ওয়ারেন, ১০ অক্টোবর : পূজা অর্চনা, মন্ত্রপাঠ, অঞ্জলী প্রদান, শঙ্খ ধ্বনি আর ঢাকের শব্দে মুখরিত মিশিগানের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ। গতকাল বুধবার সপ্তমীতে সকাল থেকেই মন্দিরগুলোতে ভক্তদের ভিড় ছিল লক্ষনীয়। সকালে নবপত্রিকা প্রবেশের মধ্যদিয়ে শুরু হয় সপ্তমী পুজো। নবপত্রিকাকে দেবীর ডানদিকে সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার মহা অষ্টমী। রাতে হবে সন্ধি পূজা। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ ৯টি পাতা। রম্ভা (কলাগাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান এই ৯টি উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি করা হয় এই নবপত্রিকা। মূলত এই ৯টি উদ্ভিদ দেবী দুর্গার ৯টি শক্তির প্রতীক। নবপত্রিকার পুজো প্রকৃতপক্ষে শস্যদেবীর পুজো। এই শস্যবধূকেই দেবীর প্রতীক রূপে গ্রহণ করে প্রথমে পুজো করতে হয়। নবপত্রিকা স্থাপনের পর পূজার শুরুতেই দেবী দূর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এই দিনই চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় দেবীর মৃন্ময়ীতে। মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে (১৬ উপাদানে) দুর্গা দেবীর পূজা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য ও চন্দন দিয়ে পূজা করা হয়।
গতকাল দুপুরে দিকে শিব মন্দির ও মিশিগান কালিবাড়িতে দেবীর চরণে অঞ্জলি প্রদান করেন ভক্তরা। এ সময় ঢাকের তালে, মন্ত্র ও চন্ডীপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে মন্দিরে মন্দিরে উৎসবে মেতে উঠে প্রবাসী হিন্দুরা। জমকালো আলোকসজ্জা আর বর্ণিল সাজে সেজেছে মন্ডপগুলো। মন্দিরে মন্দিরে দুর্গোৎসবের আমেজ।
উৎসবমুখর পরিবেশে এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপ ঘুরে প্রতিমা দর্শনের মধ্য দিয়ে দিনটি পার করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ। বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তমীতে ভক্ত-দর্শনার্থীর ঢল নেমেছিল মন্দিরে মন্দিরে।
ষষ্ঠী থেকে দশমী, ওই পাঁচদিনের দেবী বন্ধনার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন আজ বৃহষ্পতিবার । শারদীয় দুর্গোৎসবের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিথি মহাঅষ্টমী। দিনের শুরুতে দুর্গাদেবীর মহাষ্টমাদি বিহিত পূজা ও সন্ধ্যায় সন্ধিপূজা। মূলত অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিস্থলে অর্থাৎ অষ্টমী শেষ হবার ২৪ মিনিট ও নবমী শুরু হবার ২৪ মিনিট এই সময়ের মধ্যে এই পূজা হয়। এই সময়ে মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা করা হয়। এই পূজাতেই ১০৮ টি পদ্মফুল দেবীকে উৎসর্গ করা হয়। এর মূলে রামায়ণের কাহিনী আমরা সবাই জানি। রাবণ বধের জন্য রাম ১০৮ পদ্ম দিয়ে দেবীর পূজা করেন ও তারপর রাবণ নিধন হয়। সেই সূত্রেই এই সন্ধি পূজা করা হয়। এ সময় ১০৮ টি মাটির প্রদীপ দেবীর সামনে জ্বালানো হয়। আয়োজকরা জানান, আজ মহাঅষ্টমীতে মন্দিরে মন্দিরে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল নামবে।
নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ ৯টি পাতা। রম্ভা (কলাগাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান এই ৯টি উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি করা হয় এই নবপত্রিকা। মূলত এই ৯টি উদ্ভিদ দেবী দুর্গার ৯টি শক্তির প্রতীক। নবপত্রিকার পুজো প্রকৃতপক্ষে শস্যদেবীর পুজো। এই শস্যবধূকেই দেবীর প্রতীক রূপে গ্রহণ করে প্রথমে পুজো করতে হয়। নবপত্রিকা স্থাপনের পর পূজার শুরুতেই দেবী দূর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এই দিনই চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় দেবীর মৃন্ময়ীতে। মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে (১৬ উপাদানে) দুর্গা দেবীর পূজা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য ও চন্দন দিয়ে পূজা করা হয়।
গতকাল দুপুরে দিকে শিব মন্দির ও মিশিগান কালিবাড়িতে দেবীর চরণে অঞ্জলি প্রদান করেন ভক্তরা। এ সময় ঢাকের তালে, মন্ত্র ও চন্ডীপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে মন্দিরে মন্দিরে উৎসবে মেতে উঠে প্রবাসী হিন্দুরা। জমকালো আলোকসজ্জা আর বর্ণিল সাজে সেজেছে মন্ডপগুলো। মন্দিরে মন্দিরে দুর্গোৎসবের আমেজ।
উৎসবমুখর পরিবেশে এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপ ঘুরে প্রতিমা দর্শনের মধ্য দিয়ে দিনটি পার করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ। বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তমীতে ভক্ত-দর্শনার্থীর ঢল নেমেছিল মন্দিরে মন্দিরে।
ষষ্ঠী থেকে দশমী, ওই পাঁচদিনের দেবী বন্ধনার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন আজ বৃহষ্পতিবার । শারদীয় দুর্গোৎসবের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিথি মহাঅষ্টমী। দিনের শুরুতে দুর্গাদেবীর মহাষ্টমাদি বিহিত পূজা ও সন্ধ্যায় সন্ধিপূজা। মূলত অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিস্থলে অর্থাৎ অষ্টমী শেষ হবার ২৪ মিনিট ও নবমী শুরু হবার ২৪ মিনিট এই সময়ের মধ্যে এই পূজা হয়। এই সময়ে মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা করা হয়। এই পূজাতেই ১০৮ টি পদ্মফুল দেবীকে উৎসর্গ করা হয়। এর মূলে রামায়ণের কাহিনী আমরা সবাই জানি। রাবণ বধের জন্য রাম ১০৮ পদ্ম দিয়ে দেবীর পূজা করেন ও তারপর রাবণ নিধন হয়। সেই সূত্রেই এই সন্ধি পূজা করা হয়। এ সময় ১০৮ টি মাটির প্রদীপ দেবীর সামনে জ্বালানো হয়। আয়োজকরা জানান, আজ মহাঅষ্টমীতে মন্দিরে মন্দিরে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল নামবে।