দেবী দুর্গার চক্ষুদান, রহস্য আজও সমান আগ্রহের, সকলের আড়ালে ঘটে যে ঘটনা

আপলোড সময় : ১৪-১০-২০২৩ ০১:১৩:৫২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-১০-২০২৩ ০১:১৩:৫২ অপরাহ্ন
কলকাতা, ১৪ অক্টোবর : চক্ষুদানের মহালয়া, দূর্গার চোখ আঁকাতেই লুকিয়ে বড় রহস্য! এই দিনে কী ঘটে জানেন? একটা মন্ত্রেই মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী? দেখেননি কখনো, মহালয়ার ভোরের ওই দৃশ্য গায়ে কাঁটা দেয়। একটা ভুল ভেঙে দিই পঞ্চমী-ষষ্ঠী নয়, মহালয়া থেকেই কিন্তু পুজো শুরু। মহালয়া মানেটা জানেন? মহান আলয় বা আশ্রম। যে মহান আলয় দেবী দুর্গা। হ্যাঁ, এদিনই পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা। মহালয়ার ভোরে ঘাটে ঘাটে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ, চেনা ছবি কিন্তু এদিন ভোরে সকলের অলক্ষ্যে আড়ালে ঘটে যায় আরো একটা ঘটনা। তাতেই বদলে যায় মায়ের রুপ।
পর্দার আড়ালে রীতি মেনে মহেন্দ্রক্ষণে করা হয় মায়ের চক্ষুদান। দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে শুদ্ধাচারে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে কুশের অগ্রভাগ নিয়ে দেবী দুর্গার চক্ষু আঁকা হয় প্রথমে ত্রিনয়ন, তারপর বাম এবং শেষে ডান চক্ষু আঁকা হয়। পুরোহিতের উপস্থিতিতে লেলিহান মুদ্রায় মোট ১০৮ বার বীজমন্ত্র জপ করা হয়। চক্ষু দানের মাধ্যমেই মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী রূপে প্রতিষ্ঠিত হন মা দূর্গা। চক্ষুদানের পরই প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। মর্ত্যে এসে দেবী তাঁর দিব্যদৃষ্টির আলোয় সমস্ত অন্ধকার ঘুচিয়ে দেন। আলোকিত হয় এই পৃথিবী। আক্ষরিক অর্থে দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমে এদিনই দুর্গাপুজোর সূচনা ঘটে তবে শুধু দুর্গার না, তার চার ছেলে মেয়ে – লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী ও কার্তিক, এমনকী তাদের বাহনদেরও প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়।
একটা সময় ছিল যখন রাজবাড়ি কিংবা জমিদার বাড়িতেই দুর্গাপুজো হত। রথের দিন কাঠামো পুজো হত, মহাসপ্তমীর দিন নবপত্রিকা প্রবেশের পর দেবীর চক্ষুদান করা হত। কিন্তু, যেহেতু মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়, তাই পরবর্তীকালে মহালয়ার দিনই প্রতিমার চক্ষু আঁকার চল শুরু হয়। এখন তো সময় অনেক পালটেছে। বর্তমানে বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা কত বেড়েছে। তাই অনেক শিল্পী কাজের সুবিধার্থে মহালয়ার আগেই দেবী দুর্গার চক্ষুদান সেরে ফেলেন। যদিও মহালয়ায় চক্ষুদানের গুরুত্ব অপরিসীম, এটা তো মানতেই হবে। আর, মহালয়া মানেই দুর্গা পুজোর আর ঠিক এক সপ্তাহ। এদিনের পর থেকেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যায়। চারিদিকে পুরদস্তুর শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি উদযাপন। সমস্ত অন্ধকার কে দূরে সরিয়ে আলোর উচ্ছাসে গা ভাসায় আপামর বাঙালি।
সূত্র : প্রথম কলকাতা

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com