সংবাদপত্র হচ্ছে একটি সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের দর্পণ। যেখানেই যে ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে, সেটি হুবহু আয়নার ন্যায় সাধারণ পাঠকের কাছে পৌঁছানোর কাজটি করেন সাংবাদিক। সংবাদের গুণগত মান ও বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই বাছাই করে পরিমার্জনের পর সেটি পাঠকের কাছে পরিবেশনের গুরু দায়িত্ব পালন করেন সম্পাদক। আর এই সংবাদপত্র সাধারণ পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেন প্রকাশক ও পরিবেশক। এই আধুনিক যুগে সংবাদপত্রের আধুনিক ভার্সন হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল। এমনই এক সংবাদপত্রের কথা বলছি, যার নাম 'সুপ্রভাত মিশিগান'। মিশিগানের প্রবাসী বাঙালিদের মুখপত্র হয়ে অকুন্ঠ ভালোবাসা ও শুভকামনা নিয়ে আজ ৩১ ডিসেম্বর ৬ষ্ঠ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে।
সুপ্রভাত মিশিগান সম্পর্কে কিছু লেখার পূর্বে এই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চিন্ময় আচার্য্য সম্পর্কে কিছু না লিখলে কৃপণতার প্রকাশ পাবে। যা আমার স্বভাব বিরোধী। তবে উনার সম্পর্কে লিখতে গেলে বিস্তর লিখতে হবে। লেখার মত এত ধৈর্য্য এখন আর নেই। অতি সংক্ষিপ্ত রূপে যদি বলি, তিনি বৃহত্তম সিলেট বিভাগের একজন আপোষহীন খ্যাতিমান সাংবাদিক ও সম্পাদক। ১৯৭৮ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নয়াবার্তার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে। তারপর আশি ও নব্বই দশকের স্বনামধন্য বেশ কিছু জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও ব্যুরো চীপের দ্বায়িত্ব পালন করেন। তবে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১৯৯৭ সালে হবিগঞ্জ জেলা থেকে প্রকাশিত 'দৈনিক প্রতিদিনের বাণী' পত্রিকার সম্পাদকের গুরু দায়িত্ব পালন। এটা উনার সাংবাদিকতা জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে অভিহিত। উনার দক্ষতা ও আপোষহীন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে পত্রিকাটি অচিরেই সর্বাধিক পাঠক জনপ্রিয় পত্রিকায় পরিণত হয়েছিল।২০০২ সনের শুরুতে তিনি দৈনিক প্রতিদিনের বাণী পত্রিকার সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একই বছরের ২ আগষ্ট তিনি দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি পত্রিকা বের করেন। তিনি প্রকাশক হিসেবে দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থাকায় ২০১৩ সালে প্রেস এন্ড পাবলিকেশন আইনে পত্রিকাটির ডিক্লরেশন বাতিল করেছে সরকার।
দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যে যখন তিনি প্রবাস জীবন শুরু করেন, তখন থেকেই নিজের ভেতরে প্রবাসীদের জন্য একটি সংবাদমাধ্যমের তাগিদ অনুভব করতে থাকেন। তবে এখানকার ব্যস্ত জীবনে সাংবাদিকতা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর সামিল। প্রবাদে একটা কথা আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। খ্যাতিমান সাংবাদিক চিন্ময় আচার্য্য দাদার অবস্থাও তেমন। শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সাংবাদিকতার মহান পেশা ত্যাগ করা সম্ভব হয়নি। কাগুজে পত্রিকার আধুনিক সংস্করণ অনলাইনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সুপ্রভাত মিশিগান-র যাত্রা শুরু করেন। নিজের সুদক্ষ হাতে সেই যে কাজ শুরু করলেন, যা এখনও বিরামহীন চলছেই। একদিকে জীবিকার জন্য বাহিরে কাজ করছেন আবার ঘরে ফেরার পর ক্লান্ত শরীরে পত্রিকার কাজ নিয়ে বসছেন। সংবাদ প্রকাশে তিনি যেমন আপোষহীন, তেমনিভাবেই একজন ক্লান্তিহীন পথিক। যার দরুণ সুপ্রভাত মিশিগান পত্রিকাটি প্রকৃত অর্থে প্রবাসী বাঙালিদের মুখপত্রে পরিণত হয়েছে।
সুপ্রভাত মিশিগানের পথচলা আরও দীর্ঘ হোক। এভাবেই চলতে থাকুক বিরামহীন। সারা বিশ্বের বাঙালিদের কাছে সুপরিচিত লাভ করুক সুপ্রভাত মিশিগান। পত্রিকাটির ৬ষ্ঠ বছর পদার্পণে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান
কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট
সুপ্রভাত মিশিগান সম্পর্কে কিছু লেখার পূর্বে এই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক চিন্ময় আচার্য্য সম্পর্কে কিছু না লিখলে কৃপণতার প্রকাশ পাবে। যা আমার স্বভাব বিরোধী। তবে উনার সম্পর্কে লিখতে গেলে বিস্তর লিখতে হবে। লেখার মত এত ধৈর্য্য এখন আর নেই। অতি সংক্ষিপ্ত রূপে যদি বলি, তিনি বৃহত্তম সিলেট বিভাগের একজন আপোষহীন খ্যাতিমান সাংবাদিক ও সম্পাদক। ১৯৭৮ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নয়াবার্তার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে। তারপর আশি ও নব্বই দশকের স্বনামধন্য বেশ কিছু জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও ব্যুরো চীপের দ্বায়িত্ব পালন করেন। তবে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১৯৯৭ সালে হবিগঞ্জ জেলা থেকে প্রকাশিত 'দৈনিক প্রতিদিনের বাণী' পত্রিকার সম্পাদকের গুরু দায়িত্ব পালন। এটা উনার সাংবাদিকতা জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে অভিহিত। উনার দক্ষতা ও আপোষহীন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে পত্রিকাটি অচিরেই সর্বাধিক পাঠক জনপ্রিয় পত্রিকায় পরিণত হয়েছিল।২০০২ সনের শুরুতে তিনি দৈনিক প্রতিদিনের বাণী পত্রিকার সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একই বছরের ২ আগষ্ট তিনি দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি পত্রিকা বের করেন। তিনি প্রকাশক হিসেবে দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থাকায় ২০১৩ সালে প্রেস এন্ড পাবলিকেশন আইনে পত্রিকাটির ডিক্লরেশন বাতিল করেছে সরকার।
দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যে যখন তিনি প্রবাস জীবন শুরু করেন, তখন থেকেই নিজের ভেতরে প্রবাসীদের জন্য একটি সংবাদমাধ্যমের তাগিদ অনুভব করতে থাকেন। তবে এখানকার ব্যস্ত জীবনে সাংবাদিকতা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর সামিল। প্রবাদে একটা কথা আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। খ্যাতিমান সাংবাদিক চিন্ময় আচার্য্য দাদার অবস্থাও তেমন। শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সাংবাদিকতার মহান পেশা ত্যাগ করা সম্ভব হয়নি। কাগুজে পত্রিকার আধুনিক সংস্করণ অনলাইনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সুপ্রভাত মিশিগান-র যাত্রা শুরু করেন। নিজের সুদক্ষ হাতে সেই যে কাজ শুরু করলেন, যা এখনও বিরামহীন চলছেই। একদিকে জীবিকার জন্য বাহিরে কাজ করছেন আবার ঘরে ফেরার পর ক্লান্ত শরীরে পত্রিকার কাজ নিয়ে বসছেন। সংবাদ প্রকাশে তিনি যেমন আপোষহীন, তেমনিভাবেই একজন ক্লান্তিহীন পথিক। যার দরুণ সুপ্রভাত মিশিগান পত্রিকাটি প্রকৃত অর্থে প্রবাসী বাঙালিদের মুখপত্রে পরিণত হয়েছে।
সুপ্রভাত মিশিগানের পথচলা আরও দীর্ঘ হোক। এভাবেই চলতে থাকুক বিরামহীন। সারা বিশ্বের বাঙালিদের কাছে সুপরিচিত লাভ করুক সুপ্রভাত মিশিগান। পত্রিকাটির ৬ষ্ঠ বছর পদার্পণে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান
কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট