ওয়ারেন, ২ অক্টোবর : আজ বুধবার (২ অক্টোবর) শুভ মহালয়া। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গপূজার ক্ষণ গণনা শুরু। মহালয়ার ৬ দিন পরই আসে মহাসপ্তমি। শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। আজ পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা ঘটছে দেবীপক্ষের। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। দিনটি সাড়ম্বরে উদযাপনের জন্য মিশিগানের বিভিন্ন মন্দিরে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে, তাই মহালয়া। আর এই দিনটি হচ্ছে পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। শাস্ত্র অনুযায়ী মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়। অন্যদিকে মহালয়া বলতে ‘পিতৃলোক’কেও বোঝায়, যেখানে বিদেহী পিতৃপুরুষ অবস্থান করছেন। পিতৃপক্ষের অবসানে, অমাবস্যার সীমানা ডিঙ্গিয়ে আলোকময় দেবীপক্ষের আগমনের মহালগ্নটি মহালয়ার বার্তা বহন করে আনে। এক্ষেত্রে স্বয়ং দেবীই হচ্ছেন সেই মহান আশ্রয়। তাই উত্তরণের লগ্নটির নাম মহালয়া। সনাতন ধর্মে কোন শুভ কাজ করতে গেলে প্রয়াত পূর্বজসহ সমগ্র জীবজগতের জন্য তর্পণ করতে হয়। তর্পণ মানে হলো খুশি করা। সাধারণভাবে মৃত পূর্বপুরুষগণকে জলদান করাকেই তর্পণ বলা হয়।
গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছিল পিতৃতর্পণ। মহালয়ায় তর্পণ-শ্রাদ্ধ করলে পিতৃপুরূষরা আশীর্বাদ করেন বলে মনে করা হয়। আবার তর্পণের দিন পর্যন্ত কৃত্যপাপ তৎক্ষণাৎ বিনষ্ট হয় বলেও কথিত আছে। পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সহ তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা এই দিনটির বিশেষত্ব। মহালয়ার অমাবস্যায় বা সর্বপিতৃ অমাবস্যায় পিতৃপক্ষের সমাপন এবং মাতৃপক্ষের সূচনা হবে। লােক বিশ্বাস, কৈলাস থেকে দেবী দুর্গা নাকি মহালয়া থেকে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কাজেই মহালয়া তিথিটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে দুর্গা পুজাের ক্ষেত্রে। শাস্ত্রমতে দেবীদুর্গা মহিষাসুর নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এই মহালয়া তিথিতে। মহালয়ায় দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত হন তিনি। বিশ্বজুড়ে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মহালয়া এলেই দেবী বন্দনার সুর ধ্বনিত হয়। দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ।
আগামী ৮ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। এমনিতেই দেবী দুর্গার বাহন সিংহ। তবে তিনি প্রতি বছর মর্ত্যে আসেন আলাদা আলাদা বাহনে। হিন্দু শাস্ত্রানুসারে দেবীর এই এক একটি বাহন সমাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বার্তা দেয়। এক্ষেত্রে আলাদা ৪টি বাহনে দেবীর আসা যাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে, সেগুলি হলো ঘোটক, হস্তী, নৌকা এবং দোলা। এ বছর দেবী দুর্গার আগমন দোলা বা পালকিতে হচ্ছে। শাস্ত্রে আছে, ‘দোলায়াং মকরং ভবেৎ’, দোলায় আসা মকরতূল্য বা মহামারীর ইঙ্গিত। যার ফল শুভ নয়। এতে বিপুল দুর্ভোগ, দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে দেবী দুর্গার গমন হচ্ছে গজে। অর্থাৎ গজ বা হস্তিতে। গজ হল দেবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বাহন। দেবীর গমন হাতিতে হলে ফল- গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা। ফলে শস্যপূর্ণ ধরিত্রী প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফল শুভ।
এদিকে শুভ মহালয়া উপলক্ষে আগামী ৬ অক্টোবর রোববার ওয়ারেন সিটির শিব মন্দির টেম্পল অব জয় এবং মিশিগান কালিবাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সংগীত, ভক্তিমূলক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মিশিগান কালিবাড়িতে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৪টায়। পূজা অর্চনা ছাড়াও রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিব মন্দির টেম্পল অব জয়ে মহালয়ার অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টায়। চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সঙ্গীত এবং ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে।
দুর্গা টেম্পল অব ডেট্রয়েটে ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে পূজা। ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী ১২ অক্টোবর নবমী এবং ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমী পালিত হবে।
মিশিগানের শিব মন্দির ও মিশিগান কালিবাড়িতে ০৮ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথীতে বিল্যপত্র (বেলগাছ) পূজার মাধ্যমে দেবীকে আহ্বান জানানো হবে। এইদিনই হবে দেবীর বোধন পূজা। ০৯ অক্টোবর সপ্তমী তিথীতে দেবীর নবপত্রিকা স্থাপন সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভের মধ্যদিয়ে হবে মহা সপ্তমী পূজা। এই নব পত্রিকাই ‘কলাবউ’ নামে পরিচিত। নবপত্রিকাকে সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে অধিষ্ঠিত করা হবে। ১০ অক্টোবর মহা অষ্টমী তিথীতে নির্জলা উপবাস থেকে মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি দেয়া হবে। ১১ অক্টোবর মহা নবমী তিথীতে ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা। ১২ অক্টোবর মহা দশমীতে তিথীতে দর্পন বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দেবী আবারো ফিরে যাবেন কৈলাশে।
পূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের একঝাঁক জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছেছেন। মিশিগানের মঞ্চ মাতাতে এবার হাজির হচ্ছেন সাবেরী ভট্টাচার্য, শুচিস্মিতা চক্রবর্তী, সৌরভ দাশ, দ্বীপ চাটার্জি, সঞ্চিতা ভট্টাচার্য্য সহ আরও অনেকে।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে, তাই মহালয়া। আর এই দিনটি হচ্ছে পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। শাস্ত্র অনুযায়ী মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়। অন্যদিকে মহালয়া বলতে ‘পিতৃলোক’কেও বোঝায়, যেখানে বিদেহী পিতৃপুরুষ অবস্থান করছেন। পিতৃপক্ষের অবসানে, অমাবস্যার সীমানা ডিঙ্গিয়ে আলোকময় দেবীপক্ষের আগমনের মহালগ্নটি মহালয়ার বার্তা বহন করে আনে। এক্ষেত্রে স্বয়ং দেবীই হচ্ছেন সেই মহান আশ্রয়। তাই উত্তরণের লগ্নটির নাম মহালয়া। সনাতন ধর্মে কোন শুভ কাজ করতে গেলে প্রয়াত পূর্বজসহ সমগ্র জীবজগতের জন্য তর্পণ করতে হয়। তর্পণ মানে হলো খুশি করা। সাধারণভাবে মৃত পূর্বপুরুষগণকে জলদান করাকেই তর্পণ বলা হয়।
গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছিল পিতৃতর্পণ। মহালয়ায় তর্পণ-শ্রাদ্ধ করলে পিতৃপুরূষরা আশীর্বাদ করেন বলে মনে করা হয়। আবার তর্পণের দিন পর্যন্ত কৃত্যপাপ তৎক্ষণাৎ বিনষ্ট হয় বলেও কথিত আছে। পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সহ তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা এই দিনটির বিশেষত্ব। মহালয়ার অমাবস্যায় বা সর্বপিতৃ অমাবস্যায় পিতৃপক্ষের সমাপন এবং মাতৃপক্ষের সূচনা হবে। লােক বিশ্বাস, কৈলাস থেকে দেবী দুর্গা নাকি মহালয়া থেকে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কাজেই মহালয়া তিথিটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে দুর্গা পুজাের ক্ষেত্রে। শাস্ত্রমতে দেবীদুর্গা মহিষাসুর নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এই মহালয়া তিথিতে। মহালয়ায় দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত হন তিনি। বিশ্বজুড়ে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মহালয়া এলেই দেবী বন্দনার সুর ধ্বনিত হয়। দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ।
আগামী ৮ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। এমনিতেই দেবী দুর্গার বাহন সিংহ। তবে তিনি প্রতি বছর মর্ত্যে আসেন আলাদা আলাদা বাহনে। হিন্দু শাস্ত্রানুসারে দেবীর এই এক একটি বাহন সমাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বার্তা দেয়। এক্ষেত্রে আলাদা ৪টি বাহনে দেবীর আসা যাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে, সেগুলি হলো ঘোটক, হস্তী, নৌকা এবং দোলা। এ বছর দেবী দুর্গার আগমন দোলা বা পালকিতে হচ্ছে। শাস্ত্রে আছে, ‘দোলায়াং মকরং ভবেৎ’, দোলায় আসা মকরতূল্য বা মহামারীর ইঙ্গিত। যার ফল শুভ নয়। এতে বিপুল দুর্ভোগ, দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে দেবী দুর্গার গমন হচ্ছে গজে। অর্থাৎ গজ বা হস্তিতে। গজ হল দেবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বাহন। দেবীর গমন হাতিতে হলে ফল- গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা। ফলে শস্যপূর্ণ ধরিত্রী প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফল শুভ।
এদিকে শুভ মহালয়া উপলক্ষে আগামী ৬ অক্টোবর রোববার ওয়ারেন সিটির শিব মন্দির টেম্পল অব জয় এবং মিশিগান কালিবাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সংগীত, ভক্তিমূলক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মিশিগান কালিবাড়িতে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৪টায়। পূজা অর্চনা ছাড়াও রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিব মন্দির টেম্পল অব জয়ে মহালয়ার অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টায়। চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সঙ্গীত এবং ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে।
দুর্গা টেম্পল অব ডেট্রয়েটে ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে পূজা। ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী ১২ অক্টোবর নবমী এবং ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমী পালিত হবে।
মিশিগানের শিব মন্দির ও মিশিগান কালিবাড়িতে ০৮ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথীতে বিল্যপত্র (বেলগাছ) পূজার মাধ্যমে দেবীকে আহ্বান জানানো হবে। এইদিনই হবে দেবীর বোধন পূজা। ০৯ অক্টোবর সপ্তমী তিথীতে দেবীর নবপত্রিকা স্থাপন সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভের মধ্যদিয়ে হবে মহা সপ্তমী পূজা। এই নব পত্রিকাই ‘কলাবউ’ নামে পরিচিত। নবপত্রিকাকে সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে অধিষ্ঠিত করা হবে। ১০ অক্টোবর মহা অষ্টমী তিথীতে নির্জলা উপবাস থেকে মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি দেয়া হবে। ১১ অক্টোবর মহা নবমী তিথীতে ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা। ১২ অক্টোবর মহা দশমীতে তিথীতে দর্পন বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দেবী আবারো ফিরে যাবেন কৈলাশে।
পূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের একঝাঁক জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছেছেন। মিশিগানের মঞ্চ মাতাতে এবার হাজির হচ্ছেন সাবেরী ভট্টাচার্য, শুচিস্মিতা চক্রবর্তী, সৌরভ দাশ, দ্বীপ চাটার্জি, সঞ্চিতা ভট্টাচার্য্য সহ আরও অনেকে।