একসঙ্গে জানাজা, পাশাপাশি কবরে বাবা ও ছেলে

আপলোড সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০৫:৫১:৩৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০৫:৫১:৩৬ অপরাহ্ন
ডেট্রয়েট, ১৪ অক্টোবর : সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত  বাংলাদেশি-আমেরিকান তরুণ মাহিদুল ইসলাম সুজন ও তার বাবা নূর মিয়ার জানাজার নামাজ পড়া হয়েছে একসঙ্গে। পরে বাবা-ছেলের মরদেহ ডেট্টয়েট সিটির মাউন্ট ইলিয়েন্ট সিমেট্টি কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) বাদ জোহর ডেট্টয়েট সিটির মসজিদ নূরে তাদের জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। নামাজে অংশ নেন বাংলাদেশি কমিউনিটির হাজারো মুসল্লি। মসজিদের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় পাকিং লটে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে জানাজার নামাজ পড়েন মুসল্লিরা।  
গত ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে হ্যামট্রাম্যাক ও ডেট্টয়েট শহরের সংযোগস্থল ম্যাকনিকলস ট্টাফিক পয়েন্টে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান মাহিদুল ইসলাম সুজন। গুরুতর আহত তার বাবা নুর মিয়াকে ডিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর মিয়া। রোববার জানাজার নামাজ শুরুর আগে বক্তব্যে রাখেন হ্যামট্রাম্যাক সিটির কাউন্সিল মেম্বার মোহাম্মদ হাসান ও নিহত সুজনের শশুর আবদুল মতিন।

নিহত বাবা ও ছেলে 

জানাজার নামাজে অংশ নেওয়া অনেক মুসল্লির অভিযোগ, সুজনের কোন দোষ ছিল না। সে ট্টাফিক আইন মেনে স্টাপ সাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। ব্যস্ততম আবাসিক এলাকায় দুবৃর্ত্তদের গাড়ি পুলিশ ধাওয়্ করার কারণেই মারা যান সুজন ও তার বাবা নুর মিয়া। এই ঘটনায় অনেক মুসল্লি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হ্যামট্টাম্যাক সিটির ট্রাফিক আইন সংস্কারসহ নিহত সুজন ও নুর মিয়ার হত্যার বিচার দাবি করেন মুসল্লিরা।           
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি গ্যাস স্টেশনে পুলিশের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন সাদা একটি গাড়ির যাত্রীরা। পুলিশ ওই গাড়ির যাত্রীদের আটকের চেষ্টা চালান। এসময় ট্টাফিক সিগনালের রেড লাইটে সুজনের গাড়িটি দাঁড়ানো ছিল। পুলিশের তাড়া খেয়ে সাদা গাড়িটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় সুজনের দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এসময় সুজনের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এছাড়া আরও কয়েকটি গাড়ি সেসময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দুর্ঘনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।               
 নিহত সুজন স্টার্লিং হাইটস শহরের বাসিন্দা ছিলেন। তার দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বুরাইয়া গ্রামে। স্বজনরা জানিয়েছেন, সুজর চার বছর আগে বিয়ে করে আমেরিকা আসেন। বৃদ্ধ বাবা নুর মিয়াকে একমাস আগে ভিজিট ভিসায় নিজের কাছে নিয়ে আসেন তিনি। সুজন অ্যামাজনে চাকরি করতেন। আমেরিকা আসার আগে সুজন ব্যাংকে চাকরি করতেন। সুজনের অন্তসত্তা স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। একসঙ্গে বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com