্পণ করতে হয়। তর্পণ মানে হলো খুশি করা। সাধারণভাবে মৃত পূর্বপুরুষগণকে জলদান করাকেই তর্পণ বলা হয়। পিতৃপক্ষের পনেরো দিন মানুষ তর্পণ করে থাকে। যারা তাতে অক্ষম তারা মহালয়ার দিন তর্পণ করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে এই পিতৃপক্ষ। সেই পক্ষের অবসান হবে আজ মহালয়ার দিন।
মহালয়া এলেই দেবী বন্দনার সুর ধ্বনিত হয়। দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ। আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। এমনিতেই দেবী দুর্গার বাহন সিংহ। তবে তিনি প্রতি বছর মর্ত্যে আসেন আলাদা আলাদা বাহনে। হিন্দু শাস্ত্রানুসারে দেবীর এই এক একটি বাহন সমাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বার্তা দেয়। এক্ষেত্রে আলাদা ৪টি বাহনে দেবীর আসা যাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে, সেগুলি হলো ঘোটক, হস্তী, নৌকা এবং দোলা। এ বছর দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন দুটোই ঘটকে, ফলে এটি খুব অশুভ ইঙ্গিত, কথিত আছে, দেবীর আগমন, গমন একই বাহনে হলে তা অত্যন্ত অশুভ।
এদিকে শুভ মহালয়া উপলক্ষে আজ শনিবার ওয়ারেন সিটির শিব মন্দির টেম্পল অব জয় এবং মিশিগান কালিবাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সংগীত, ভক্তিমূলক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মিশিগান কালিবাড়িতে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হবে ভোর ৬টায়। ঘট স্থাপন, চন্ডীপাঠ, পূজা অর্চনা, আরাধনাসহ রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিব মন্দির টেম্পল অব জয়ে মহালয়ার অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সঙ্গীত এবং ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে, তাই মহালয়া। আর এই দিনটি হচ্ছে পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। শাস্ত্র অনুযায়ী মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়। অন্যদিকে মহালয়া বলতে ‘পিতৃলোক’কেও বোঝায়, যেখানে বিদেহী পিতৃপুরুষ অবস্থান করছেন। পিতৃপক্ষের অবসানে, অমাবস্যার সীমানা ডিঙ্গিয়ে আলোকময় দেবীপক্ষের আগমনের মহালগ্নটি মহালয়ার বার্তা বহন করে আনে। এক্ষেত্রে স্বয়ং দেবীই হচ্ছেন সেই মহান আশ্রয়। তাই উত্তরণের লগ্নটির নাম মহালয়া। সনাতন ধর্মে কোন শুভ কাজ করতে গেলে প্রয়াত পূর্বজসহ সমগ্র জীবজগতের জন্য তর্পণ করতে হয়। তর্পণ মানে হলো খুশি করা। সাধারণভাবে মৃত পূর্বপুরুষগণকে জলদান করাকেই তর্পণ বলা হয়। পিতৃপক্ষের পনেরো দিন মানুষ তর্পণ করে থাকে। যারা তাতে অক্ষম তারা মহালয়ার দিন তর্পণ করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে এই পিতৃপক্ষ। সেই পক্ষের অবসান হবে আজ মহালয়ার দিন।
মহালয়া এলেই দেবী বন্দনার সুর ধ্বনিত হয়। দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ। আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। এমনিতেই দেবী দুর্গার বাহন সিংহ। তবে তিনি প্রতি বছর মর্ত্যে আসেন আলাদা আলাদা বাহনে। হিন্দু শাস্ত্রানুসারে দেবীর এই এক একটি বাহন সমাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বার্তা দেয়। এক্ষেত্রে আলাদা ৪টি বাহনে দেবীর আসা যাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে, সেগুলি হলো ঘোটক, হস্তী, নৌকা এবং দোলা। এ বছর দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন দুটোই ঘটকে, ফলে এটি খুব অশুভ ইঙ্গিত, কথিত আছে, দেবীর আগমন, গমন একই বাহনে হলে তা অত্যন্ত অশুভ।
এদিকে শুভ মহালয়া উপলক্ষে আজ শনিবার ওয়ারেন সিটির শিব মন্দির টেম্পল অব জয় এবং মিশিগান কালিবাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সংগীত, ভক্তিমূলক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মিশিগান কালিবাড়িতে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হবে ভোর ৬টায়। ঘট স্থাপন, চন্ডীপাঠ, পূজা অর্চনা, আরাধনাসহ রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিব মন্দির টেম্পল অব জয়ে মহালয়ার অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সঙ্গীত এবং ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে।