ঢাকা, ১১ এপ্রিল : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘদিন তিনি কিডনি জটিলতাসহ কিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগেও ভুগছিলেন।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুর দিকে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস অধ্যয়নরত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দেশমাতৃকার টানে চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে লন্ডন থেকে ভারতে আসেন তিনি। সেখানে আগরতলার মেলাঘরে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন ডা. জাফরুল্লাহ।
পরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন, পরে তারা রোগীদের সেবা করতেন। তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়।
জাফরুল্লাহর চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। তাঁর বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরীর শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী কলকাতা ও ঢাকার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। মা-বাবার দশ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন তিনি। ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
দেশ স্বাধীনের পর ভেঙে পড়া স্বাস্থখাত এগিয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নেন তিনি। তিনি মূলত জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ। চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি রাজনীতি শুরু করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। পরে দেশের সাধারণ জনগণের সেবায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিও গড়ে তোলেন তিনি। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন এই দেশপ্রেমিক। এছাড়া ১৯৮৫ সালে ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই ও ১৯৯২ সালে সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড পান তিনি। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ খেতাবে ভূষিত হন ডা. জাফরুল্লাহ। মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে পান সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কারও পান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুর দিকে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস অধ্যয়নরত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দেশমাতৃকার টানে চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে লন্ডন থেকে ভারতে আসেন তিনি। সেখানে আগরতলার মেলাঘরে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন ডা. জাফরুল্লাহ।
পরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন, পরে তারা রোগীদের সেবা করতেন। তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়।
জাফরুল্লাহর চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। তাঁর বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরীর শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী কলকাতা ও ঢাকার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। মা-বাবার দশ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন তিনি। ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
দেশ স্বাধীনের পর ভেঙে পড়া স্বাস্থখাত এগিয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নেন তিনি। তিনি মূলত জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ। চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি রাজনীতি শুরু করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। পরে দেশের সাধারণ জনগণের সেবায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিও গড়ে তোলেন তিনি। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন এই দেশপ্রেমিক। এছাড়া ১৯৮৫ সালে ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই ও ১৯৯২ সালে সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড পান তিনি। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ খেতাবে ভূষিত হন ডা. জাফরুল্লাহ। মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে পান সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কারও পান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।