ঢাকা, ১৩ এপ্রিল : আজ চৈত্র সংক্রান্তি। শেষ দিন ঋতুরাজ বসন্তেরও। জীর্ণ, পুরণো, কুসংস্কার ও ধর্মান্ধ শক্তি ধুয়ে ধুয়ে মুছে যাক; বিদায়ী সূর্যের কাছে এই প্রণতি জানাবে বাঙ্গালি জাতি। বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের শেষ এ দিনটেকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। আগামীকাল বৈশাখের প্রথম দিন আসবে নতুন দিনের বারতা নিয়ে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উদগ্রীব গোটা বাঙ্গালি।
সংক্রান্তি শব্দটি বাংলায় হুবহু এসেছে সংস্কৃত সংক্রান্তি থেকে। এর অর্থ আকাশে পরিক্রমণের পথে এক রাশিচক্র থেকে অন্য রাশিচক্রে সূর্যের আবর্তন। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় নতুন একটি সৌরবছর। দার্শনিক এবং সাংস্কৃতিক উভয় প্রেক্ষাপটেই অসীম তাৎপর্য বহন করে চৈত্র সংক্রান্তি, কেননা এ দিনের মধ্য দিয়েই পূর্ণতায় উপনীত হয় ঋতুচক্রের আবর্তন, শুরু হয় ঋতুর আবাহন। উপমহাদেশের সনাতন প্রথা অনুসারী মানুষেরা এই দিনটিকে খুবই পুণ্যের দিন বলে মনে করে। সনাতন পঞ্জিকা মতে দিনটিকে গণ্য করা হয় মহাবিষুব সংক্রান্তি। এছাড়াও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চৈত্র মাস জুড়ে উৎসবের মধ্যে সূর্যের কৃপা প্রার্থনা করে। কেননা সূর্য তার রুদ্ররূপে প্রতিভাত। তাই চৈত্র সংক্রান্তিতে নানা উপাচারে নৈবদ্য দিয়ে তাকে তুষ্ট করে তারা।
চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও নানা পার্বন মনে করিয়ে দেয় নতুন বছর দোরগোড়ায়। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে লোকমেলা গ্রাম-গঞ্জেই বেশী হয়। গান-বাজনা, মেলা, নাগরদোলা, প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে লোকজ সংস্কৃতির নানা সম্ভার ওঠে আসে এই দিনে। কালের বিবর্তনে চৈত্র সংক্রান্তির গুরুত্ব ও উদযাপন এখন অনেকটা ম্লান। নাগরিক সভ্যতার ডামাডোলে নগরীতে এর আবেদন নেই বললেই চলে। তারপরও কোনো কোনো গ্রামে ও শহরে কিছু কিছু সংগঠন ঐতিহ্যকে লালন করে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পুরনো বছরের সকল লেনদেন ঘুচিয়ে নতুন বছরের হালখাতা খুলে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ধোয়ামোছা, নতুন ব্যবহার্য সামগ্রী কেনা, পুরনো দেনা পাওনা মিটিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত তারাও। হালখাতায় সবাই যে টাকা পরিশোধ করতে পারেন তা নয়। মূলত টাকা দিতে পারুক আর নাই পারুক বছরের শুরুর দিনে ক্রেতা-বিক্রেতাকে একত্রে বসে মিষ্টিমুখ করাই হচ্ছে হালখাতা খোলার উদ্দেশ্য।
নানা আয়োজনে আজ যখন চৈত্র সংক্রান্তির পার্বন, তখন একই সঙ্গে দুয়ারে কড়া নাড়ছে সর্বজনীন উৎসবের নববর্ষ পহেলা বৈশাখ। আজ বৃহষ্পতিবার রাত পোহালেই নববর্ষ উৎসবে মুখর হয়ে উঠবে বাঙ্গালি জাতি। নববর্ষের আয়োজনে ব্যস্ত উৎসব প্রেমীরা। সব প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে।
সংক্রান্তি শব্দটি বাংলায় হুবহু এসেছে সংস্কৃত সংক্রান্তি থেকে। এর অর্থ আকাশে পরিক্রমণের পথে এক রাশিচক্র থেকে অন্য রাশিচক্রে সূর্যের আবর্তন। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় নতুন একটি সৌরবছর। দার্শনিক এবং সাংস্কৃতিক উভয় প্রেক্ষাপটেই অসীম তাৎপর্য বহন করে চৈত্র সংক্রান্তি, কেননা এ দিনের মধ্য দিয়েই পূর্ণতায় উপনীত হয় ঋতুচক্রের আবর্তন, শুরু হয় ঋতুর আবাহন। উপমহাদেশের সনাতন প্রথা অনুসারী মানুষেরা এই দিনটিকে খুবই পুণ্যের দিন বলে মনে করে। সনাতন পঞ্জিকা মতে দিনটিকে গণ্য করা হয় মহাবিষুব সংক্রান্তি। এছাড়াও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চৈত্র মাস জুড়ে উৎসবের মধ্যে সূর্যের কৃপা প্রার্থনা করে। কেননা সূর্য তার রুদ্ররূপে প্রতিভাত। তাই চৈত্র সংক্রান্তিতে নানা উপাচারে নৈবদ্য দিয়ে তাকে তুষ্ট করে তারা।
চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও নানা পার্বন মনে করিয়ে দেয় নতুন বছর দোরগোড়ায়। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে লোকমেলা গ্রাম-গঞ্জেই বেশী হয়। গান-বাজনা, মেলা, নাগরদোলা, প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে লোকজ সংস্কৃতির নানা সম্ভার ওঠে আসে এই দিনে। কালের বিবর্তনে চৈত্র সংক্রান্তির গুরুত্ব ও উদযাপন এখন অনেকটা ম্লান। নাগরিক সভ্যতার ডামাডোলে নগরীতে এর আবেদন নেই বললেই চলে। তারপরও কোনো কোনো গ্রামে ও শহরে কিছু কিছু সংগঠন ঐতিহ্যকে লালন করে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পুরনো বছরের সকল লেনদেন ঘুচিয়ে নতুন বছরের হালখাতা খুলে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ধোয়ামোছা, নতুন ব্যবহার্য সামগ্রী কেনা, পুরনো দেনা পাওনা মিটিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত তারাও। হালখাতায় সবাই যে টাকা পরিশোধ করতে পারেন তা নয়। মূলত টাকা দিতে পারুক আর নাই পারুক বছরের শুরুর দিনে ক্রেতা-বিক্রেতাকে একত্রে বসে মিষ্টিমুখ করাই হচ্ছে হালখাতা খোলার উদ্দেশ্য।
নানা আয়োজনে আজ যখন চৈত্র সংক্রান্তির পার্বন, তখন একই সঙ্গে দুয়ারে কড়া নাড়ছে সর্বজনীন উৎসবের নববর্ষ পহেলা বৈশাখ। আজ বৃহষ্পতিবার রাত পোহালেই নববর্ষ উৎসবে মুখর হয়ে উঠবে বাঙ্গালি জাতি। নববর্ষের আয়োজনে ব্যস্ত উৎসব প্রেমীরা। সব প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে।