ওয়ারেন, ১১ জানুয়ারি : সম্প্রতি বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বিরোধীদল বিহীন একটি নির্বাচন হয়ে গেল। যদিও আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব এই পাতানো নির্বাচনের বিরোধিতায় প্রথমে সোচ্চার ছিল। পরবর্তীতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনের পর পর-ই কালক্ষেপণ না করেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এই নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আমার প্রতিবেশী উপজেলা চুনারুঘাট ও মাধবপুর বহুল আলোচিত ছিল। ফেসবুক সেলিব্রেটি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এখানকার একজন প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের আগ থেকেই এলাকার কল্যাণে তিনি অনেক কাজ করেছেন। এলাকায় নিজের উদ্যোগে অনেক কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। উনার ভাষ্যমতে,এলাকায় ৩৭ হাজার উচ্চ ফলনশীল আমের চারা বিতরণ করেছেন। যদিও বিরোধী মতের মানুষ জন এ সংখ্যা সম্পর্কে সন্দিহান ।
তবে বাংলাদেশের কিছু উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ শিল্পপতি এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বাংলা ভাষাভাষী তরুণ প্রজন্মের নিকট তিনি আইডল বনে গেছেন। তিনি দেশে বিদেশে যেখানেই যান, সেখানেই তরুণ প্রজন্মের অনেককেই জড়ো হতে দেখা যায়। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। এলাকার জনগণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভোট দিয়েছে তাকে। ব্যারিস্টার সুমনও জনগনকে আকাশ সমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কামাই ছড়ার পাহাড়ের রাস্তা থেকে সাকু চাইল ও রামেশ্বর গ্রামের মাঠ, বাল্লা ট্রেন চালু করা থেকে মসজিদের জুতা চোর কে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রতিশ্রুতি। বাঙালিরা আসলে আবেগপ্রবণ জাতি। আবেগের আতিশয্যে আমরা বেমালুম অনেক কিছু বলে ফেলি। সময়ের পরিক্রমায় তা আবার ভুলে তাই ।
আশা করি ব্যারিস্টার সুমনের ক্ষেত্রে তা হবে না। তার ওয়াদা ভঙ্গ হবে না। তিনি ভিন্ন চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী, উজ্জীবিত এক ব্যতিক্রমি তরুণ।
ব্যারিস্টার সুমন নিজেই বলেন, শুধুমাত্র তাকে ভালোবেসেই যে মানুষ এত ভোট দিয়েছে তা কিন্তু নয়। অনেক মানুষই প্রতিমন্ত্রীর ওপর বিরক্ত হয়ে তাকে ভোট দিয়েছে। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার চুনারুঘাট প্রতিনিধি নুরুল আমিন এর প্রতিবেদনে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে অনেক মন্ত্রী হয়েছেন। উন্নয়ন যে কিছুই হয়নি, তা সত্য নয়। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে তারা বঞ্চিত মনে করেন ।
মরহুম সৈয়দ মহিবুল হাসান শ্রম প্রতিমন্ত্রী, মরহুম সৈয়দ মুহাম্মদ কায়সার কৃষি প্রতিমন্ত্রী, মরহুম এডভোকেট এনামুল হক মোস্তফা শহীদ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সর্বশেষ বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী ছিলেন । এ আসনের বদৌলতে ব্যারিস্টার সুমনও মন্ত্রী হলে বিচিত্র কিছু নয় ।
নির্বাচন শুরুর পর থেকে প্রতিদিন তিনি অসংখ্য জনসভা করেছেন। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে শহর থেকে মাঠে জনসংযোগ করেছেন রাতদিন । চুনারুঘাট মাধবপুর সমতল ও অসমতল ভুমি, উজান ভাটির সমন্নয়ে গড়ে উঠা এক বৈচিত্র্যময় জনপদ। উজানে রঘুনন্দন, সাতছড়ি, কামাইছড়া পাহাড়। ভাটিতে বুল্লা, ছাতিয়াইন ইউনিয়ন ।
যেখানে যেমন প্রতিশ্রুতি দিলে মানুষের মন জয় করা যাবে, সেখানেই তিনি সেরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উনার ভিডিওতে দেখলাম নির্বাচিত হয়ে কোন এক বাজারে তিনি এক মাসের মধ্যে টয়লেট নির্মাণ করবেন। নির্বাচনের পরের দিন থেকেই তিনি কাজ শুরু করবেন। জানিনা পরের দিন কি কি কাজ করেছেন ?
নির্বাচনের পরের কাজ গুলো ও আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ততক্ষনাৎ পেয়ে যাবো। ব্যারিস্টার সুমনের প্রত্যাশা - মানুষ শতভাগ পূরণ করেছে। এখন মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা ব্যারিস্টার সুমনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ভবিষ্যত কর্মফল ব্যারিস্টারকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা ।
কামাল মোঃ মোস্তফা
মিশিগান, ইউএসএ
এই নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আমার প্রতিবেশী উপজেলা চুনারুঘাট ও মাধবপুর বহুল আলোচিত ছিল। ফেসবুক সেলিব্রেটি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এখানকার একজন প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের আগ থেকেই এলাকার কল্যাণে তিনি অনেক কাজ করেছেন। এলাকায় নিজের উদ্যোগে অনেক কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। উনার ভাষ্যমতে,এলাকায় ৩৭ হাজার উচ্চ ফলনশীল আমের চারা বিতরণ করেছেন। যদিও বিরোধী মতের মানুষ জন এ সংখ্যা সম্পর্কে সন্দিহান ।
তবে বাংলাদেশের কিছু উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ শিল্পপতি এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বাংলা ভাষাভাষী তরুণ প্রজন্মের নিকট তিনি আইডল বনে গেছেন। তিনি দেশে বিদেশে যেখানেই যান, সেখানেই তরুণ প্রজন্মের অনেককেই জড়ো হতে দেখা যায়। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। এলাকার জনগণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভোট দিয়েছে তাকে। ব্যারিস্টার সুমনও জনগনকে আকাশ সমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কামাই ছড়ার পাহাড়ের রাস্তা থেকে সাকু চাইল ও রামেশ্বর গ্রামের মাঠ, বাল্লা ট্রেন চালু করা থেকে মসজিদের জুতা চোর কে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রতিশ্রুতি। বাঙালিরা আসলে আবেগপ্রবণ জাতি। আবেগের আতিশয্যে আমরা বেমালুম অনেক কিছু বলে ফেলি। সময়ের পরিক্রমায় তা আবার ভুলে তাই ।
আশা করি ব্যারিস্টার সুমনের ক্ষেত্রে তা হবে না। তার ওয়াদা ভঙ্গ হবে না। তিনি ভিন্ন চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী, উজ্জীবিত এক ব্যতিক্রমি তরুণ।
ব্যারিস্টার সুমন নিজেই বলেন, শুধুমাত্র তাকে ভালোবেসেই যে মানুষ এত ভোট দিয়েছে তা কিন্তু নয়। অনেক মানুষই প্রতিমন্ত্রীর ওপর বিরক্ত হয়ে তাকে ভোট দিয়েছে। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার চুনারুঘাট প্রতিনিধি নুরুল আমিন এর প্রতিবেদনে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে অনেক মন্ত্রী হয়েছেন। উন্নয়ন যে কিছুই হয়নি, তা সত্য নয়। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে তারা বঞ্চিত মনে করেন ।
মরহুম সৈয়দ মহিবুল হাসান শ্রম প্রতিমন্ত্রী, মরহুম সৈয়দ মুহাম্মদ কায়সার কৃষি প্রতিমন্ত্রী, মরহুম এডভোকেট এনামুল হক মোস্তফা শহীদ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সর্বশেষ বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী ছিলেন । এ আসনের বদৌলতে ব্যারিস্টার সুমনও মন্ত্রী হলে বিচিত্র কিছু নয় ।
নির্বাচন শুরুর পর থেকে প্রতিদিন তিনি অসংখ্য জনসভা করেছেন। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে শহর থেকে মাঠে জনসংযোগ করেছেন রাতদিন । চুনারুঘাট মাধবপুর সমতল ও অসমতল ভুমি, উজান ভাটির সমন্নয়ে গড়ে উঠা এক বৈচিত্র্যময় জনপদ। উজানে রঘুনন্দন, সাতছড়ি, কামাইছড়া পাহাড়। ভাটিতে বুল্লা, ছাতিয়াইন ইউনিয়ন ।
যেখানে যেমন প্রতিশ্রুতি দিলে মানুষের মন জয় করা যাবে, সেখানেই তিনি সেরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উনার ভিডিওতে দেখলাম নির্বাচিত হয়ে কোন এক বাজারে তিনি এক মাসের মধ্যে টয়লেট নির্মাণ করবেন। নির্বাচনের পরের দিন থেকেই তিনি কাজ শুরু করবেন। জানিনা পরের দিন কি কি কাজ করেছেন ?
নির্বাচনের পরের কাজ গুলো ও আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ততক্ষনাৎ পেয়ে যাবো। ব্যারিস্টার সুমনের প্রত্যাশা - মানুষ শতভাগ পূরণ করেছে। এখন মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা ব্যারিস্টার সুমনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ভবিষ্যত কর্মফল ব্যারিস্টারকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা ।
কামাল মোঃ মোস্তফা
মিশিগান, ইউএসএ