নবীগঞ্জ, (হবিগঞ্জ) ১৫ মার্চ : নবীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে কলেজ ছাত্র সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন (১৮) হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রধান আসামী মান্নাকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজারের মাতারকাপন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফকৃত মান্না শহরের ওসমানী রোডস্থ রবিন ট্রের্ডাসের মালিক হেভলুর রহমানের ছেলে।
উল্লেখ্য, সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন নবীগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের ওসমানী রোডস্থ চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের সামনে পথরোধ করে ধৃত মান্নাসহ তার সহপাটিরা প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনার ৫ দিনের মাথায় নিহত তাহসিনের মা মুড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা সুলতানা বাদী হয়ে মান্নাকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য পুর্বক আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যায়। আসামীদের গ্রেফতার করতে থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ মাসুক আলী’র দিকনিদের্শনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান প্রাণপন চেষ্টা করেন। এতে নিজস্ব সোর্স, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। শুক্রবার বিকালে গোপন সুত্র ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিশ্চিত হন হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মান্না মৌলভীবাজার মাতারকাপন এলাকায় অবস্থান করছে। তিনি একদল পুলিশ নিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকা থেকে সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানাগেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়- সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন (১৮) নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের এইচ.এস.সি ২য় বর্ষে শিক্ষার্থী। সাক্ষী নিহাল আহমেদ মাহি তাহসিনের খালাতো ভাই ও সহপাঠি। আসামীদের কয়েকজন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র। অন্যরা লেখাপড়া করে না বখাটে। তবে আসামীদের সহপাঠি হিসাবে তারা এক সাথে চলাফেরা করে। আসামী মান্নাসহ অন্যরা তাহসিনকে তাদের সাথে চলাফেরা করার জন্য বলে। কিন্তু আসামীদের চালচলন, কথাবার্তা ও আচরণ উশৃংখল প্রকৃতির দেখে তাহসিন তাদেরকে এড়িয়ে চলে। এজন্য আসামীরা তাহসিনের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
তাহসিন গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সকালে বাসা থেকে বের হয়ে এইচ.এস.সি নির্বাচনী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজে যায়। নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালীন আসামীদের মধ্যে কয়েকজন তাহসিনের পরীক্ষার খাতা দেখানোর জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তাহসিন তার পরীক্ষা ভাল করার জন্য তাদের কথায় খাতা দেখায়নি। পরীক্ষার পর কলেজের সামনে মাঠে মান্না, জুয়েল, রিহাত ও রাতুল পরীক্ষার হলে খাতা না দেখানোর কারণে তাহসিনকে অপমান করে। এক পর্যায়ে তারা তাহসিনের মুখে ও শরীরে থুথু নিক্ষেপ করে। তাহসিন প্রতিবাদ করলে মান্নাসহ অন্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কলেজের সিনিয়র ছাত্রদের হস্তক্ষেপে তাহসিন কলেজ ত্যাগ করে বাসায় চলে আসে। বিকেলে তাহসিন খালাতো ভাই মাহিকে নিয়ে চা খাওয়ার জন্য নবীগঞ্জ শহরে রাজা কমপ্লেক্স নামক মার্কেটের পিছনে একটি চায়ের দোকানে যায়। চা খাওয়া অবস্থায় আসামী মান্নাসহ অন্যরা তাহসিনকে লক্ষ্য করে গালি-গালাজ করে। পরে তাহসিনকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয় তারা। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে সরিয়ে দেয়। পরে তাহসিন মাহিকে নিয়ে নবীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক আয়োজিত বই মেলা দেখার জন্য পৌরসভা প্রাঙ্গণে যায়। রাত ৯টায় বইমেলা থেকে ফেরার পথিমধ্যে তাহসিন ও মাহি ওসমানী রোডস্থ চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের সামনের পৌছামাত্রই মান্নাসহ অন্যসকল আসামীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র, দা, লাঠি, লোহার রড, পাইপ, চাকু ছুরিসহকারে তাহসিন ও মাহির উপর হামলা করে। এ সময় তাহসিনকে সারা শরীরে আঘাত করে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় তাহসিনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মাহিকেও বেধরকভাবে মারধোর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাহসিন ও মাহিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাহসিন মারা যায়। বুধবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ জেকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে তাহসিনের গ্রামের বাড়িতের দাফন সম্পন্ন হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ. মাসুক আলী - ঘটনার প্রধান আসামী মান্না গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকী আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন নবীগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের ওসমানী রোডস্থ চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের সামনে পথরোধ করে ধৃত মান্নাসহ তার সহপাটিরা প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনার ৫ দিনের মাথায় নিহত তাহসিনের মা মুড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা সুলতানা বাদী হয়ে মান্নাকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য পুর্বক আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যায়। আসামীদের গ্রেফতার করতে থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ মাসুক আলী’র দিকনিদের্শনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান প্রাণপন চেষ্টা করেন। এতে নিজস্ব সোর্স, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। শুক্রবার বিকালে গোপন সুত্র ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিশ্চিত হন হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মান্না মৌলভীবাজার মাতারকাপন এলাকায় অবস্থান করছে। তিনি একদল পুলিশ নিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকা থেকে সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানাগেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়- সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন (১৮) নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের এইচ.এস.সি ২য় বর্ষে শিক্ষার্থী। সাক্ষী নিহাল আহমেদ মাহি তাহসিনের খালাতো ভাই ও সহপাঠি। আসামীদের কয়েকজন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র। অন্যরা লেখাপড়া করে না বখাটে। তবে আসামীদের সহপাঠি হিসাবে তারা এক সাথে চলাফেরা করে। আসামী মান্নাসহ অন্যরা তাহসিনকে তাদের সাথে চলাফেরা করার জন্য বলে। কিন্তু আসামীদের চালচলন, কথাবার্তা ও আচরণ উশৃংখল প্রকৃতির দেখে তাহসিন তাদেরকে এড়িয়ে চলে। এজন্য আসামীরা তাহসিনের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
তাহসিন গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সকালে বাসা থেকে বের হয়ে এইচ.এস.সি নির্বাচনী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজে যায়। নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালীন আসামীদের মধ্যে কয়েকজন তাহসিনের পরীক্ষার খাতা দেখানোর জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তাহসিন তার পরীক্ষা ভাল করার জন্য তাদের কথায় খাতা দেখায়নি। পরীক্ষার পর কলেজের সামনে মাঠে মান্না, জুয়েল, রিহাত ও রাতুল পরীক্ষার হলে খাতা না দেখানোর কারণে তাহসিনকে অপমান করে। এক পর্যায়ে তারা তাহসিনের মুখে ও শরীরে থুথু নিক্ষেপ করে। তাহসিন প্রতিবাদ করলে মান্নাসহ অন্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কলেজের সিনিয়র ছাত্রদের হস্তক্ষেপে তাহসিন কলেজ ত্যাগ করে বাসায় চলে আসে। বিকেলে তাহসিন খালাতো ভাই মাহিকে নিয়ে চা খাওয়ার জন্য নবীগঞ্জ শহরে রাজা কমপ্লেক্স নামক মার্কেটের পিছনে একটি চায়ের দোকানে যায়। চা খাওয়া অবস্থায় আসামী মান্নাসহ অন্যরা তাহসিনকে লক্ষ্য করে গালি-গালাজ করে। পরে তাহসিনকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয় তারা। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে সরিয়ে দেয়। পরে তাহসিন মাহিকে নিয়ে নবীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক আয়োজিত বই মেলা দেখার জন্য পৌরসভা প্রাঙ্গণে যায়। রাত ৯টায় বইমেলা থেকে ফেরার পথিমধ্যে তাহসিন ও মাহি ওসমানী রোডস্থ চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের সামনের পৌছামাত্রই মান্নাসহ অন্যসকল আসামীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র, দা, লাঠি, লোহার রড, পাইপ, চাকু ছুরিসহকারে তাহসিন ও মাহির উপর হামলা করে। এ সময় তাহসিনকে সারা শরীরে আঘাত করে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় তাহসিনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মাহিকেও বেধরকভাবে মারধোর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাহসিন ও মাহিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাহসিন মারা যায়। বুধবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ জেকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে তাহসিনের গ্রামের বাড়িতের দাফন সম্পন্ন হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ. মাসুক আলী - ঘটনার প্রধান আসামী মান্না গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকী আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।