ঢাকা, ২ নভেম্বর (ঢাকা পোস্ট) : সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবি আদায়ে আবারও ২ দিনের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ পালন করবে তারা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।
অবরোধের পাশাপাশি শুক্রবার বিশেষ দোয়া কর্মসূচিও ঘোষণা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে চলমান আন্দোলনে মারা যাওয়া নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিএনপির পক্ষ থেকে শুক্রবার দেশজুড়ে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হবে।
রিজভী বলেন, আপনারা জানেন ২৮ অক্টোবর একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। সাধারণ মানুষের এই গণজোয়ার ক্ষমতাসীনরা সহ্য করতে পারেনি। সে জন্য একটি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেই দিনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশটি পণ্ডু করে দেওয়া হয়। এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যাতে প্রমাণিত হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত।
রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ দলের ২৭২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৪৮ জন। এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা করছে। আবার কোথাও-কোথাও পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যৌথ হামলা করছে। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। অনেকে আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। তারপরও গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ওই দিনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত বলছে, এটা সরকারের পূর্ব পরিকল্পনার ফসল। সেদিনের সমাবেশটি কোনো আনন্দের সমাবেশ ছিল না। সেটি ছিল প্রতিবাদের সমাবেশ, মানুষের অধিকার সুরক্ষার সমাবেশ। এ দেশের মানুষ নিজেকে বন্দি মনে করছে, অবরুদ্ধ মনে করছে। দেশে শ্বাস নেওয়া যেন অত্যন্ত কষ্টকর। এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে দেশ পার করছে মানুষ। এ কারণেই ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ছিল।
রিজভী এ নেতা বলেন, বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি আজ শেষ হয়েছে। দেশের জনগণ এ অবরোধ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। তাই সরকারের নানা হুমকি ধমকির পরও দেশের মানুষ সেটি পালন করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বাস মালিক ও ট্রাক মালিকদের নির্দেশ দিয়েও রাস্তায় গাড়ি নামাতে পারেনি। রাস্তাঘাট ফাঁকাই থেকেছে।
তিনি বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।
অবরোধের পাশাপাশি শুক্রবার বিশেষ দোয়া কর্মসূচিও ঘোষণা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে চলমান আন্দোলনে মারা যাওয়া নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিএনপির পক্ষ থেকে শুক্রবার দেশজুড়ে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হবে।
রিজভী বলেন, আপনারা জানেন ২৮ অক্টোবর একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। সাধারণ মানুষের এই গণজোয়ার ক্ষমতাসীনরা সহ্য করতে পারেনি। সে জন্য একটি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেই দিনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশটি পণ্ডু করে দেওয়া হয়। এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যাতে প্রমাণিত হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত।
রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ দলের ২৭২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৪৮ জন। এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা করছে। আবার কোথাও-কোথাও পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যৌথ হামলা করছে। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। অনেকে আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। তারপরও গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ওই দিনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত বলছে, এটা সরকারের পূর্ব পরিকল্পনার ফসল। সেদিনের সমাবেশটি কোনো আনন্দের সমাবেশ ছিল না। সেটি ছিল প্রতিবাদের সমাবেশ, মানুষের অধিকার সুরক্ষার সমাবেশ। এ দেশের মানুষ নিজেকে বন্দি মনে করছে, অবরুদ্ধ মনে করছে। দেশে শ্বাস নেওয়া যেন অত্যন্ত কষ্টকর। এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে দেশ পার করছে মানুষ। এ কারণেই ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ছিল।
রিজভী এ নেতা বলেন, বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি আজ শেষ হয়েছে। দেশের জনগণ এ অবরোধ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। তাই সরকারের নানা হুমকি ধমকির পরও দেশের মানুষ সেটি পালন করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বাস মালিক ও ট্রাক মালিকদের নির্দেশ দিয়েও রাস্তায় গাড়ি নামাতে পারেনি। রাস্তাঘাট ফাঁকাই থেকেছে।