ওয়ারেন, ৯ অক্টোবর : গত মঙ্গলবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে মিশিগানে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আজ বুধবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে মহাসপ্তমীর পূজা। এবার স্বামীগৃহ থেকে পিতৃগৃহে দেবীর আগমন ঘটছে দোলায়। আর গমন করবেন ঘোড়ায়।
ষষ্ঠীতে অকাল বোধনের মাধ্যমে জাগ্রত হয়েছেন দেবী দুর্গা। দুর্গোৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজায় দুর্গতিনাশিনী দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। শিব মন্দির টেম্পল অব জয়, মিশিগান কালিবাড়িতে গতকাল সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাষষ্ঠী পূজা। সন্ধ্যায় মণ্ডপগুলোতে বোধনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গা জাগ্রত হয়েছেন।
আজ বুধবার নবপত্রিকা প্রবেশ, বিহিতপূজাসহ নানা আয়োজনে থাকছে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী। এদিনে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন এবং ষোড়শ উপচার অর্থাৎ ষোলটি উপাদানে দেবীর পূজা করা হবে। সেই সাথে সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। পূজা শেষে ভক্তরা পুষ্পমাল্য অর্পন করবেন।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে মিশিগানের বিভিন্ন পুজা মন্ডপ। শিব মন্দির, মিশিগান কালিবাড়ি, ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পলের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। লাগানো হয়েছে নানা রঙের বাতি।
এবার মিশিগানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে এর মধ্যে মিশিগান শিব মন্দির টেম্পল অব জয়, মিশিগান কালিবাড়ি, ডেট্রয়েট দুর্গা মন্দির, বিচিত্রা, স্বজন উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও মিশিগানের ট্রয়, ক্যান্টন, পন্টিয়াক সিটিসহ অন্যান্য সিটিতে অবাঙ্গালি হিন্দুরা মেতে রয়েছে নবরাত্রিতে। মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত নয় রাত্রি ধরে মা দুর্গার নয়টি যে পূজো হয় তাকেই নবরাত্রি বলে।
এদিকে পূজাকে ঘিরে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও নাচ, গান, আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটকের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবে মিশিগানে বেশ কজন ভারতীয় শিল্পীর আগমন ঘটছে। পূজা জুড়ে তারা মিশিগান মাতাবেন গানে গানে। ইতিমধ্যে স্থানীয় পূজা কমিটিগুলো আগত শিল্পীদের নাম ঘোষণা করেছে। ভারতের জনপ্রিয় এসব শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সৌরেন্দ্র - সৌম্যজিৎ, মন্ময় ও আকাশ, সোমলতা অ্যান্ড দ্য এসেস, সাবেরী ভট্টাচার্য, শুচিস্মিতা চক্রবর্তী, সৌরভ দাশ, দ্বীপ চাটার্জি, সঞ্চিতা ভট্টাচার্য্য সহ আরও অনেকে। এছাড়াও রয়েছে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা।
গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ বছরের শারদ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবী পক্ষের শুরুর তিথি এই মহালয়া।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, মহালয়া তিথিতে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে (পৃথিবীতে) আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ দিন ভোরে চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই মর্ত্যলোকে দেবী দুর্গাকে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন কাল বৃহষ্পতিবার মহাঅষ্টমী, শুক্রবার মহানবমী এবং শনিবার মহাদশমীর মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিলেন। সেই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হয় এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা, আসুরিক শক্তিকে বিনাশ করে রক্ষা করলেন ত্রিভুবন। এ কারণে দুর্গা কখনো দুর্গতিনাশিনী, কখনো সংকটনাশিনী। সেই দেবী প্রতি বছর শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে বাপের বাড়ি বেড়াতে মর্ত্যলোকে আসেন। দেবীর এই গৃহাগমন ঘিরেই পালিত হয় মহা উৎসব দুর্গাপূজা, যা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব।
ষষ্ঠীতে অকাল বোধনের মাধ্যমে জাগ্রত হয়েছেন দেবী দুর্গা। দুর্গোৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজায় দুর্গতিনাশিনী দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। শিব মন্দির টেম্পল অব জয়, মিশিগান কালিবাড়িতে গতকাল সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাষষ্ঠী পূজা। সন্ধ্যায় মণ্ডপগুলোতে বোধনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গা জাগ্রত হয়েছেন।
আজ বুধবার নবপত্রিকা প্রবেশ, বিহিতপূজাসহ নানা আয়োজনে থাকছে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী। এদিনে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন এবং ষোড়শ উপচার অর্থাৎ ষোলটি উপাদানে দেবীর পূজা করা হবে। সেই সাথে সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। পূজা শেষে ভক্তরা পুষ্পমাল্য অর্পন করবেন।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে মিশিগানের বিভিন্ন পুজা মন্ডপ। শিব মন্দির, মিশিগান কালিবাড়ি, ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পলের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। লাগানো হয়েছে নানা রঙের বাতি।
এবার মিশিগানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে এর মধ্যে মিশিগান শিব মন্দির টেম্পল অব জয়, মিশিগান কালিবাড়ি, ডেট্রয়েট দুর্গা মন্দির, বিচিত্রা, স্বজন উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও মিশিগানের ট্রয়, ক্যান্টন, পন্টিয়াক সিটিসহ অন্যান্য সিটিতে অবাঙ্গালি হিন্দুরা মেতে রয়েছে নবরাত্রিতে। মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত নয় রাত্রি ধরে মা দুর্গার নয়টি যে পূজো হয় তাকেই নবরাত্রি বলে।
এদিকে পূজাকে ঘিরে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও নাচ, গান, আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটকের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবে মিশিগানে বেশ কজন ভারতীয় শিল্পীর আগমন ঘটছে। পূজা জুড়ে তারা মিশিগান মাতাবেন গানে গানে। ইতিমধ্যে স্থানীয় পূজা কমিটিগুলো আগত শিল্পীদের নাম ঘোষণা করেছে। ভারতের জনপ্রিয় এসব শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সৌরেন্দ্র - সৌম্যজিৎ, মন্ময় ও আকাশ, সোমলতা অ্যান্ড দ্য এসেস, সাবেরী ভট্টাচার্য, শুচিস্মিতা চক্রবর্তী, সৌরভ দাশ, দ্বীপ চাটার্জি, সঞ্চিতা ভট্টাচার্য্য সহ আরও অনেকে। এছাড়াও রয়েছে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা।
গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ বছরের শারদ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবী পক্ষের শুরুর তিথি এই মহালয়া।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, মহালয়া তিথিতে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে (পৃথিবীতে) আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ দিন ভোরে চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই মর্ত্যলোকে দেবী দুর্গাকে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন কাল বৃহষ্পতিবার মহাঅষ্টমী, শুক্রবার মহানবমী এবং শনিবার মহাদশমীর মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিলেন। সেই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হয় এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা, আসুরিক শক্তিকে বিনাশ করে রক্ষা করলেন ত্রিভুবন। এ কারণে দুর্গা কখনো দুর্গতিনাশিনী, কখনো সংকটনাশিনী। সেই দেবী প্রতি বছর শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে বাপের বাড়ি বেড়াতে মর্ত্যলোকে আসেন। দেবীর এই গৃহাগমন ঘিরেই পালিত হয় মহা উৎসব দুর্গাপূজা, যা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব।