ওয়াশিংটন ডিসি, ৩১ ডিসেম্বর : যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ "স্মার্ট বাংলাদেশ" গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
প্রথম জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে দূতাবাস সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওয়াশিংটন ডিসি এবং পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এতে যোগ দেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মোঃ রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নুর।
পরে দিবসটির তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। সেমিনারে দূতাবাসের মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মোঃ ফজলে রাব্বি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিলটন পৃথক দুটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।
মিনিস্টার (ইকোনমিক) তার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ, বিনিয়োগ আবহ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা যেমন সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খোলা ও সর্বজনীন পেনশন স্কীমের ওপর আলোকপাত করেন।
ফার্স্ট সেক্রেটারি (ভিসা এবং পাসপোর্ট উইং) তার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দূতাবাসের কনস্যুলার পরিষেবাসমূহ তুলে ধরেন যার মধ্যে রয়েছে এনভিআর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও ট্রাভেল পারমিট প্রদান। সেইসাথে তিনি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান, এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের অসামান্য অবদানের প্রশংসা করেন। প্রবাসীদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী এবং অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রদূত ইমরান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বহুমাত্রিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এর সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরতে প্রবাসীদের কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আলোচনায় অংশ নেন এবং দূতাবাসের পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।
খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
প্রথম জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে দূতাবাস সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওয়াশিংটন ডিসি এবং পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এতে যোগ দেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মোঃ রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নুর।
পরে দিবসটির তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। সেমিনারে দূতাবাসের মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মোঃ ফজলে রাব্বি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিলটন পৃথক দুটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।
মিনিস্টার (ইকোনমিক) তার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ, বিনিয়োগ আবহ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা যেমন সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খোলা ও সর্বজনীন পেনশন স্কীমের ওপর আলোকপাত করেন।
ফার্স্ট সেক্রেটারি (ভিসা এবং পাসপোর্ট উইং) তার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দূতাবাসের কনস্যুলার পরিষেবাসমূহ তুলে ধরেন যার মধ্যে রয়েছে এনভিআর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও ট্রাভেল পারমিট প্রদান। সেইসাথে তিনি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান, এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের অসামান্য অবদানের প্রশংসা করেন। প্রবাসীদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী এবং অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রদূত ইমরান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বহুমাত্রিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এর সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরতে প্রবাসীদের কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আলোচনায় অংশ নেন এবং দূতাবাসের পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।
খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।