লাখাই, (হবিগঞ্জ) ১৫ জুন : লাখাইয়ে ঋণের টাকা না দিয়ে উল্টো দরিদ্র গ্রাহকের উপর মিথ্যা ঋনের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে " এফএইচপি " নামক এক এনজিওর মাঠকর্মী ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। গত ১২ই জুন মাজেদা খাতুন নামে একজন গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়ে সংস্থাটির ম্যানেজার ফজলুল হক ও মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধরের বিরুদ্ধে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাজেদা খাতুন নামে ঐ গ্রাহককে ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধর। মাঠকর্মীর কথা অনুযায়ী তিনি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ৭ হাজার টাকা ও জমা দেন।
বিগত ২ জুন দুপুরে ঋন নেওয়ার জন্য সমিতির কার্যালয়ে মাজেদা খাতুন এবং তার ভাই নওয়াব মিয়া যান। সেখানে তাদের প্রয়োজন টিপসই রেখে বলা হয় আগামীকাল (৩ রা জুন) মাঠকর্মী অমৃতার মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং মাসিক ৭ হাজার টাকা কিস্তিতে তা পরিশোধ করতে হবে। পরদিন মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধরের সাথে গ্রাহকের ভাই নওয়াব মিয়ার একটি চায়ের দোকানে দেখা হলে তিনি বলেন তার বোন মাজেদার বাড়িতে গিয়ে টাকা দেবেন । পরবর্তীতে তিনি গ্রাহককে তার ঋনের টাকা না দিয়ে চলে আসেন।
এব্যাপারে এনজিও সংস্থাটির ম্যানেজার ফজলুল হক মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, অফিসে টাকা না থাকায় পরদিন ১ নং লাখাই ইউনিয়নের গাংপাড়হাটি সংলগ্ন ফরহাদ মিয়ার চায়ের দোকানে গ্রাহক মাজেদা খাতুনের ভাই নওয়াব মিয়ার কাছে মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধর ও অন্য ২ জন মাঠকর্মীর উপস্থিতিতে ঋনের টাকা দেওয়া হয়।
মুঠোফোনে মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধরের সাথে আলাপ হলে বলেন, আমি ফরহাদ মিয়ার চায়ের দোকানে আমার ২ জন স্যারের সামনে নওয়াব মিয়াকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন নওয়াব মিয়া টাকা পান নি বলে অস্বীকার করতেছেন। তবে চায়ের দোকানদার ফরহাদ মিয়া আমাকে টাকা গুনতে দেখেছেন তবে দিতে দেখেন নি।
এ ব্যাপারে গ্রাহক মাজেদা খাতুন বলেন, আমি ঐ দিন আমার ভাইকে টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে জানায়, মাঠকর্মী অমৃতা টাকা না দিয়ে চলে গেছে। আমি গ্রাহক হিসেবে আমাকে ঋনের টাকা না দিয়ে আমার ভাইয়ের নামে মিথ্যা কথা বলছেন উনারা।
এ ব্যাপারে চায়ের দোকানদার ফরহাদ মিয়া জানান, মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধর তার দোকানে এসে নওয়াব মিয়াকে কোমল পানীয় আনতে অন্য দোকানে ১ শত টাকা দিয়ে পাঠান। নওয়াব মিয়া চলে যাওয়ার পর তিনি ব্যাগ থেকে টাকা বের করে গুনে নেন। কিন্তু তারপর নওয়াব মিয়া কোমল পানীয়সহ ফেরত আসলে তাকে টাকা দিতে দেখেন নি। দোকানে অনেকজন লোক ছিল এবং তিনি (অমৃতা) একা দোকানে প্রবেশ করেন ৷
এ ব্যাপারে নওয়াব মিয়া বলেন, উনি দোকানে এসেই আমাকে ঠাণ্ডা (কোমল পানীয়) আনতে বলেন। ঠাণ্ডা নিয়ে আসার পর উনি দোকান থেকে বের হয়ে যান। উনাকে ডাক দিয়ে টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন, বাড়িতে গিয়ে আমার বোন মাজেদা খাতুনের কাছে দিয়ে আসবেন। মাঠকর্মী আমাকে টাকা না দিয়ে উল্টো আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। উনারা অফিসে আমার বোন মাজেদা খাতুন ও সাক্ষী আকবর হোসেনের টিপসই রাখেন এবং এর আগে বাড়িতে লোনের ফরমে আমার স্বাক্ষর নিয়ে নেন।
আলাউদ্দিন মিয়া নামে একজন জানান, ঐ দিন চায়ের দোকানে নওয়াব মিয়াকে কোনো টাকা দিতে দেখেন নি। স্থানীয় মুরুব্বি সেলিম মিয়া জানান, গ্রাহকের টাকা গ্রাহককে না জানিয়ে অন্য কাউকে দেওয়াটা দায়িত্বহীনতার পরিচয়। মাঠকর্মী ও নওয়াব মিয়ার পরস্পর বিরোধী বক্তব্য যাচাই করে তদন্ত করলেই প্রকৃত অপরাধীকে পাওয়া যাবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাজেদা খাতুন নামে ঐ গ্রাহককে ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধর। মাঠকর্মীর কথা অনুযায়ী তিনি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ৭ হাজার টাকা ও জমা দেন।
বিগত ২ জুন দুপুরে ঋন নেওয়ার জন্য সমিতির কার্যালয়ে মাজেদা খাতুন এবং তার ভাই নওয়াব মিয়া যান। সেখানে তাদের প্রয়োজন টিপসই রেখে বলা হয় আগামীকাল (৩ রা জুন) মাঠকর্মী অমৃতার মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং মাসিক ৭ হাজার টাকা কিস্তিতে তা পরিশোধ করতে হবে। পরদিন মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধরের সাথে গ্রাহকের ভাই নওয়াব মিয়ার একটি চায়ের দোকানে দেখা হলে তিনি বলেন তার বোন মাজেদার বাড়িতে গিয়ে টাকা দেবেন । পরবর্তীতে তিনি গ্রাহককে তার ঋনের টাকা না দিয়ে চলে আসেন।
এব্যাপারে এনজিও সংস্থাটির ম্যানেজার ফজলুল হক মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, অফিসে টাকা না থাকায় পরদিন ১ নং লাখাই ইউনিয়নের গাংপাড়হাটি সংলগ্ন ফরহাদ মিয়ার চায়ের দোকানে গ্রাহক মাজেদা খাতুনের ভাই নওয়াব মিয়ার কাছে মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধর ও অন্য ২ জন মাঠকর্মীর উপস্থিতিতে ঋনের টাকা দেওয়া হয়।
মুঠোফোনে মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধরের সাথে আলাপ হলে বলেন, আমি ফরহাদ মিয়ার চায়ের দোকানে আমার ২ জন স্যারের সামনে নওয়াব মিয়াকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন নওয়াব মিয়া টাকা পান নি বলে অস্বীকার করতেছেন। তবে চায়ের দোকানদার ফরহাদ মিয়া আমাকে টাকা গুনতে দেখেছেন তবে দিতে দেখেন নি।
এ ব্যাপারে গ্রাহক মাজেদা খাতুন বলেন, আমি ঐ দিন আমার ভাইকে টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে জানায়, মাঠকর্মী অমৃতা টাকা না দিয়ে চলে গেছে। আমি গ্রাহক হিসেবে আমাকে ঋনের টাকা না দিয়ে আমার ভাইয়ের নামে মিথ্যা কথা বলছেন উনারা।
এ ব্যাপারে চায়ের দোকানদার ফরহাদ মিয়া জানান, মাঠকর্মী অমৃতা রাণী সূত্রধর তার দোকানে এসে নওয়াব মিয়াকে কোমল পানীয় আনতে অন্য দোকানে ১ শত টাকা দিয়ে পাঠান। নওয়াব মিয়া চলে যাওয়ার পর তিনি ব্যাগ থেকে টাকা বের করে গুনে নেন। কিন্তু তারপর নওয়াব মিয়া কোমল পানীয়সহ ফেরত আসলে তাকে টাকা দিতে দেখেন নি। দোকানে অনেকজন লোক ছিল এবং তিনি (অমৃতা) একা দোকানে প্রবেশ করেন ৷
এ ব্যাপারে নওয়াব মিয়া বলেন, উনি দোকানে এসেই আমাকে ঠাণ্ডা (কোমল পানীয়) আনতে বলেন। ঠাণ্ডা নিয়ে আসার পর উনি দোকান থেকে বের হয়ে যান। উনাকে ডাক দিয়ে টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন, বাড়িতে গিয়ে আমার বোন মাজেদা খাতুনের কাছে দিয়ে আসবেন। মাঠকর্মী আমাকে টাকা না দিয়ে উল্টো আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। উনারা অফিসে আমার বোন মাজেদা খাতুন ও সাক্ষী আকবর হোসেনের টিপসই রাখেন এবং এর আগে বাড়িতে লোনের ফরমে আমার স্বাক্ষর নিয়ে নেন।
আলাউদ্দিন মিয়া নামে একজন জানান, ঐ দিন চায়ের দোকানে নওয়াব মিয়াকে কোনো টাকা দিতে দেখেন নি। স্থানীয় মুরুব্বি সেলিম মিয়া জানান, গ্রাহকের টাকা গ্রাহককে না জানিয়ে অন্য কাউকে দেওয়াটা দায়িত্বহীনতার পরিচয়। মাঠকর্মী ও নওয়াব মিয়ার পরস্পর বিরোধী বক্তব্য যাচাই করে তদন্ত করলেই প্রকৃত অপরাধীকে পাওয়া যাবে।