সিলেট, ২০ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সিলেট থেকে তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নিজের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে সবার কাছে নৌকায় ভোট চেয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা যাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী করেছি তাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আপনাদের কাছে সেটাই আমার আহ্বান।
আপনারা কি নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন? প্রধানমন্ত্রী সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে এ প্রশ্ন রাখলে উপস্থিত জনতা সমস্বরে দুই হাত তুলে তাতে সম্মতি জানায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে সমস্ত জায়গায় বোমাবাজি, গুলি, অগ্নিসন্ত্রাস, আর আগুন দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে, এত সাহস কোথা থেকে পায়?
শেখ হাসিনা আরও বলেন, লন্ডনে বসে একটা কুলাঙ্গার হুকুম দেয় আর কতগুলো লোক এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে, এটা তাদের মনে রাখা উচিত। তারা মনে করেছে দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে, (ব্যাপরটা) অত সহজ না।
তিনি বলেন, বিএনপি আজকে কী করছে? আমরা যখন দেশের উন্নয়নে কাজ করছি, তখন তাদের কাজ হলো আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ থাকলে এভাবে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে হত্যা করতে পারে না। আজকে তারা রেল পোড়াচ্ছে, বাস পোড়াচ্ছে, গাড়ি পোড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারি (২০১৪) নির্বাচন ছিল। সেই নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩ সালে এই বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। ৫৮২টা স্কুলঘর-ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়। ৭০টা সরকারি অফিস ভাঙে। ৩ হাজার ২৫২টা গাড়ি পুড়িয়ে ছিল। যেখানে যাত্রীবাহী গাড়ি ছিল, মানুষ সেখানে পুড়ে কয়লা হয়। ২৯টা রেলগাড়ি, ২টি লঞ্চ তারা পুড়িয়ে দেয়। ২০১৩-১৫ পর্যন্ত তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে তিন হাজারের বেশি মানুষ পুড়ে যায়। পাঁচশর মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আছে, জনগণের উন্নতি হচ্ছে। আজকে দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি।
বিদেশগামীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের যুবসমাজের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। দালাল ধরে বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই। ওই ব্যাংক থেকে আপনারা ঋণ নিতে পারেন, প্রয়োজনে বিনা জামানতে লোন দেওয়া হয়। কাজে সেইভাবে সবাই বিদেশে যাবেন। আর যারা রেমিট্যান্স পাঠায়, ওই হুন্ডি করে পাঠানো না, আমরা ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছি। এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ প্রেরণ করা যায়। অর্থ প্রেরণ সহজ করে দিয়েছি। আজকে সেইভাবে টাকা পাঠালে নিজের একটা সঞ্চয় হবে। আর প্রবাসী যারা কাজ শেষ করে দেশে আসবেন তারাও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন।
চা-শ্রমিকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করেছি। তাদের খাবার বাসস্থান, চিকিৎসা, ছেলে-মেয়েদের পড়া এবং মজুরি বাড়ানো সব ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সবসময় শ্রমিকদের পাশে আছে। কারণ এই শ্রমিকদের নাগরিকত্ব ছিল না। যে নাগরিককত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর আমি আসার পরে তাদের জন্য কাজ করি।
আমেরিকার কাছে গ্যাস বিক্রি না করায় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দিল না। কেন দিল না। বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক গ্যাস। ওই আমেরিকা প্রস্তাব করল গ্যাস বিক্রি করতে হবে। কারণ আমেরিকার কোম্পানি এখানে গ্যাস উত্তোলন করে। আমি বলেছিলাম আমি গ্যাস বেচবো না। এই গ্যাস আমাদের জনগণের, এই গ্যাস জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হবে। জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করে যদি ৫০ বছরের রিজার্ভ রেখে অতিরিক্ত থাকে তাহলে বেচবো। তারা খুব নাখোশ হলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। তা ছাড়া আমাদের দেশেরও কিছু লোক ছিল।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, যে বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণের ভোট চুরি করেছিল। ভোট চুরির অপরাধে এ দেশের মানুষ আন্দোলন করে ওই খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। সেই ক্ষমতাচ্যুত, ভোট চোর, জনগণের সম্পদ চোর বিএনপিকে ক্ষমতায় বসালো ভোট কারচুপির মাধ্যমে। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। সে ক্ষমতায় গেলে গ্যাস বেচবে। সেজন্য তার পিঠে বাহবা দিয়ে ক্ষমতায় বসালো। তার রেজাল্ট কী? দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, দুঃশাসন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলেছিলাম খালেদা জিয়া গ্যাস দিতে পারবে না। কারণ গ্যাস পাবেই না। আসলে পায়নি, গ্যাস দিতে পারেনি। এটা হলো বাস্তবতা। যে কূপ খনন করে খালেদা জিয়া গ্যাস পায়নি, আওয়ামী লীগের আমলে আমরা শুধু গ্যাস না সেই একই জায়গায় এবার আমরা তেলও পেয়েছি। আল্লাহ যখন কাউকে কিছু দেয়, সেটা জন বুঝেই ধন দেয়। এটা হলো বাস্তব কথা। আল্লাহ জানে ওদের কাছে দিলে নয়ছয় করবে। আর আওয়ামী লীগের হাতে পড়লে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে।
ঐতিহ্য মেনে সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহ পরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
মাজার জিয়ারতকালে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। পরে সমাবেশের মঞ্চেও উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানা।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা যাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী করেছি তাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আপনাদের কাছে সেটাই আমার আহ্বান।
আপনারা কি নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন? প্রধানমন্ত্রী সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে এ প্রশ্ন রাখলে উপস্থিত জনতা সমস্বরে দুই হাত তুলে তাতে সম্মতি জানায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে সমস্ত জায়গায় বোমাবাজি, গুলি, অগ্নিসন্ত্রাস, আর আগুন দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে, এত সাহস কোথা থেকে পায়?
শেখ হাসিনা আরও বলেন, লন্ডনে বসে একটা কুলাঙ্গার হুকুম দেয় আর কতগুলো লোক এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে, এটা তাদের মনে রাখা উচিত। তারা মনে করেছে দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে, (ব্যাপরটা) অত সহজ না।
তিনি বলেন, বিএনপি আজকে কী করছে? আমরা যখন দেশের উন্নয়নে কাজ করছি, তখন তাদের কাজ হলো আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ থাকলে এভাবে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে হত্যা করতে পারে না। আজকে তারা রেল পোড়াচ্ছে, বাস পোড়াচ্ছে, গাড়ি পোড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারি (২০১৪) নির্বাচন ছিল। সেই নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩ সালে এই বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। ৫৮২টা স্কুলঘর-ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়। ৭০টা সরকারি অফিস ভাঙে। ৩ হাজার ২৫২টা গাড়ি পুড়িয়ে ছিল। যেখানে যাত্রীবাহী গাড়ি ছিল, মানুষ সেখানে পুড়ে কয়লা হয়। ২৯টা রেলগাড়ি, ২টি লঞ্চ তারা পুড়িয়ে দেয়। ২০১৩-১৫ পর্যন্ত তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে তিন হাজারের বেশি মানুষ পুড়ে যায়। পাঁচশর মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আছে, জনগণের উন্নতি হচ্ছে। আজকে দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি।
বিদেশগামীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের যুবসমাজের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। দালাল ধরে বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই। ওই ব্যাংক থেকে আপনারা ঋণ নিতে পারেন, প্রয়োজনে বিনা জামানতে লোন দেওয়া হয়। কাজে সেইভাবে সবাই বিদেশে যাবেন। আর যারা রেমিট্যান্স পাঠায়, ওই হুন্ডি করে পাঠানো না, আমরা ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছি। এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ প্রেরণ করা যায়। অর্থ প্রেরণ সহজ করে দিয়েছি। আজকে সেইভাবে টাকা পাঠালে নিজের একটা সঞ্চয় হবে। আর প্রবাসী যারা কাজ শেষ করে দেশে আসবেন তারাও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন।
চা-শ্রমিকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করেছি। তাদের খাবার বাসস্থান, চিকিৎসা, ছেলে-মেয়েদের পড়া এবং মজুরি বাড়ানো সব ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সবসময় শ্রমিকদের পাশে আছে। কারণ এই শ্রমিকদের নাগরিকত্ব ছিল না। যে নাগরিককত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর আমি আসার পরে তাদের জন্য কাজ করি।
আমেরিকার কাছে গ্যাস বিক্রি না করায় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দিল না। কেন দিল না। বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক গ্যাস। ওই আমেরিকা প্রস্তাব করল গ্যাস বিক্রি করতে হবে। কারণ আমেরিকার কোম্পানি এখানে গ্যাস উত্তোলন করে। আমি বলেছিলাম আমি গ্যাস বেচবো না। এই গ্যাস আমাদের জনগণের, এই গ্যাস জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হবে। জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করে যদি ৫০ বছরের রিজার্ভ রেখে অতিরিক্ত থাকে তাহলে বেচবো। তারা খুব নাখোশ হলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। তা ছাড়া আমাদের দেশেরও কিছু লোক ছিল।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, যে বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণের ভোট চুরি করেছিল। ভোট চুরির অপরাধে এ দেশের মানুষ আন্দোলন করে ওই খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। সেই ক্ষমতাচ্যুত, ভোট চোর, জনগণের সম্পদ চোর বিএনপিকে ক্ষমতায় বসালো ভোট কারচুপির মাধ্যমে। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। সে ক্ষমতায় গেলে গ্যাস বেচবে। সেজন্য তার পিঠে বাহবা দিয়ে ক্ষমতায় বসালো। তার রেজাল্ট কী? দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, দুঃশাসন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলেছিলাম খালেদা জিয়া গ্যাস দিতে পারবে না। কারণ গ্যাস পাবেই না। আসলে পায়নি, গ্যাস দিতে পারেনি। এটা হলো বাস্তবতা। যে কূপ খনন করে খালেদা জিয়া গ্যাস পায়নি, আওয়ামী লীগের আমলে আমরা শুধু গ্যাস না সেই একই জায়গায় এবার আমরা তেলও পেয়েছি। আল্লাহ যখন কাউকে কিছু দেয়, সেটা জন বুঝেই ধন দেয়। এটা হলো বাস্তব কথা। আল্লাহ জানে ওদের কাছে দিলে নয়ছয় করবে। আর আওয়ামী লীগের হাতে পড়লে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে।
ঐতিহ্য মেনে সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহ পরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
মাজার জিয়ারতকালে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। পরে সমাবেশের মঞ্চেও উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানা।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।