ঢাকা, ২৮ অক্টোবর : বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ। আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিবসটি পালন করে আসছেন। তাই ভিক্ষুসংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তিথি।
‘প্রবারণা’ শব্দের অর্থ প্রকৃষ্টরূপে বরণ করা, নিষেধ করা ইত্যাদি। ‘বরণ করা’ অর্থে বিশুদ্ধ বিনয়াচারে জীবন পরিচালিত করার আদর্শে ব্রতী হওয়া; আর ‘নিষেধ’ অর্থে আদর্শ ও ধর্মাচারের পরিপন্থী কাজ থেকে দূরে থাকাকে বোঝায়। এই ধর্মাচার অনুযায়ী, বর্ষাবাস শেষে ভিক্ষুসংঘ নিজেদের দোষত্রুটি অন্য ভিক্ষুসংঘের কাছে প্রকাশ করে তার প্রায়শ্চিত্ত বিধানের আহ্বান জানায়।
এমনকি নিজের অজান্তে কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে তার জন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। এভাবেই দৈনন্দিন জীবনযাপনে ঘটে যাওয়া সচেতন বা অসচেতন যেকোনো দোষকে বর্জন করে গুণের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার চেতনা গড়ে তোলাই এই প্রবারণার উদ্দেশ্য। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস দেশের প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসব।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, মঙ্গলসূত্র পাঠ, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল উপসথ শীলগ্রহণ, মহাসংঘদান, অতিথি আপ্যায়ন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনা সভা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা, বিশ্বশান্তি কামনায় সম্মিলিত উপাসনা, ফানুস উড্ডয়ন ও বুদ্ধ-কীর্তন।
‘প্রবারণা’ শব্দের অর্থ প্রকৃষ্টরূপে বরণ করা, নিষেধ করা ইত্যাদি। ‘বরণ করা’ অর্থে বিশুদ্ধ বিনয়াচারে জীবন পরিচালিত করার আদর্শে ব্রতী হওয়া; আর ‘নিষেধ’ অর্থে আদর্শ ও ধর্মাচারের পরিপন্থী কাজ থেকে দূরে থাকাকে বোঝায়। এই ধর্মাচার অনুযায়ী, বর্ষাবাস শেষে ভিক্ষুসংঘ নিজেদের দোষত্রুটি অন্য ভিক্ষুসংঘের কাছে প্রকাশ করে তার প্রায়শ্চিত্ত বিধানের আহ্বান জানায়।
এমনকি নিজের অজান্তে কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে তার জন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। এভাবেই দৈনন্দিন জীবনযাপনে ঘটে যাওয়া সচেতন বা অসচেতন যেকোনো দোষকে বর্জন করে গুণের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার চেতনা গড়ে তোলাই এই প্রবারণার উদ্দেশ্য। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস দেশের প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসব।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, মঙ্গলসূত্র পাঠ, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল উপসথ শীলগ্রহণ, মহাসংঘদান, অতিথি আপ্যায়ন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনা সভা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা, বিশ্বশান্তি কামনায় সম্মিলিত উপাসনা, ফানুস উড্ডয়ন ও বুদ্ধ-কীর্তন।