সুনামগঞ্জ,৮ জানুয়ারি (ঢাকা পোস্ট) : সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের ৪টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মাঝিরা। আর একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হলেও তিনি নৌকার সাবেক মাঝি ও বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেন গুপ্তা। তিনি এবার মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়া বাকি চারটির মধ্যে সুনামগঞ্জ ১, সুনামগঞ্জ ৩, সুনামগঞ্জ ৪ ও সুনামগঞ্জ ৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে টানা ৩ বারের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী রনজিত চন্দ্র সরকার। ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৭১ ভোট পেয়েছেন রনজিত চন্দ্র সরকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩১৩ ভোট। এছাড়াও ঈগল প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমেদ পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৪৭ ভোট। ডাব প্রতীকের নবাব সালেহ আহমেদ ১৪৬, লাঙ্গল প্রতীকের আব্দুল মান্নান ৩১২, মো. আশরাফ আলী সোনালী আঁশ নিয়ে ৩৭৯, মাছ প্রতীকে মো. জাহানুর রশীদ ৮১, একতারার হারিছ মিয়া ৭৩২ ভোট পেয়েছেন।
এই আসনে এবার মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৫ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮৯ ও নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন। মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮১টি।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী ড. জয়া সেন গুপ্তাতেই ভরসা রেখেছেন ভোটাররা। নৌকাকে পরাজিত করে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন। ৯ হাজার ১০৩ ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবদুললাহ আল মামুন ওরফে আল আমিন চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৬৭২ ভোট। আর কাঁচি প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়েছেন ড. জয়া সেন গুপ্ত। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৯৬৮ ভোট ও মিহির রঞ্জন দাস ২৪৯ ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে এবছর মোট ভোটার ছিলেন ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯৩ জন। পুরুষ ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৪৩ ও মহিলা ১ লক্ষ ৪১ হাজার ২৫০ জন। ভোট কাস্ট হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬৪ টি।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এম এ মান্নান এমপি। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ ভোট। অপরদিকে তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ শাহিনুর পাশা সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫ ভোট, জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী লাঙ্গল প্রতীকে ২ হাজার ৪৫ ভোট ও জাপার তালুকদার মো. মকবুল হোসেন কাঁঠাল প্রতীকে ৫১৪টি ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৯ জন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েই চমক দেখিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি ৯০ হাজার ৩৫২টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১৮টি ভোট। এছাড়া নোঙ্গর প্রতীকে দেওয়ান শামছুল আবেদীন পেয়েছেন ১৮৭, আম প্রতীকে মো. দিলোয়ার ৪০০, ঈগল প্রতীকে মো. এনামুল কবির ইমন ১২৬, কাঁচি প্রতীকে মোবারক হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৭টি ভোট।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামিম আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট। এছাড়া উদীয়মান সূর্য প্রতীকে আইয়ুব করম আলী পেয়েছেন ৫৬৯, একতারার আবু সালেহ ৩০৭, বাইসাইকেল নিয়ে মনির উদ্দিন ২০৪, আম প্রতীকের মো. আজিজুল হক ৩৬১, মো. আশরাফ হোসেন টেলিভিশন প্রতীকে ৫৯টি, লাঙল প্রতীকে নাজমুল হুদা ৮২২, গামছা প্রতীকে হাজী আব্দুল জলিল ১৬৪ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে টানা ৩ বারের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী রনজিত চন্দ্র সরকার। ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৭১ ভোট পেয়েছেন রনজিত চন্দ্র সরকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩১৩ ভোট। এছাড়াও ঈগল প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমেদ পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৪৭ ভোট। ডাব প্রতীকের নবাব সালেহ আহমেদ ১৪৬, লাঙ্গল প্রতীকের আব্দুল মান্নান ৩১২, মো. আশরাফ আলী সোনালী আঁশ নিয়ে ৩৭৯, মাছ প্রতীকে মো. জাহানুর রশীদ ৮১, একতারার হারিছ মিয়া ৭৩২ ভোট পেয়েছেন।
এই আসনে এবার মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৫ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮৯ ও নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন। মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮১টি।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী ড. জয়া সেন গুপ্তাতেই ভরসা রেখেছেন ভোটাররা। নৌকাকে পরাজিত করে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন। ৯ হাজার ১০৩ ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবদুললাহ আল মামুন ওরফে আল আমিন চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৬৭২ ভোট। আর কাঁচি প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়েছেন ড. জয়া সেন গুপ্ত। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৯৬৮ ভোট ও মিহির রঞ্জন দাস ২৪৯ ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে এবছর মোট ভোটার ছিলেন ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯৩ জন। পুরুষ ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৪৩ ও মহিলা ১ লক্ষ ৪১ হাজার ২৫০ জন। ভোট কাস্ট হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬৪ টি।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এম এ মান্নান এমপি। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ ভোট। অপরদিকে তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ শাহিনুর পাশা সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫ ভোট, জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী লাঙ্গল প্রতীকে ২ হাজার ৪৫ ভোট ও জাপার তালুকদার মো. মকবুল হোসেন কাঁঠাল প্রতীকে ৫১৪টি ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৯ জন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েই চমক দেখিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি ৯০ হাজার ৩৫২টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১৮টি ভোট। এছাড়া নোঙ্গর প্রতীকে দেওয়ান শামছুল আবেদীন পেয়েছেন ১৮৭, আম প্রতীকে মো. দিলোয়ার ৪০০, ঈগল প্রতীকে মো. এনামুল কবির ইমন ১২৬, কাঁচি প্রতীকে মোবারক হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৭টি ভোট।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামিম আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট। এছাড়া উদীয়মান সূর্য প্রতীকে আইয়ুব করম আলী পেয়েছেন ৫৬৯, একতারার আবু সালেহ ৩০৭, বাইসাইকেল নিয়ে মনির উদ্দিন ২০৪, আম প্রতীকের মো. আজিজুল হক ৩৬১, মো. আশরাফ হোসেন টেলিভিশন প্রতীকে ৫৯টি, লাঙল প্রতীকে নাজমুল হুদা ৮২২, গামছা প্রতীকে হাজী আব্দুল জলিল ১৬৪ ভোট পেয়েছেন।