ঢাকা, ১৯ নভেম্বর (ঢাকা পোস্ট) : একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ও সরকার পতনের দাবিতে বিরোধী জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। রোবারর (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে সর্বাত্মক এই হরতাল কর্মসূচি চলবে।
বিএনপির এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে পৃথকভাবে হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এলডিপি।
এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীতে চারটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা গেছে, রাতে রাজধানীর মিরপুরে বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে মিরপুরের কালশী সড়কে বাসটিতে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নির্বাপণ করে।
এর আগে ধানমন্ডি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সাভার থেকে ছেড়ে আসা মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পলাশী ব্যারাক ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপন করে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে কোমল পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়া হয়। এর আগে সন্ধ্যায় রাজধানীর কাফরুলের তালতলায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে রাত ১টা ২০ মিনিটে জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম ঢাকা পোস্টকে জানান, ট্রেনে আগুনের সংবাদ পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এতে সহযোগিতা করেন পুলিশ সদস্যরা। তিনটি বগিতে একসঙ্গে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এছাড়াও রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে একটি বাসে, পৌনে ১০টায় জয়পুরহাটে একটি পিকআপ ভ্যানে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় আরেকটি পিকআপ ভ্যানে, রাত সাড়ে ১১টায় কুমিল্লায় একটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি, বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ হাজার-হাজার নেতাকর্মীর মুক্তিসহ চলমান আন্দোলনের একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যে ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে রোববার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৪৮ ঘণ্টা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার হরতালকে সাফল্যমণ্ডিত ও সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য সারা দেশের নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সাহস নিয়ে বুক চিতিয়ে রাজপথে দাঁড়াবেন। সমমনা দল, জোট ও গণতন্ত্রকামী সকল মানুষকে এই হরতাল পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর পাঁচ দফায় ১১ দিন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যা শেষ হয় গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে।
বিএনপির এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে পৃথকভাবে হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এলডিপি।
এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীতে চারটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা গেছে, রাতে রাজধানীর মিরপুরে বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে মিরপুরের কালশী সড়কে বাসটিতে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নির্বাপণ করে।
এর আগে ধানমন্ডি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সাভার থেকে ছেড়ে আসা মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পলাশী ব্যারাক ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপন করে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে কোমল পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়া হয়। এর আগে সন্ধ্যায় রাজধানীর কাফরুলের তালতলায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে রাত ১টা ২০ মিনিটে জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম ঢাকা পোস্টকে জানান, ট্রেনে আগুনের সংবাদ পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এতে সহযোগিতা করেন পুলিশ সদস্যরা। তিনটি বগিতে একসঙ্গে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এছাড়াও রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে একটি বাসে, পৌনে ১০টায় জয়পুরহাটে একটি পিকআপ ভ্যানে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় আরেকটি পিকআপ ভ্যানে, রাত সাড়ে ১১টায় কুমিল্লায় একটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি, বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ হাজার-হাজার নেতাকর্মীর মুক্তিসহ চলমান আন্দোলনের একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যে ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে রোববার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৪৮ ঘণ্টা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার হরতালকে সাফল্যমণ্ডিত ও সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য সারা দেশের নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সাহস নিয়ে বুক চিতিয়ে রাজপথে দাঁড়াবেন। সমমনা দল, জোট ও গণতন্ত্রকামী সকল মানুষকে এই হরতাল পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর পাঁচ দফায় ১১ দিন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যা শেষ হয় গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে।