লাখাই, (হবিগঞ্জ) ২১ অক্টোবর : রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গৃহকর্ত্রী কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩ বছরের গৃহকর্মী কল্পনা বেগম। ভয়ঙ্কর নির্যাতনে তার সামনের পাটির চারটি দাঁত উপড়ে ফেলা হয়েছে, বীভৎসভাবে সারা শরীরে ‘হেয়ার স্ট্রেইটনার’ যন্ত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে ছ্যাঁকা। শনিবার রাতে কল্পনা নামের ঐ কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী দিনাত জাহান আদরকে (২১) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। কল্পনা ১নং লাখাই ইউনিয়নের স্বজনগ্রামের পুকুরপাড়ের বাসিন্দা শহিদ মিয়ার মেয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টেলিভিশনে নির্যাতনের শিকার হওয়া কল্পনার ভয়াবহ ক্ষতের দৃশ্য দেখে শিহরিত হয়েছেন পাড়া প্রতিবেশিরা। নির্মম নির্যাতনকারী গৃহকর্ত্রী দিনাত জাহান আদরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
৬ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে কল্পনা হলেন শহিদ মিয়া ও আফিয়া বেগম দম্পতির পঞ্চম সন্তান। অভাবের তাড়নায় ৭/৮ বছর বয়সে ঢাকায় বড়বোনের বাসায় আসে কল্পনা। সেখান থেকে ৫ বছর আগে বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয় কল্পনা। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতো কল্পনা। অসংখ্যবার মেয়ের সাথে দেখা করতে চাইলে বাসায় নেই বা কাজে ব্যস্ত বলে মা -বাবাকে ফোনেই ফিরিয়ে দিতো গৃহকর্ত্রী।
তাদের সাথে দেখা না করতে দিয়ে মাস শেষে শুধু টাকা পাঠিয়ে দিতেন গৃহকর্ত্রী বলে জানিয়েছেন কল্পনার চাচা ফজল আলী।
স্বজনগ্রামের বাসিন্দা ও কল্পনার আরেক চাচা শওকত মিয়া জানান, আমরা অনেকবার আমাদের ভাই শহীদ মিয়াকে অনেকবার ঢাকা পাঠিয়েছি কিন্তু উনারা তাদের ঠিকানা বা কথা বলার সুযোগই দেয় নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া জানান, গৃহকর্মী হিসেবে রেখে নির্যাতন করা অমানবিক কাজ। মেয়েটির নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলে দেখে আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি। এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে বিভৎস ও নির্মম এই নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
লাখাই স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রুহুল আমিনের সাথে আলাপকালে জানান, বিস্তারিত জেনে নিয়ে শহিদ মিয়ার বাড়িতে পরিদর্শন করতে যাবো ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ রোববার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে যান। তিনি মেয়েটি চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছেন।
হাসপাতালে কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকেদের বলেন, “দারিদ্র্যের জন্য অন্যের বাসায় কাজ করে এই শিশুরা। তাই বলে নির্মমতার শিকার হবে, এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। এই মেয়েটিকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মেরে তার চারটি দাঁত ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার শরীরে সকল ধরনের আঘাত রয়েছে।”
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “একটা সুস্থ মানুষ এ ধরনের নির্যাতন করতে পারে না। এই মেয়েটা পাঁচ বছর ধরে একটা পরিবারে কাজ করে। সাড়ে চার বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, কেউ জানেও না। এ রকম আরও কত হচ্ছে অনেকেই তা জানি না।” এই ঘটনায় অভিযুক্ত দিনাত জাহানের বাবা-মাও দায় এড়াতে পারেন না উল্লেখ করেন কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, “এই মেয়েটিকে বসুন্ধরার যে বাসায় নির্যাতন করা হয়েছে, সেখানে দিনাত জাহান নামের মেয়েটা একাই থাকত। তবে তার (দিনাত জাহানের) মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেই কাজে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, তার বাবা-মাও এই দায় থেকে রেহাই পাওয়ার কথা নয়।
“দিনাত জাহান অ্যাডাল্ট, তবুও তার বাবা-মা এ দায়িত্ব এড়াতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধেও যাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এমন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করা যায়, যেন এই সমাজে বিভিন্ন জায়গায় নিষ্ঠুর কারখানা হচ্ছে, এটা যাতে না হয়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করে এই গৃহকর্মী নির্যাতন দমন আইনকে বাস্তবায়ন করতে হবে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টেলিভিশনে নির্যাতনের শিকার হওয়া কল্পনার ভয়াবহ ক্ষতের দৃশ্য দেখে শিহরিত হয়েছেন পাড়া প্রতিবেশিরা। নির্মম নির্যাতনকারী গৃহকর্ত্রী দিনাত জাহান আদরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
৬ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে কল্পনা হলেন শহিদ মিয়া ও আফিয়া বেগম দম্পতির পঞ্চম সন্তান। অভাবের তাড়নায় ৭/৮ বছর বয়সে ঢাকায় বড়বোনের বাসায় আসে কল্পনা। সেখান থেকে ৫ বছর আগে বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয় কল্পনা। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতো কল্পনা। অসংখ্যবার মেয়ের সাথে দেখা করতে চাইলে বাসায় নেই বা কাজে ব্যস্ত বলে মা -বাবাকে ফোনেই ফিরিয়ে দিতো গৃহকর্ত্রী।
তাদের সাথে দেখা না করতে দিয়ে মাস শেষে শুধু টাকা পাঠিয়ে দিতেন গৃহকর্ত্রী বলে জানিয়েছেন কল্পনার চাচা ফজল আলী।
স্বজনগ্রামের বাসিন্দা ও কল্পনার আরেক চাচা শওকত মিয়া জানান, আমরা অনেকবার আমাদের ভাই শহীদ মিয়াকে অনেকবার ঢাকা পাঠিয়েছি কিন্তু উনারা তাদের ঠিকানা বা কথা বলার সুযোগই দেয় নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া জানান, গৃহকর্মী হিসেবে রেখে নির্যাতন করা অমানবিক কাজ। মেয়েটির নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলে দেখে আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি। এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে বিভৎস ও নির্মম এই নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
লাখাই স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রুহুল আমিনের সাথে আলাপকালে জানান, বিস্তারিত জেনে নিয়ে শহিদ মিয়ার বাড়িতে পরিদর্শন করতে যাবো ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ রোববার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে যান। তিনি মেয়েটি চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছেন।
হাসপাতালে কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকেদের বলেন, “দারিদ্র্যের জন্য অন্যের বাসায় কাজ করে এই শিশুরা। তাই বলে নির্মমতার শিকার হবে, এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। এই মেয়েটিকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মেরে তার চারটি দাঁত ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার শরীরে সকল ধরনের আঘাত রয়েছে।”
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “একটা সুস্থ মানুষ এ ধরনের নির্যাতন করতে পারে না। এই মেয়েটা পাঁচ বছর ধরে একটা পরিবারে কাজ করে। সাড়ে চার বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, কেউ জানেও না। এ রকম আরও কত হচ্ছে অনেকেই তা জানি না।” এই ঘটনায় অভিযুক্ত দিনাত জাহানের বাবা-মাও দায় এড়াতে পারেন না উল্লেখ করেন কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, “এই মেয়েটিকে বসুন্ধরার যে বাসায় নির্যাতন করা হয়েছে, সেখানে দিনাত জাহান নামের মেয়েটা একাই থাকত। তবে তার (দিনাত জাহানের) মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেই কাজে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, তার বাবা-মাও এই দায় থেকে রেহাই পাওয়ার কথা নয়।
“দিনাত জাহান অ্যাডাল্ট, তবুও তার বাবা-মা এ দায়িত্ব এড়াতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধেও যাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এমন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করা যায়, যেন এই সমাজে বিভিন্ন জায়গায় নিষ্ঠুর কারখানা হচ্ছে, এটা যাতে না হয়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করে এই গৃহকর্মী নির্যাতন দমন আইনকে বাস্তবায়ন করতে হবে।”