কলকাতা, ১২ নভেম্বর : রাজনৈতিক অস্থিরতায় জ্বলছে বাংলাদেশ। আর চুপ থাকতে পারল না ভারত। যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের বিশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ। কি কথা হল? ঘনাচ্ছে রহস্য। এই বৈঠকেই কি তাহলে রয়েছে কোন সলিউশন? বাংলাদেশের ছবি ফাঁস করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র! ভারত কোন দিকে? কাকে বেশি সাপোর্ট করবে? ছবিটা পরিষ্কার। সাফ জানিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রকে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে ছিল বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রসঙ্গ। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ভারতের তরফে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শংকর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, সামনে বাংলাদেশের নির্বাচন। তার মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় উত্তপ্ত দেশটার মাটি। যার খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর প্রতিবেদন বলছে, ইন্দো প্যাসিফিকে ধীরে ধীরে একছত্র প্রভাব বাড়িয়ে যাচ্ছে চীন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত দরকার। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে যায় ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র। ভারত-মার্কিন স্ট্র্যাটিজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ইস্যুগুলো আসা স্বাভাবিক। সেখানেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে বাংলাদেশ।
ভারত কিন্তু প্রথম থেকেই বলে এসেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন দেশটার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এবার বিষয়টা আরো পরিস্কার করে দিল ভারত। সম্প্রতি যেভাবে বাংলাদেশে ধরপাকড় গ্রেফতার চলছে সেই নিয়েও মুখ খুলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। স্পষ্ট কথা, তিনি কোন দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চান না। বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে তাদের ভবিষ্যৎ। ভারত ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে। স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ভারত সমর্থন করে, ভবিষ্যতেও করবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত ঠিক কি ভাবছে? নিশ্চয়ই আপনারও জানতে ইচ্ছা হচ্ছে। এবার তা স্পষ্ট কথায় জানিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রকে। তৃতীয় কোন দেশ নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের নীতির মধ্যে নেই। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত। বাংলাদেশ সহ আঞ্চলিক বিষয়ে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের কথায়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের নির্বাচন দেশটির সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। নির্বাচনের বিষয়ে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশের জনগণ। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তাহলে কি বৈঠকে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়ে গেল, বাংলাদেশের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে একমত নয় ভারত! মিলছে না মনোভাব। ভারত চলছে নিরপেক্ষ আর বন্ধুত্বের পথে। এরপরেও কি যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আর আলোচনা করবে?
সূত্র : প্রথম কলকাতা
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে ছিল বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রসঙ্গ। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ভারতের তরফে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শংকর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, সামনে বাংলাদেশের নির্বাচন। তার মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় উত্তপ্ত দেশটার মাটি। যার খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর প্রতিবেদন বলছে, ইন্দো প্যাসিফিকে ধীরে ধীরে একছত্র প্রভাব বাড়িয়ে যাচ্ছে চীন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত দরকার। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে যায় ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র। ভারত-মার্কিন স্ট্র্যাটিজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ইস্যুগুলো আসা স্বাভাবিক। সেখানেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে বাংলাদেশ।
ভারত কিন্তু প্রথম থেকেই বলে এসেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন দেশটার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এবার বিষয়টা আরো পরিস্কার করে দিল ভারত। সম্প্রতি যেভাবে বাংলাদেশে ধরপাকড় গ্রেফতার চলছে সেই নিয়েও মুখ খুলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। স্পষ্ট কথা, তিনি কোন দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চান না। বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে তাদের ভবিষ্যৎ। ভারত ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে। স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ভারত সমর্থন করে, ভবিষ্যতেও করবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত ঠিক কি ভাবছে? নিশ্চয়ই আপনারও জানতে ইচ্ছা হচ্ছে। এবার তা স্পষ্ট কথায় জানিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রকে। তৃতীয় কোন দেশ নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের নীতির মধ্যে নেই। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত। বাংলাদেশ সহ আঞ্চলিক বিষয়ে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের কথায়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের নির্বাচন দেশটির সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। নির্বাচনের বিষয়ে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশের জনগণ। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তাহলে কি বৈঠকে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়ে গেল, বাংলাদেশের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে একমত নয় ভারত! মিলছে না মনোভাব। ভারত চলছে নিরপেক্ষ আর বন্ধুত্বের পথে। এরপরেও কি যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আর আলোচনা করবে?
সূত্র : প্রথম কলকাতা