লন্ডন, ৩ ফেব্রুয়ারি : সিলেট থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত "সাপ্তাহিক সিলেট সমাচার"ও "দৈনিক জালালাবাদী পত্রিকার সম্পাদক, সিলেট প্রেসক্লাব ও সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাবেক সেক্রেটারী প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...... ওয়া... ইন্না.... ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ এই সাংবাদিকের বয়স হয়েছিল (৮০) বছর।
১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি সিলেটে নিজ বাসভবনে ইহলোক ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম'আ হযরত শাহজালাল (রঃ) দরগাহ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
সিলেটের এক সময়ের নির্ভীক সাংবাদিক-সাহসী সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ খান ১৯৬২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ঢাকার দৈনিক ইত্তেফাকে কর্মরত ছিলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেট ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবংবিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস) এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালীন সময় সাহিত্য সংসদের প্রাণ ফিরে আসে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আজ দেশ সেরা গ্রন্থাগার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অনুরুপ ভাবে সিলেট প্রেসক্লাবকেও তিনি গড়ে তোলেন। নির্ভিক এই সাংবাদিক কোনদিন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। আর একারণে তাঁকে ডান/বাম অনেকের রোষাণলে পড়তে হয়। তার পরেও সত্য প্রকাশ থেকে পিছপা হননি। ১৯৮০ সালে তাঁর সম্পাদিত সিলেট সমাচার পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ ছাপা হলে সিলেটের মৌলবাদীরা তাঁর উপর ক্ষিপ্ত হয়, মৌলবাদীদের সাথে যোগ হয় বামগোষ্ঠীও। এরা মিছিল মিংটিং করে সিলেটে তান্ডব চালায় পত্রিকার ছাপাখানা ও অফিস আগুনে পুড়িয়ে দেয়। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়। পুলিশের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। সমগ্র সিলেটে জারি করা হয় কারফিউ। অবশেষে দেখা গেল সরদার আলাউদ্দিন লিখিত আর্টিকুলে আপত্তিকর কিছুই ছিলনা। এটি ছিল তাঁর বিরুদ্ধে কুচক্রি মহলের একটি ষড়যন্ত্র।
তিনি পূনরায় সিলেট সমাচার চালু করে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মুচন করে দিলেন, ধারাবাহিক ভাবে সিলেট সমাচারে প্রকাশ পেতে থাকল মিছিলের সময় কোন বাম নেতার মাথায় টুপি এবং মুখে মদের গন্ধ ছিল, কোন উগ্রপন্থি মৌলভী ধর্মের দোহাই দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছেন। শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীরা ক্ষমা চেয়ে তার সাথে আপোষ করতে বাধ্য হয়।
এই সময় আমি সাপ্তাহিক সিলেট সমাচারে একজন সংবাদকর্মি হিসেবে পারটাইম কাজ করতাম। তার সম্পাদিত দৈনিক জালালাবাদীও সিলেটের মানুষের আশা - আকাঙ্খার প্রতিক হয়ে উঠে। তার মৃত্যু সংবাদ লন্ডনে এসে পৌঁছালে এখানেও নেমে আসে শোকের ছায়া। আব্দুল ওয়াহেদ খানের মৃত্যুতে সিলেটবাসী হারিয়েছে একজন নিখাদ সিলেটপ্রেমী নির্ভিক সাংবাদিককে।
আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি আব্দুল ওয়াহেদ খাঁনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইউকেবাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্টে মতিয়ার চৌধুরী, সেক্রেটারী সাজিদুর রহমান, সাবেক সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাহেদ রহমান, বার্তা সংস্থা ইউএনবির লন্ডন প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, বাংলা প্রেসক্লাব অব মিশিগান ইউএসএ'র প্রেসিডেন্ট হেলাল উদ্দিন রানা, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সেক্রেটারী সৈয়দ মবনু প্রমুখ।
শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট মতিয়ার চৌধুরী বলেন ওয়াহেদ খানের শূন্যস্থান কোনদিনই পূর্ন হবার নয়তার মৃত্যুতে সিলেটবাসী হারিয়েছে একজন নির্ভিক সাংবাদিককে, তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখার ছিল।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির লন্ডন প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শোকবার্তায় বলেন স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সিলেটের সংবাদ পত্র জগতের প্রবাদ পুরুষ ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ খান।সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন যে তিনি ছিলেন অসীম সাহসী সম্পাদক। আশির দশকের শুরুতে তার হাত ধরেই সাপ্তাহিক সিলেট সমাচার হাউস থেকেই দৈনিক জালালাবাদী পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়। আব্দুল ওয়াহেদ খানের সাহসী সম্পাদনায় পত্রিকাটি দ্রুত প্রচার, প্রসার জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই সময়ে দৈনিক জালালাবাদী পত্রিকাটি আঞ্চলিক সংবাদ পত্রের জগতে নতুন ধারার সৃষ্টি করে। নব্বই দশকের শুরুতে সিলেটের আলোচিত বিডিআর আন্দোলনের সময় একদল সুযোগ সন্ধানী দুর্নিতি পরায়ন লোক হাউজিং এষ্টেটেস্থ জালালাবাদ অফিসে আগুন দেয়। পরবর্তীতে ওয়াহেদ খান অনেক চেষ্টা করেও আর পত্রিকাটি দাঁড় করাতে পারেননি। তৎকালীন সময়ে জনপ্রিয় এই পত্রিকাটি বন্ধ হওয়ার সাথে সিলেটের সাহসী সাংবাদিকতার ও অপমৃত্যু ঘটে। আমি সেই সময়ে পত্রিকাটির ডেক্সে সাব এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলাম।
১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি সিলেটে নিজ বাসভবনে ইহলোক ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম'আ হযরত শাহজালাল (রঃ) দরগাহ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
সিলেটের এক সময়ের নির্ভীক সাংবাদিক-সাহসী সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ খান ১৯৬২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ঢাকার দৈনিক ইত্তেফাকে কর্মরত ছিলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেট ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবংবিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস) এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালীন সময় সাহিত্য সংসদের প্রাণ ফিরে আসে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আজ দেশ সেরা গ্রন্থাগার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অনুরুপ ভাবে সিলেট প্রেসক্লাবকেও তিনি গড়ে তোলেন। নির্ভিক এই সাংবাদিক কোনদিন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। আর একারণে তাঁকে ডান/বাম অনেকের রোষাণলে পড়তে হয়। তার পরেও সত্য প্রকাশ থেকে পিছপা হননি। ১৯৮০ সালে তাঁর সম্পাদিত সিলেট সমাচার পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ ছাপা হলে সিলেটের মৌলবাদীরা তাঁর উপর ক্ষিপ্ত হয়, মৌলবাদীদের সাথে যোগ হয় বামগোষ্ঠীও। এরা মিছিল মিংটিং করে সিলেটে তান্ডব চালায় পত্রিকার ছাপাখানা ও অফিস আগুনে পুড়িয়ে দেয়। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়। পুলিশের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। সমগ্র সিলেটে জারি করা হয় কারফিউ। অবশেষে দেখা গেল সরদার আলাউদ্দিন লিখিত আর্টিকুলে আপত্তিকর কিছুই ছিলনা। এটি ছিল তাঁর বিরুদ্ধে কুচক্রি মহলের একটি ষড়যন্ত্র।
তিনি পূনরায় সিলেট সমাচার চালু করে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মুচন করে দিলেন, ধারাবাহিক ভাবে সিলেট সমাচারে প্রকাশ পেতে থাকল মিছিলের সময় কোন বাম নেতার মাথায় টুপি এবং মুখে মদের গন্ধ ছিল, কোন উগ্রপন্থি মৌলভী ধর্মের দোহাই দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছেন। শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীরা ক্ষমা চেয়ে তার সাথে আপোষ করতে বাধ্য হয়।
এই সময় আমি সাপ্তাহিক সিলেট সমাচারে একজন সংবাদকর্মি হিসেবে পারটাইম কাজ করতাম। তার সম্পাদিত দৈনিক জালালাবাদীও সিলেটের মানুষের আশা - আকাঙ্খার প্রতিক হয়ে উঠে। তার মৃত্যু সংবাদ লন্ডনে এসে পৌঁছালে এখানেও নেমে আসে শোকের ছায়া। আব্দুল ওয়াহেদ খানের মৃত্যুতে সিলেটবাসী হারিয়েছে একজন নিখাদ সিলেটপ্রেমী নির্ভিক সাংবাদিককে।
আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি আব্দুল ওয়াহেদ খাঁনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইউকেবাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্টে মতিয়ার চৌধুরী, সেক্রেটারী সাজিদুর রহমান, সাবেক সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাহেদ রহমান, বার্তা সংস্থা ইউএনবির লন্ডন প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, বাংলা প্রেসক্লাব অব মিশিগান ইউএসএ'র প্রেসিডেন্ট হেলাল উদ্দিন রানা, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সেক্রেটারী সৈয়দ মবনু প্রমুখ।
শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট মতিয়ার চৌধুরী বলেন ওয়াহেদ খানের শূন্যস্থান কোনদিনই পূর্ন হবার নয়তার মৃত্যুতে সিলেটবাসী হারিয়েছে একজন নির্ভিক সাংবাদিককে, তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখার ছিল।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির লন্ডন প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শোকবার্তায় বলেন স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সিলেটের সংবাদ পত্র জগতের প্রবাদ পুরুষ ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ খান।সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন যে তিনি ছিলেন অসীম সাহসী সম্পাদক। আশির দশকের শুরুতে তার হাত ধরেই সাপ্তাহিক সিলেট সমাচার হাউস থেকেই দৈনিক জালালাবাদী পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়। আব্দুল ওয়াহেদ খানের সাহসী সম্পাদনায় পত্রিকাটি দ্রুত প্রচার, প্রসার জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই সময়ে দৈনিক জালালাবাদী পত্রিকাটি আঞ্চলিক সংবাদ পত্রের জগতে নতুন ধারার সৃষ্টি করে। নব্বই দশকের শুরুতে সিলেটের আলোচিত বিডিআর আন্দোলনের সময় একদল সুযোগ সন্ধানী দুর্নিতি পরায়ন লোক হাউজিং এষ্টেটেস্থ জালালাবাদ অফিসে আগুন দেয়। পরবর্তীতে ওয়াহেদ খান অনেক চেষ্টা করেও আর পত্রিকাটি দাঁড় করাতে পারেননি। তৎকালীন সময়ে জনপ্রিয় এই পত্রিকাটি বন্ধ হওয়ার সাথে সিলেটের সাহসী সাংবাদিকতার ও অপমৃত্যু ঘটে। আমি সেই সময়ে পত্রিকাটির ডেক্সে সাব এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলাম।