কলকাতা, ২৩ নভেম্বর : আমরা মাঝেমধ্যেই আমাদের স্মার্টফোন থেকে বিভিন্ন ফাইল ডিলিট করে দিই। স্টোরেজ বাঁচানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করে দিই আমরা। এবার আপনি বলুন তো, ডিলিট করার পরেই কি ফাইলের অস্তিত্ব শেষ হয়ে যায়? আপনি বলবেন, তা কেনো। সে তো রিসাইকেল বিনে থাকে। ঠিক। কিন্তু রিসাইকেল বিনও যদি ফাঁকা করে দেওয়া হয়, তখন? তখন সেইসব ফাইল কোথায় যায় ভেবে দেখেছেন কি? এই ধরুন, কয়েকদিন আগে আপনি একটি মুভি ডিলিট করলেন। কিংবা আপনার স্মার্টফোনে তোলা যে ছবিটি ভাল হয়নি বলে সাথে সাথে ডিলিট করে দিলেন, সেগুলো কোথায় গেল?মহাশূন্যে? তা কি আর ফিরে পাওয়া সম্ভব?
আপনি জানলে অবাক হবেন, এই প্রতিটা ফাইলই ফিরে পাওয়া সম্ভব। কারণ তা কোথাও যায় না। থাকে আপনার পিসি, ল্যাপটপ বা মুঠোফোনেই। একবার ভেবে দেখুন তো, আপনার আজকের ডিলিট করা একটি ফাইল যদি এখন থেকে একশো বছর পরে কেউ খুঁজে পায়? কিংবা ভাবুন, আপনার আজকের ডিলিট করা একটি ছবি যদি আরও এক হাজার বছর পরে ফিরিয়ে আনা হয়? লিক হওয়ার ভয়ে আপনার পিসির আজকের ডিলিট করা ব্রাউজিং হিস্টোরি যদি ৫০ বছর পরে আপনার ছেলে-মেয়ে খুঁজে পায়? তবে কেমন হবে? সত্যিই কি তা পাওয়া সম্ভব?অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু কিভাবে! বেশ ইন্টারেস্টিং তাই না?চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
প্রথমেই বলে নেওয়া যাক, কোনও কিছুই ডিলিট হয় না।এক্কেবারে ডিলিট করা যায় না। সব ফাইল আছে আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই তো?ফাইল Recycle Bin ফোল্ডারে পাঠিয়ে সকলের ডিলিট প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখনও ফাইলটি আপনার ড্রাইভে একটি টেম্পোরারি ডিরেক্টরিতে থেকেই যায়। সেটি আপনার ড্রাইভের স্পেস দখল করে। কিন্তু যখন আপনি রিসাইকেল বিন থেকেও ফাইলটি ডিলিট করে দেন তখন কি হয়? কোথায় যায় ফাইলটি? আসলে রিসাইকেল বিন থেকে ডিলিট করে দিলেও ফাইলটির স্পেস কিন্ত খালি হয়ে যায় না। ওই স্পেসটুকুকে শুধু খালি হিসেবে মার্ক করা হয়। এই খালি হিসেবে মার্ক করার ফলে ওই স্পেসটুকু নতুন কোন ডেটা বা নতুন কোন ফাইল রাখার জন্য এভেলেবল হয়ে যায়। ফাইলটি যেখানে ছিল সেই স্পেসটি খালি হয়ে যায়। কিন্তু ফাইলটি কিন্তু এখনো কোথাও সরে যায়নি।
ফাইলটি ডিলিট করলে কম্পিউটার শুধুমাত্র আপনার ফাইলের রেফারেন্সগুলো রিমুভ করে দেয়। ফাইলের রেফারেন্স রিমুভ করলে কম্পিউটার ফাইলটিকে আর রিড করতে পারেনা। তাহলে আপনি বলবেন ডিলিট করা ফাইলগুলো সহজেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব যেহেতু সেগুলো এখনো আছে। ঠিক তাই। সহজেই ঠিক নয়, কিন্তু কঠিনে হলেও ডিলিট করা ফাইল ফিরিয়ে আনা সম্ভব। স্পেশাল ডেটা রিকভারি টুল হার্ড ড্রাইভের ডিরেক্টরি থেকে খালি বা Empty হিসেবে মার্ক করা স্পেসগুলিকে খুঁজে বের করে।আপনার ডিলিট করা ফাইলগুলো হার্ড ড্রাইভে ততক্ষন পর্যন্ত থাকবে যতক্ষন না সেই ফাইলটির স্পেসটিকে অন্য কোন নতুন ফাইলের জন্য রিজার্ভ করা হচ্ছে। বা যে স্পেসে আপনার ফাইলটি ছিল ওই স্পেসটি নতুন কোন ডেটা বা ফাইল দ্বারা ওভাররাইট করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও একশো শতাংশ নিশ্চয়তা নেই। এখানে চলে আসে ” ব্যাড সেক্টর”। ব্যাড সেক্টর হচ্ছে আপনার কম্পিউটারের এমন কিছু ডিরেক্টরি যেগুলোতে আপনি কখনোই এক্সেস করতে পারবেন না। এসব ডিরেক্টরিতে কিছু চেঞ্জ করলে আপনার পিসি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। বা অন্য কোন ধরনের ক্ষতি হবে।
যাই হোক, এর মানে হচ্ছে এসব ব্যাড সেক্টরে যেসব ফাইল থাকবে সেগুলো কখনোই ডিলিট হবেনা। তাই বলাই যায় ফাইল সম্পূর্ণভাবে ডিলিট করা সম্ভব নয়।একমাত্র উপায় হচ্ছে আপনার হার্ড ড্রাইভ বা পিসি বা মেমরি বা সিপিইউ সবকিছু ধ্বংস করে ফেলা। যাতে কেউ কখনো মেমরিটিই এক্সেস না করতে পারে। ইউএস, আফ্রিকা, জাপান সেটাই করছে। রিকভার করার এক শতাংশও চান্স না থাকা নিশ্চিত করতে তারা ইলেকট্রনিক ওয়েস্টগুলো ঘানার একটি জায়গায় পাঠায় সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলার জন্য। ঘানার এই জায়গাটি World’s Digital Dumping Ground নামে পরিচিত।এখানে এই সব মেমরি বা হার্ডড্রাইভগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু, আপনি জানলে অবাক হবেন যে এখান থেকেও ফাইলগুলোকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পৃথিবীর বিভিন্ন সাইবার অপরাধী বা অন্যান্য কিছু লোকজন দাবি করে থাকেন যে ঘানার এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে তারা অনেক ডাটা রিকভার করতে পেরেছে। এসব ডাটার মধ্যে তারা মিলিওন ডলারের এগ্রিমেন্ট, বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান ফর্মুলা এবং আরো অনেক কিছু পেয়েছে। তাহলেই ভাবুন। ফাইল ডিলিট করা কতোটা কঠিন।
সৌজন্যে প্রথম কলকাতা
আপনি জানলে অবাক হবেন, এই প্রতিটা ফাইলই ফিরে পাওয়া সম্ভব। কারণ তা কোথাও যায় না। থাকে আপনার পিসি, ল্যাপটপ বা মুঠোফোনেই। একবার ভেবে দেখুন তো, আপনার আজকের ডিলিট করা একটি ফাইল যদি এখন থেকে একশো বছর পরে কেউ খুঁজে পায়? কিংবা ভাবুন, আপনার আজকের ডিলিট করা একটি ছবি যদি আরও এক হাজার বছর পরে ফিরিয়ে আনা হয়? লিক হওয়ার ভয়ে আপনার পিসির আজকের ডিলিট করা ব্রাউজিং হিস্টোরি যদি ৫০ বছর পরে আপনার ছেলে-মেয়ে খুঁজে পায়? তবে কেমন হবে? সত্যিই কি তা পাওয়া সম্ভব?অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু কিভাবে! বেশ ইন্টারেস্টিং তাই না?চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
প্রথমেই বলে নেওয়া যাক, কোনও কিছুই ডিলিট হয় না।এক্কেবারে ডিলিট করা যায় না। সব ফাইল আছে আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই তো?ফাইল Recycle Bin ফোল্ডারে পাঠিয়ে সকলের ডিলিট প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখনও ফাইলটি আপনার ড্রাইভে একটি টেম্পোরারি ডিরেক্টরিতে থেকেই যায়। সেটি আপনার ড্রাইভের স্পেস দখল করে। কিন্তু যখন আপনি রিসাইকেল বিন থেকেও ফাইলটি ডিলিট করে দেন তখন কি হয়? কোথায় যায় ফাইলটি? আসলে রিসাইকেল বিন থেকে ডিলিট করে দিলেও ফাইলটির স্পেস কিন্ত খালি হয়ে যায় না। ওই স্পেসটুকুকে শুধু খালি হিসেবে মার্ক করা হয়। এই খালি হিসেবে মার্ক করার ফলে ওই স্পেসটুকু নতুন কোন ডেটা বা নতুন কোন ফাইল রাখার জন্য এভেলেবল হয়ে যায়। ফাইলটি যেখানে ছিল সেই স্পেসটি খালি হয়ে যায়। কিন্তু ফাইলটি কিন্তু এখনো কোথাও সরে যায়নি।
ফাইলটি ডিলিট করলে কম্পিউটার শুধুমাত্র আপনার ফাইলের রেফারেন্সগুলো রিমুভ করে দেয়। ফাইলের রেফারেন্স রিমুভ করলে কম্পিউটার ফাইলটিকে আর রিড করতে পারেনা। তাহলে আপনি বলবেন ডিলিট করা ফাইলগুলো সহজেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব যেহেতু সেগুলো এখনো আছে। ঠিক তাই। সহজেই ঠিক নয়, কিন্তু কঠিনে হলেও ডিলিট করা ফাইল ফিরিয়ে আনা সম্ভব। স্পেশাল ডেটা রিকভারি টুল হার্ড ড্রাইভের ডিরেক্টরি থেকে খালি বা Empty হিসেবে মার্ক করা স্পেসগুলিকে খুঁজে বের করে।আপনার ডিলিট করা ফাইলগুলো হার্ড ড্রাইভে ততক্ষন পর্যন্ত থাকবে যতক্ষন না সেই ফাইলটির স্পেসটিকে অন্য কোন নতুন ফাইলের জন্য রিজার্ভ করা হচ্ছে। বা যে স্পেসে আপনার ফাইলটি ছিল ওই স্পেসটি নতুন কোন ডেটা বা ফাইল দ্বারা ওভাররাইট করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও একশো শতাংশ নিশ্চয়তা নেই। এখানে চলে আসে ” ব্যাড সেক্টর”। ব্যাড সেক্টর হচ্ছে আপনার কম্পিউটারের এমন কিছু ডিরেক্টরি যেগুলোতে আপনি কখনোই এক্সেস করতে পারবেন না। এসব ডিরেক্টরিতে কিছু চেঞ্জ করলে আপনার পিসি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। বা অন্য কোন ধরনের ক্ষতি হবে।
যাই হোক, এর মানে হচ্ছে এসব ব্যাড সেক্টরে যেসব ফাইল থাকবে সেগুলো কখনোই ডিলিট হবেনা। তাই বলাই যায় ফাইল সম্পূর্ণভাবে ডিলিট করা সম্ভব নয়।একমাত্র উপায় হচ্ছে আপনার হার্ড ড্রাইভ বা পিসি বা মেমরি বা সিপিইউ সবকিছু ধ্বংস করে ফেলা। যাতে কেউ কখনো মেমরিটিই এক্সেস না করতে পারে। ইউএস, আফ্রিকা, জাপান সেটাই করছে। রিকভার করার এক শতাংশও চান্স না থাকা নিশ্চিত করতে তারা ইলেকট্রনিক ওয়েস্টগুলো ঘানার একটি জায়গায় পাঠায় সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলার জন্য। ঘানার এই জায়গাটি World’s Digital Dumping Ground নামে পরিচিত।এখানে এই সব মেমরি বা হার্ডড্রাইভগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু, আপনি জানলে অবাক হবেন যে এখান থেকেও ফাইলগুলোকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পৃথিবীর বিভিন্ন সাইবার অপরাধী বা অন্যান্য কিছু লোকজন দাবি করে থাকেন যে ঘানার এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে তারা অনেক ডাটা রিকভার করতে পেরেছে। এসব ডাটার মধ্যে তারা মিলিওন ডলারের এগ্রিমেন্ট, বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান ফর্মুলা এবং আরো অনেক কিছু পেয়েছে। তাহলেই ভাবুন। ফাইল ডিলিট করা কতোটা কঠিন।
সৌজন্যে প্রথম কলকাতা