ঢাকা, ১৪ অক্টোবর (ঢাকা পোস্ট) : বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার (তারেক জিয়া) মা এতো অসুস্থ, ছেলে কেন মাকে দেখতে আসে না? এটা কেমন ছেলে? মা এখন ঘরে পড়ে মরে, সে নাকি যখন তখন মরে যাবে, হ্যাঁ বয়স হয়েছে, আবার অসুস্থ। তাহলে দেখতে আসে না কেন? শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব প্রশ্ন রাখেন।
তিনি বলেন, আমি বলব, মাকে দেখতে আসুক। খালেদা জিয়ার আরেক ছেলে কোকো মারা গেল, তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির মামলা ছিল। সে মালয়েশিয়াতে মারা যায়। তার লাশ আসে। আমি একজন মা, আমারও সন্তান আছে, আমি খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিলাম। আমি যখন সেই বাসার সামনে যাই, বাসার গেট তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ভেতরে বিএনপি নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গেটে তালা দিয়ে আমাকে ঢুকতে দেবে না। কত বড় অপমান আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন। আমি গেছি সহানুভূতি দেখাতে, আমাকে ঢুকতে দেয় না। খালেদা জিয়া ভুলে গেছেন, সেই একাত্তরের পর কতবার সে ৩২ নম্বরে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব না থাকলে, আমার মা সহযোগিতা না করলে বেগম জিয়া হিসেবে নিজের নাম পরিচয় দিতে পারতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই তার (খালেদা জিয়া) বোন এসে কান্নাকাটি করল, তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজকে দেখি, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে নাকি অনশন করে। আমি বলতে চাই, তারা কয়টা থেকে অনশন শুরু করেছেন? বাসায় কি দিয়ে নাস্তা করে এসেছেন? বাড়ি গিয়ে কি দিয়ে খাবেন? কয় ঘণ্টার অনশন? নাটক করার তো সীমা থাকে। সেই নাটকই করে যাচ্ছেন তারা।
‘তারা অনশন করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চায়— নেবেটা কে? যে ছেলে মাকে দেখতে আসে না, সে নেবে? সে আশাও দুরাশা।’
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) নাকি আমাদেরকে উৎখাত করে দেবে, সময় দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। বিজয়ের মাস, সে মাসে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎক্ষেপ করবে? যে সরকারকে বারবার জনগণ নির্বাচিত করেছে, দেশের মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। তবে হ্যাঁ, তারা ক্ষমতায় থাকতে প্রচুর টাকা বানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, লুটপাট, মানি লন্ডারিং, হত্যার কারণে এদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়। সেই সময় মুচলেকা দিয়ে খালেদা জিয়ার ছেলে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। জীবনে আর নাকি রাজনীতি করবে না। যে টাকা সে মানি লন্ডারিং করেছিল, যেটা ধরা পড়েছিল এফবিআই এসে বাংলাদেশের সাক্ষী দিয়ে যায়। সেই মামলায় সে সাজাপ্রাপ্ত। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার সাক্ষীতেই সে সাজাপ্রাপ্ত।
তিনি বলেন, আমি বলব, মাকে দেখতে আসুক। খালেদা জিয়ার আরেক ছেলে কোকো মারা গেল, তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির মামলা ছিল। সে মালয়েশিয়াতে মারা যায়। তার লাশ আসে। আমি একজন মা, আমারও সন্তান আছে, আমি খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিলাম। আমি যখন সেই বাসার সামনে যাই, বাসার গেট তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ভেতরে বিএনপি নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গেটে তালা দিয়ে আমাকে ঢুকতে দেবে না। কত বড় অপমান আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন। আমি গেছি সহানুভূতি দেখাতে, আমাকে ঢুকতে দেয় না। খালেদা জিয়া ভুলে গেছেন, সেই একাত্তরের পর কতবার সে ৩২ নম্বরে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব না থাকলে, আমার মা সহযোগিতা না করলে বেগম জিয়া হিসেবে নিজের নাম পরিচয় দিতে পারতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই তার (খালেদা জিয়া) বোন এসে কান্নাকাটি করল, তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজকে দেখি, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে নাকি অনশন করে। আমি বলতে চাই, তারা কয়টা থেকে অনশন শুরু করেছেন? বাসায় কি দিয়ে নাস্তা করে এসেছেন? বাড়ি গিয়ে কি দিয়ে খাবেন? কয় ঘণ্টার অনশন? নাটক করার তো সীমা থাকে। সেই নাটকই করে যাচ্ছেন তারা।
‘তারা অনশন করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চায়— নেবেটা কে? যে ছেলে মাকে দেখতে আসে না, সে নেবে? সে আশাও দুরাশা।’
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) নাকি আমাদেরকে উৎখাত করে দেবে, সময় দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। বিজয়ের মাস, সে মাসে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎক্ষেপ করবে? যে সরকারকে বারবার জনগণ নির্বাচিত করেছে, দেশের মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। তবে হ্যাঁ, তারা ক্ষমতায় থাকতে প্রচুর টাকা বানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, লুটপাট, মানি লন্ডারিং, হত্যার কারণে এদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়। সেই সময় মুচলেকা দিয়ে খালেদা জিয়ার ছেলে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। জীবনে আর নাকি রাজনীতি করবে না। যে টাকা সে মানি লন্ডারিং করেছিল, যেটা ধরা পড়েছিল এফবিআই এসে বাংলাদেশের সাক্ষী দিয়ে যায়। সেই মামলায় সে সাজাপ্রাপ্ত। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার সাক্ষীতেই সে সাজাপ্রাপ্ত।