মাধবপুর (হবিগঞ্জ) ২১ ফেব্রুয়ারি : মাধবপুরের শিক্ষক অবিনাশ কুমার নাগ স্বাধীনতার ৫৩বছর পর শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। গত ১৫ ফ্রেব্রয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখার প্রজ্ঞাপনে ইস্যু করা এক পত্রে এতথ্য জানা গেছে। তিনি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বেজুড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল পাকবাহিনী তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে। অবিনাশ কুমার নাগ পনেরো বছর পাকিস্তান নৌবাহিনী তে টেকনিক্যাল অফিসার হিসাবে চাকুরী করার পর অবসরে আসেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এলাকায় সুশীল ও জ্ঞানী লোক হিসেবে পরিচিতি পান। তিনি পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের জনমত সৃষ্টিতে কাজ করেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তার অবস্থান জানতে পেরে ৭১ এর ২৭ এপ্রিল বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করে। তার ছেলে অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা অরুণ কুমার নাগ বলেন, দাদা উদয় চন্দ্র নাগের চার ছেলের মধ্যে অবিনাশ কুমার নাগ ছিলেন সবার বড়। যুদ্ধ শুরুর দিকে পরিবারের সকলে ভারতে চলে যান। সেখানে থেকে অবিনাশ নাগ মুক্তিযুদ্ধের জনমত তৈরি করে মাঝে মাঝে বাড়ি আসতেন। ৭১ এর ২৭ এপ্রিল ভারত থেকে বাড়িত আসেন তিনি। এখবর জানতে পেরে পাকবাহিনীর হায়নারা অবিনাশ নাগ সহ সাতজনকে ধরে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করে। পরে গ্রামবাসী নিথর এসব মরদেহ গন খবর দেয়।দেশ স্বাধীন হবার পর স্বজনরা ভারত থেকে ফিরে আসেন। মরদেহ উঠিয়ে সৎকার করে। শহীদের স্মরণে বাড়ির পাশে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হয়েছে।
অরুণ নাগ বলেন স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়ায় পরিবারের সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এনাম খান বলেন মাধবপুরে এটাই সম্ভবত পাকবাহিনীর প্রথম গণহত্যা।
মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল পাকবাহিনী তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে। অবিনাশ কুমার নাগ পনেরো বছর পাকিস্তান নৌবাহিনী তে টেকনিক্যাল অফিসার হিসাবে চাকুরী করার পর অবসরে আসেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এলাকায় সুশীল ও জ্ঞানী লোক হিসেবে পরিচিতি পান। তিনি পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের জনমত সৃষ্টিতে কাজ করেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তার অবস্থান জানতে পেরে ৭১ এর ২৭ এপ্রিল বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করে। তার ছেলে অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা অরুণ কুমার নাগ বলেন, দাদা উদয় চন্দ্র নাগের চার ছেলের মধ্যে অবিনাশ কুমার নাগ ছিলেন সবার বড়। যুদ্ধ শুরুর দিকে পরিবারের সকলে ভারতে চলে যান। সেখানে থেকে অবিনাশ নাগ মুক্তিযুদ্ধের জনমত তৈরি করে মাঝে মাঝে বাড়ি আসতেন। ৭১ এর ২৭ এপ্রিল ভারত থেকে বাড়িত আসেন তিনি। এখবর জানতে পেরে পাকবাহিনীর হায়নারা অবিনাশ নাগ সহ সাতজনকে ধরে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করে। পরে গ্রামবাসী নিথর এসব মরদেহ গন খবর দেয়।দেশ স্বাধীন হবার পর স্বজনরা ভারত থেকে ফিরে আসেন। মরদেহ উঠিয়ে সৎকার করে। শহীদের স্মরণে বাড়ির পাশে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হয়েছে।
অরুণ নাগ বলেন স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়ায় পরিবারের সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এনাম খান বলেন মাধবপুরে এটাই সম্ভবত পাকবাহিনীর প্রথম গণহত্যা।