ওয়াশিংটন, ০১ এপ্রিল : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে গত ২৯ মার্চ একটি বিল উত্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে আর্থসামাজিক উন্নতি করেছে সেটির স্বীকৃতি দিতে বিলটি কংগ্রেসে তোলা হয়। কংগ্রেসের বাংলাদেশ বিষয়ক কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে বিলটি উত্থাপন করেন দক্ষিণ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন।
২০০১ সাল থেকে দক্ষিণ ক্যারোলিনার দ্বিতীয় কংগ্রেসনাল বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেসে রয়েছেন জো। বিলটি উত্থাপনের সময় জো উইলসন ৫১ বছর আগে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনেন।
এছাড়া বিলটিতে বাংলাদেশে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর চালানো বর্বরতার কথা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিলটিতে বলা হয়েছে, পাঁচ দশকে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক খাতে অসাধারণ উন্নতি করেছে। একটি গরিব দেশ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশে রূপ নিয়েছে।
এই বিলে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে ৭৩ বছর হয়েছে এবং বয়স্ক শিক্ষার হার প্রায় ৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এরপর বিলটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তার নেতৃত্বে আর্থসামাজিক, খাদ্য উৎপাদন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
এছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় মুসলিম দেশ হিসেবে নিজ অবস্থান ধরে রেখেছে এবং জঙ্গিবাদের হুমকি প্রশমিত করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারী শাসনের বদলে গণতন্ত্রকেই সমর্থন করে বলে এই বিলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি বলা হয়েছে বিলটিতে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার এবং সরাসরি বৈদশিক বিনিয়োগের অন্যতম বড় সূত্র। অপরদিকে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় সাধারণ মার্কিনিরা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিলটিতে।
এছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবদান রাখার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। দুই দেশের সাধারণ মানুষ এবং সরকার উন্নয়নের জন্য একে-অপরের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে।
বিলটির শেষে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পাঁচ দশক উদযাপনের সময় বাংলাদেশের মানুষের উন্নতিকে স্বীকৃতি এবং প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগী হিসেবে থাকবে বলে বলা হয়েছে এতে।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট
২০০১ সাল থেকে দক্ষিণ ক্যারোলিনার দ্বিতীয় কংগ্রেসনাল বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেসে রয়েছেন জো। বিলটি উত্থাপনের সময় জো উইলসন ৫১ বছর আগে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনেন।
এছাড়া বিলটিতে বাংলাদেশে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর চালানো বর্বরতার কথা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিলটিতে বলা হয়েছে, পাঁচ দশকে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক খাতে অসাধারণ উন্নতি করেছে। একটি গরিব দেশ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশে রূপ নিয়েছে।
এই বিলে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে ৭৩ বছর হয়েছে এবং বয়স্ক শিক্ষার হার প্রায় ৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এরপর বিলটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তার নেতৃত্বে আর্থসামাজিক, খাদ্য উৎপাদন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
এছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় মুসলিম দেশ হিসেবে নিজ অবস্থান ধরে রেখেছে এবং জঙ্গিবাদের হুমকি প্রশমিত করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারী শাসনের বদলে গণতন্ত্রকেই সমর্থন করে বলে এই বিলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি বলা হয়েছে বিলটিতে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার এবং সরাসরি বৈদশিক বিনিয়োগের অন্যতম বড় সূত্র। অপরদিকে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় সাধারণ মার্কিনিরা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিলটিতে।
এছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবদান রাখার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। দুই দেশের সাধারণ মানুষ এবং সরকার উন্নয়নের জন্য একে-অপরের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে।
বিলটির শেষে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পাঁচ দশক উদযাপনের সময় বাংলাদেশের মানুষের উন্নতিকে স্বীকৃতি এবং প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগী হিসেবে থাকবে বলে বলা হয়েছে এতে।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট