লাখাই, (হবিগঞ্জ) ৫ এপ্রিল : জেলার শস্যভান্ডার খ্যাত হাওর অধ্যুষিত লাখাই উপজেলায় প্রতি বছরই বাড়ছে গমের চাষ। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আমন ধান চাষের পরপরই পতিত জমিতে চাষ হচ্ছে গম।
আমন ধানের পরপরই অনাবাদি জমিতে সরিষা চাষে চমক দেখালেও কৃষি অফিসের পরামর্শে বর্তমানে সরিষার পাশাপাশি গম চাষের দিকে ঝুঁকছেন লাখাই উপজেলার অনেক কৃষক। উপজেলার করাব, মুড়িয়াউক, বামৈ ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক আমন ধান তোলার পরপরই তাদের জমিতে চাষ করেছেন গম।
লাখাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর গম চাষের জমির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হেক্টর। তবে গমের আবাদ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।গম মূলত শীত প্রধান দেশের অর্থকরী ফসল। তবে আমাদের দেশেও গমের চাষ হয়, যদিও গম চাষের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ গম গবেষণা কেন্দ্র দেশে গম আবাদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তবে কৃষিবিদরা মনে করেন কৃষকদের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ। গমে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়া, সেচও কম দিতে হয়, সারও কম লাগে তাই উৎপাদন ব্যয়ও কম। ধানের চেয়ে তুলনামূলক গমের দামও ভালো। তাই কৃষক কম খরচে অধিক আয়ের লক্ষ্যে গম আবাদে ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন তারা ।
ইউনুছ মিয়া একজন কৃষক, তিনি জানান, আমন ধান চাষের পর ২ কের (১ কের - স্থানীয়ভাবে ৩২ শতাংশ জমি) জমিতে ১০ মণ গম হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ১৬শত টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করা যায়।
কাটিহারা গ্রামের স্বপ্না বেগম নামের একজন কৃষাণী জানান, তার পৌনে ২ কের জমিতে ৫ মণের মতো গম হবে। বৃষ্টির কারনে চারাগাছ নষ্ট হয়েছে এবং আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস তাদের মতো প্রান্তিক কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং বীজ ও সার সহায়তা প্রদান করলে উপকৃত হতেন তারা।
লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান জানান, লাখাইয়ে আমন ধানের পরপরই সরিষা চাষ করে কৃষকেরা ইতিমধ্যে সাফল্য পেয়েছে। পাশাপাশি গম চাষে কৃষকদের অনীহা দূর করতে গম চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন তারা। করাব ও মুড়িয়াউক ইউনিয়নে ৫০ থেকে ১০০ জনের মতো কৃষকদের বীজ সহায়তা (গমবীজ) প্রদান করা হয়েছে। লাখাই উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের ও কৃষির উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান তিনি।
আমন ধানের পরপরই অনাবাদি জমিতে সরিষা চাষে চমক দেখালেও কৃষি অফিসের পরামর্শে বর্তমানে সরিষার পাশাপাশি গম চাষের দিকে ঝুঁকছেন লাখাই উপজেলার অনেক কৃষক। উপজেলার করাব, মুড়িয়াউক, বামৈ ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক আমন ধান তোলার পরপরই তাদের জমিতে চাষ করেছেন গম।
লাখাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর গম চাষের জমির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হেক্টর। তবে গমের আবাদ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।গম মূলত শীত প্রধান দেশের অর্থকরী ফসল। তবে আমাদের দেশেও গমের চাষ হয়, যদিও গম চাষের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ গম গবেষণা কেন্দ্র দেশে গম আবাদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তবে কৃষিবিদরা মনে করেন কৃষকদের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ। গমে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়া, সেচও কম দিতে হয়, সারও কম লাগে তাই উৎপাদন ব্যয়ও কম। ধানের চেয়ে তুলনামূলক গমের দামও ভালো। তাই কৃষক কম খরচে অধিক আয়ের লক্ষ্যে গম আবাদে ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন তারা ।
ইউনুছ মিয়া একজন কৃষক, তিনি জানান, আমন ধান চাষের পর ২ কের (১ কের - স্থানীয়ভাবে ৩২ শতাংশ জমি) জমিতে ১০ মণ গম হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ১৬শত টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করা যায়।
কাটিহারা গ্রামের স্বপ্না বেগম নামের একজন কৃষাণী জানান, তার পৌনে ২ কের জমিতে ৫ মণের মতো গম হবে। বৃষ্টির কারনে চারাগাছ নষ্ট হয়েছে এবং আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস তাদের মতো প্রান্তিক কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং বীজ ও সার সহায়তা প্রদান করলে উপকৃত হতেন তারা।
লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান জানান, লাখাইয়ে আমন ধানের পরপরই সরিষা চাষ করে কৃষকেরা ইতিমধ্যে সাফল্য পেয়েছে। পাশাপাশি গম চাষে কৃষকদের অনীহা দূর করতে গম চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন তারা। করাব ও মুড়িয়াউক ইউনিয়নে ৫০ থেকে ১০০ জনের মতো কৃষকদের বীজ সহায়তা (গমবীজ) প্রদান করা হয়েছে। লাখাই উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের ও কৃষির উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান তিনি।