পৃথিবীকে লোহার জালে বাঁধছে যুক্তরাষ্ট্র! ভয়ানক চক্রব্যূহে চীন রাশিয়া

আপলোড সময় : ১৪-১১-২০২৩ ০১:২২:৩২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-১১-২০২৩ ০১:২২:৩২ পূর্বাহ্ন
কলকাতা, ১৪ নভেম্বর : হামাসকে ঘায়েল করতে যুক্তরাষ্ট্র একাই একশো? গোটা বিশ্বকে কোন অদৃশ্য মায়াজালে বাঁধছে আমেরিকা? পৃথিবীর মাটিতে কোন ভয়ানক লোহার জাল বিছিয়ে দিচ্ছে বাইডেনের দেশ? ইসরাইলের বড় সাপোর্ট, চীনের স্ট্রিং অফ পার্লস কী ডাহা ফেইল করছে? রাশিয়া আষ্টেপৃষ্ঠে যাচ্ছে আমেরিকার সামরিক জালে? পৃথিবীর বুকে কত বড় ট্র্যাপ বানাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। গোটা পৃথিবীতে এতো গোপন ডেরা? একটা সুইচেই সবটা অপারেট করে যুক্তরাষ্ট্র? রাশিয়া চীনকে সবক শেখাতে কি করছে বাইডেনের দেশ। খেলাটা একবার দেখুন।যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যে কোনো দেশকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো দেশ বা সাম্রাজ্য বিশ্বজুড়ে এতো সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেনি, যতটি করেছে করছে যুক্তরাষ্ট্র। সারা বিশ্বে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির বেশিরভাগই তৈরি হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। ওই সময় সবাইকে হটিয়ে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয় আমেরিকা। যুদ্ধে জয়ী শক্তি হিসেবে জাপান ও জার্মানিতে শান্তিরক্ষীর দায়িত্ব পালন করে দেশটা।
সেই সময় দুটো দেশে ১০ এর বেশি মার্কিন ঘাঁটিতৈরি করা হয়। মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বিস্তারের কাজ উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে। পৃথিবীর অন্তত ৮০টি দেশে প্রায় ৭৫০টি আমেরিকার সেনাঘাঁটি রয়েছে। যদিও আসল সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের কারণ মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন দেশটির সঠিক সামরিক ইনফো কখনোই প্রকাশ করে না। এটা খুবই কনফিডেন্সিয়াল। এ ছাড়া বিশ্বের ১৫৯টি দেশে মার্কিন সেনা উপস্থিতি রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার সেনা। এসব সামরিক ঘাঁটি ও হাজার হাজার সেনা পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করে, তা বিশ্বের শীর্ষ ১০ টা দেশের মোট খরচের চেয়েও বেশি। যে জার্মানি আর জাপানের কথা আগেই উল্লেখ করেছি সেখানে যুক্তরাষ্ট্র রীতিমতো তলে তলে সামরিক জাল বিছিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চসংখ্যক ঘাঁটি রয়েছে অন্যতম প্রধান মিত্র দেশ জাপানে, ১২০টি। এরপরই রয়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানি। সেখানে মোট ১১৯টি মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে। ৭৩টি মার্কিন ঘাঁটির জায়গা দিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০ বছর পরও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের এখনো অনেক ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটেনে ২৫টি, ইতালিতে ৪৪ টি, স্পেনে ৪টি ঘাঁটি।তুরস্কেও বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে আমেরিকার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাঁটি রয়েছে কুয়েত ও সৌদি আরবে। দেশ দুটিতে ১০টি করে মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে। এই মুহূর্তে যে মধ্যপ্রাচ্যে এত বড় যুদ্ধটা চলছে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে। যে যুদ্ধে ইসরাইলকে সাপোর্ট করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সবচেয়ে বড় ঘাঁটিটি রয়েছে কাতারের দোহায়। ওই ঘাঁটিতে সবসময় ১১ হাজার মার্কিন সেনার পাশাপাশি অসংখ্য ড্রোন ও প্রায় ১০০টি যুদ্ধবিমান রাখা থাকে। এ ছাড়া ইরানের দু পাশে মার্কিন বাহিনীর অন্তত ১৯টি ঘাঁটি সহজেই চোখে পড়ে।এসব ঘাঁটির জন্য মার্কিনিদের প্রয়োজন পড়েছে ৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪১১টি ভবন, তিন কোটি একর ভূমি। চাট্টিখানি কথা কিন্তু নয়। সে হিসাবে পেন্টাগন হচ্ছে, বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভূমি-মালিক। বলার অপেক্ষা রাখে না এসব সামরিক ঘাঁটির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে একচেটিয়া কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করাই আমেরিকার এক এবং একমাত্র বড় লক্ষ্য।আর সেই রাস্তায় পথের কাঁটা চীন এবং রাশিয়া, দুই দেশ। যাদেরকে সবক শেখাতে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : প্রথম কলকাতা

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com