মাধবপুর, (হবিগঞ্জ) ১ মার্চ : স্বপ্নের দেশ পোল্যান্ড যাওয়া হল না মা মেয়ের। সেই স্বপ্ন এখন আগুনে পুড়ে কফিনে বন্দী। পোল্যান্ড প্রবাসী স্বামী শুক্রবার রাতের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা ছিল। যাদের কিছুদিন পর বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল। এ লেভেলের শিক্ষার্থী ভিয়াংকা ও তার মা ফিলিপাইন নাগরিক রুবি রায় বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাইয়ে’ খেতে গিয়েছিলেন। খাবার শেষে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও সেটি আর সম্ভব হয়নি। আগুন তাদের স্বপ্ন ছাই করে দিয়েছে।
মাধবপুর উপজেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের ইন্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড প্রবাসী। তার স্ত্রী রুবি রায় ও মেয়ে ভিয়াংকা রায় ঢাকায় বসবাস করতেন। পোল্যান্ড স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এরই মধ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি চুড়ান্ত করে মা ও মেয়ে। পূর্বপ্রস্ততি অনুযায়ী মা ও মেয়ে বাসা থেকে কেনা কাটা করতে বের হন। রাতের খাবার খেতে তারা বেইলি রোডের হোটেলে যান। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আগুনে পুড়ে গেছে।”
উপজেলা বানেশ্রপুর গ্রামে গিয়ে দেখা পরিবারের আহাজারিতে শোকে স্তব্ধ বাড়ির আশপাশের মানুষও। উত্তম রায়ের বড় ভাই বিষ্ণু রায় বলেন, ভাই ইন্জিনিয়ার ১৯৯৬ সালে হুন্দাই কোম্পানিতে কুরিয়া চাকুরি করার সময় ফিলিপাইন নাগরিক রুবির সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে। উত্তম পোল্যান্ড চলে যাওয়ার পর রুবি রায় তার মেয়ে ভিয়াংকাকে নিয়ে ঢাকার মালিবাগে বসবাস করতেন। মা মেয়ের মরদেহ ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রহন করতে প্রবাসি উত্তম রায় এখন বাংলাদেশে আসার পথে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা মেয়ের লাশ পরিবারের পক্ষ থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। আগুনের ধোয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৪৬ জন। সবার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। সকাল থেকে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের মধ্যে ছয়জনকে আর চেনার উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাধবপুর উপজেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের ইন্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড প্রবাসী। তার স্ত্রী রুবি রায় ও মেয়ে ভিয়াংকা রায় ঢাকায় বসবাস করতেন। পোল্যান্ড স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এরই মধ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি চুড়ান্ত করে মা ও মেয়ে। পূর্বপ্রস্ততি অনুযায়ী মা ও মেয়ে বাসা থেকে কেনা কাটা করতে বের হন। রাতের খাবার খেতে তারা বেইলি রোডের হোটেলে যান। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আগুনে পুড়ে গেছে।”
উপজেলা বানেশ্রপুর গ্রামে গিয়ে দেখা পরিবারের আহাজারিতে শোকে স্তব্ধ বাড়ির আশপাশের মানুষও। উত্তম রায়ের বড় ভাই বিষ্ণু রায় বলেন, ভাই ইন্জিনিয়ার ১৯৯৬ সালে হুন্দাই কোম্পানিতে কুরিয়া চাকুরি করার সময় ফিলিপাইন নাগরিক রুবির সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে। উত্তম পোল্যান্ড চলে যাওয়ার পর রুবি রায় তার মেয়ে ভিয়াংকাকে নিয়ে ঢাকার মালিবাগে বসবাস করতেন। মা মেয়ের মরদেহ ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রহন করতে প্রবাসি উত্তম রায় এখন বাংলাদেশে আসার পথে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা মেয়ের লাশ পরিবারের পক্ষ থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। আগুনের ধোয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৪৬ জন। সবার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। সকাল থেকে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের মধ্যে ছয়জনকে আর চেনার উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।