সিলেট, ১১ ফেব্রুয়ারি : বীর চট্টলার কৃতি সন্তান, যুক্তরাজ্য প্রবাসি, বিশিষ্ট তবলাবাদক, বাদ্যযন্ত্রসংগীতে পাঁচ পাঁচ বার গিনেজ ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড অর্জনকারী ব্যারিস্টার পন্ডিত সুদর্শন দাশকে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় সিলেট মহানগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ হল, দরগাহ গেইট, সিলেটে সংবর্ধনা প্রদান ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব উৎফল বড়ুয়ার সঞ্চালনায়, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আইনজীবী মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট ল কলেজ এর সাবেক ভিপি মুহাম্মদ মনির হোসাইন, প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য ডেগেনহাম এর সাবেক মেয়র কাউন্সিলর ফারুক চৌধুরী, বানিয়ান ব্রিটিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষিক জাকিরা ফাতেমা লিমি চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লন্ডন প্রবাসী, বানিয়ান ব্রিটিশ স্কুলের পরিচালক এম.এ.এস রুহুল, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সমাজ সেবক মোঃ নূরুল হক, জয়ীতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারী সফল উদ্যোক্তা নুরুন নাহার বেবী, সংবর্ধীত অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন লন্ডন প্রবাসী শিক্ষাবিদ কৃষ্ণা সিনহা দাশ,পন্ডিত সুদর্শন দাশ এর সহধর্মিণী সাবরিনা সাবা। আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সদস্য শেলু বড়ুয়া, আব্দুল মালেক প্রমুখ। এসময় পন্ডিত সুদর্শন দাশ ও রেনুপ্রভা-প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে সিলেটর বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে মেডেল সন্মাননা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,পন্ডিত সুর্দশন বাংলার গর্ব। তবলা ও পড়ালেখার প্রতি তার অধ্যাবসায় তাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর লন্ডনে একটানা ১৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে ড্রাম বাজিয়ে বিশ্বের দীর্ঘসময় ধরে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর রেকর্ডটি গড়েন তিনি। এর আগে ২০১৬ সালে লংগেস্ট তবলা ম্যারাথনে টানা ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট তবলা বাজিয়ে প্রথম রেকর্ডটি গড়েন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে টানা ২৭ ঘণ্টা ঢোল বাজিয়ে, ২০১৮ সালে টানা ১৪ ঘন্টা ড্রাম বাজিয়ে মোট পাঁচটি বিশ্বরেকর্ড ঝুলিতে ভরেন চট্টগ্রামের এই কৃতি সন্তান।
সুদর্শন দাশের পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নে। তবে তার জন্ম চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে। পণ্ডিত সুদর্শন যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমির অধ্যক্ষ।
তার প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বাদ্যযন্ত্রে তাল তোলার কসরত শেখেন। পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস, নিউহ্যাম এবং রেড ব্রিজ কাউন্সিলের অধীনে তিনি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ‘মিউজিক ইন্সপেক্টর’ হিসেবে কাজ করেন।
চট্টগ্রামের আলাউদ্দিন ললিতকলা একাডেমিতে সুদর্শনের তবলায় হাতেখড়ি হয় চার বছর বয়সে। ১৯৯০ সালে ফুলকুঁড়ি আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পাওয়ার দুই বছরের মাথায় শান্তিনিকেতনে যান পণ্ডিত বিজন বিহারি চ্যাটার্জির কাছে প্রশিক্ষণ নিতে। সেখানেই ১৯৯৮ সালে মেলে ‘তবলাবিশারদ’ উপাধি।
পরে আইন পড়তে লন্ডন গেলেও তবলার নেশা তাকে ছাড়েনি। ২০০৪ সালে নিউহ্যাম এলাকায় ‘তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমি’ প্রতিষ্ঠা করেন সুদর্শন। ২০১১ সালে তার ‘লার্ন টু প্লে তবলা’ ডিভিডি আকারে প্রকাশিত হয়। দুই বছর পর বাজারে আসে ‘লার্ন টু প্লে তবলা উইথ মিউজিক’।
চ্যানেল ফোর, বিবিসি টেলিভিশন, স্কাই টিভি ও ব্রাজিলের ফিনিক্স টেলিভিশনে তবলা বাজানো সুদর্শনের রয়েছে ১০০টির বেশি কনসার্ট ও পুরস্কার বিতরণীতে বাজানোর অভিজ্ঞতা।
পন্ডিত সুদর্শন বলেন, বাংলাদেশের জন্য যেন আরো অর্জন বয়ে আনতে পারেন সকলের প্রতি দোয়া ও আশির্বাদ চান।
সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব উৎফল বড়ুয়ার সঞ্চালনায়, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আইনজীবী মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট ল কলেজ এর সাবেক ভিপি মুহাম্মদ মনির হোসাইন, প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য ডেগেনহাম এর সাবেক মেয়র কাউন্সিলর ফারুক চৌধুরী, বানিয়ান ব্রিটিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষিক জাকিরা ফাতেমা লিমি চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লন্ডন প্রবাসী, বানিয়ান ব্রিটিশ স্কুলের পরিচালক এম.এ.এস রুহুল, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সমাজ সেবক মোঃ নূরুল হক, জয়ীতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারী সফল উদ্যোক্তা নুরুন নাহার বেবী, সংবর্ধীত অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন লন্ডন প্রবাসী শিক্ষাবিদ কৃষ্ণা সিনহা দাশ,পন্ডিত সুদর্শন দাশ এর সহধর্মিণী সাবরিনা সাবা। আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সদস্য শেলু বড়ুয়া, আব্দুল মালেক প্রমুখ। এসময় পন্ডিত সুদর্শন দাশ ও রেনুপ্রভা-প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে সিলেটর বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে মেডেল সন্মাননা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,পন্ডিত সুর্দশন বাংলার গর্ব। তবলা ও পড়ালেখার প্রতি তার অধ্যাবসায় তাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর লন্ডনে একটানা ১৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে ড্রাম বাজিয়ে বিশ্বের দীর্ঘসময় ধরে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর রেকর্ডটি গড়েন তিনি। এর আগে ২০১৬ সালে লংগেস্ট তবলা ম্যারাথনে টানা ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট তবলা বাজিয়ে প্রথম রেকর্ডটি গড়েন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে টানা ২৭ ঘণ্টা ঢোল বাজিয়ে, ২০১৮ সালে টানা ১৪ ঘন্টা ড্রাম বাজিয়ে মোট পাঁচটি বিশ্বরেকর্ড ঝুলিতে ভরেন চট্টগ্রামের এই কৃতি সন্তান।
সুদর্শন দাশের পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নে। তবে তার জন্ম চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে। পণ্ডিত সুদর্শন যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমির অধ্যক্ষ।
তার প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বাদ্যযন্ত্রে তাল তোলার কসরত শেখেন। পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস, নিউহ্যাম এবং রেড ব্রিজ কাউন্সিলের অধীনে তিনি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ‘মিউজিক ইন্সপেক্টর’ হিসেবে কাজ করেন।
চট্টগ্রামের আলাউদ্দিন ললিতকলা একাডেমিতে সুদর্শনের তবলায় হাতেখড়ি হয় চার বছর বয়সে। ১৯৯০ সালে ফুলকুঁড়ি আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পাওয়ার দুই বছরের মাথায় শান্তিনিকেতনে যান পণ্ডিত বিজন বিহারি চ্যাটার্জির কাছে প্রশিক্ষণ নিতে। সেখানেই ১৯৯৮ সালে মেলে ‘তবলাবিশারদ’ উপাধি।
পরে আইন পড়তে লন্ডন গেলেও তবলার নেশা তাকে ছাড়েনি। ২০০৪ সালে নিউহ্যাম এলাকায় ‘তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমি’ প্রতিষ্ঠা করেন সুদর্শন। ২০১১ সালে তার ‘লার্ন টু প্লে তবলা’ ডিভিডি আকারে প্রকাশিত হয়। দুই বছর পর বাজারে আসে ‘লার্ন টু প্লে তবলা উইথ মিউজিক’।
চ্যানেল ফোর, বিবিসি টেলিভিশন, স্কাই টিভি ও ব্রাজিলের ফিনিক্স টেলিভিশনে তবলা বাজানো সুদর্শনের রয়েছে ১০০টির বেশি কনসার্ট ও পুরস্কার বিতরণীতে বাজানোর অভিজ্ঞতা।
পন্ডিত সুদর্শন বলেন, বাংলাদেশের জন্য যেন আরো অর্জন বয়ে আনতে পারেন সকলের প্রতি দোয়া ও আশির্বাদ চান।