কর না দেওয়ার খেসারত মামলার মুখে মেট্রো ডেট্রয়েট মিডিয়ার মালিক কেভিন অ্যাডেল

আপলোড সময় : ২৬-০৪-২০২৩ ০১:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-০৪-২০২৩ ০১:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন
ডেট্রয়েট, ২৬ এপ্রিল : মার্কিন সরকার মেট্রো ডেট্রয়েট টিভি এবং রেডিও স্টেশনের মালিক কেভিন অ্যাডেলের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের মামলা করেছে। কর পরিশোধ না করার জন্য এই মামলা করা হয়।
মার্কিন জেলা আদালতে সোমবার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ৯১০এএম সুপারস্টেশন এবং ওয়ার্ড নেটওয়ার্কের দীর্ঘদিনের নেতা অ্যাডেল। বিশ্বের বৃহত্তম আফ্রিকান আমেরিকান ধর্মীয় নেটওয়ার্ক যা ২০০ টিরও বেশি দেশে চালু। তার প্রয়াত পিতার সম্পত্তির সাথে সম্পর্কিত কর না দিয়ে বছরের পর বছর পার করছেন। বাবার সম্পত্তির মধ্যে ক্লিনটন টাউনশিপের অ্যাডেল ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ওয়ার্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রচারকারী কেবল স্যাটেলাইট কোম্পানির মালিক ফ্র্যাঙ্কলিন অ্যাডেল ২০০৬ সালে মারা যান, যার মূল্য ৩২,৯৩০,৮৯১ ডলার। ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ইউএস ডিপার্টমেন্টের ট্রায়াল অ্যাটর্নি (কর বিভাগ) ডেভিড হাববার্টের স্বাক্ষরিত নথি অনুসারে এ তথ্য জানা যায়। কেভিন অ্যাডেল তার এস্টেটের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন এবং বছরের অন্তত কিছু সময় ব্লুমফিল্ড হিলস হাউসে থাকেন, যা ফেডারেল কর্তৃপক্ষ বাজেয়াপ্ত করতে চায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে মেয়াদ বাড়ানোর পর অ্যাডেল একটি এস্টেট ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেন। নথি অনুসারে ওই সময় বকেয়া ছিল ১৫,২৮৮,৫১৭ ডলার। এস্টেটটি ৮,০৯৪৫৫৭ ডলারের ননডেফার্ড এস্টেট ট্যাক্স প্রদান করেছে "এবং পাঁচ বছরের জন্য অবশিষ্ট ৭,১৯৩,৯৬০ ডলারের পেমেন্ট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছে এবং তারপরে ১০ বার্ষিক কিস্তিতে বিলম্বিত এস্টেট ট্যাক্স প্রদান করবে।" সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। যাইহোক, এস্টেট "২০০৮ সালের মে মাসে ২৪০,০৮৭.৭৭ ডলার এবং ২০০৯ সালের মে মাসে ১৭০,০৯৪.৮৫ ডলার যা কেবল সুদের পেমেন্ট জমা দিয়েছিল। বকেয়ার কোনো পেমেন্ট জমা দেয়নি। এর ফলে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বিলম্বিত এস্টেট ট্যাক্স পেমেন্টে ডিফল্ট হয়েছে। নথি অনুসারে, এস্টেট আরও এস্টেট ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়ে ঘাটতির নোটিশের আবেদন করার পরে মার্কিন ট্যাক্স কোর্ট ২০১৮ সালে নির্ধারণ করে যে এস্টেট ট্যাক্সের অপরিশোধিত ব্যালেন্স সুদ এবং জরিমানা ছাড়াই ৪.৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল। "অ্যাডেল এস্টেট ২০০৯ সালে মে থেকে তার অবৈতনিক এস্টেট ট্যাক্স দায়গুলির প্রতি কোন স্বেচ্ছাসেবী পেমেন্ট জমা দেয়নি, এবং একটি অপরিশোধিত ব্যালেন্স রয়েই গেছে," কর্মকর্তারা বলেছেন। "ফ্রাঙ্কলিন অ্যাডেলের মৃত্যুর সময় অ্যাডেল এস্টেটের কাছে এস্টেট ট্যাক্স সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করার জন্য যথেষ্ট সম্পদ থাকলেও তা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কেভিন অ্যাডেল অ্যাডেল এস্টেটের সম্পদ নষ্ট করেছেন এবং জেনেশুনে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাডেল এস্টেটের পাওনা এস্টেট ট্যাক্স দায় পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।” সোমবার রাতে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও অ্যাডেন সাড়া দেননি।
রবিবার পর্যন্ত সুদ এবং জরিমানাসহ এস্টেটের বিরুদ্ধে ট্যাক্স মূল্যায়নের অপরিশোধিত ব্যালেন্স ৯,৭৭৫,৩২৬.৬৫ ডলার ছিল বলে সরকার জানিয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, কেবল তাই নয়, ২০০৮ সালের নভেম্বরে অ্যাডেল একটি উপহার ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করে যখন ২,৮৮৯.১০৮ ডলারের উপহার ট্যাক্স বকেয়া ছিল।
ফর্মটিতে আরও জানানো হয়েছে যে ফ্র্যাঙ্কলিন অ্যাডেল তার ছেলেকে ৬.৬৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি উপহার দিয়েছেন আদালতের নির্দেশিত রায় অনুযায়ী কাজ করার জন্য। একটি নিরীক্ষার পরে আইআরএস নির্ধারণ করেছে যে এস্টেটের ৭১.৫৬২ ডলারের অতিরিক্ত উপহার ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। “অ্যাডেল এস্টেট তার অবৈতনিক উপহার ট্যাক্স দায়গুলির প্রতি কোন স্বেচ্ছামূলক অর্থপ্রদান জমা দেয়নি। ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সুদ এবং জরিমানাসহ অ্যাডেল এস্টেটের বিরুদ্ধে উপহারের কর মূল্যায়নের অপরিশোধিত ব্যালেন্স ছিল ৮,১৭৮,৭১৪.৪৭ ডলার। এটি প্রথমবার নয় যে কেভিন অ্যাডেল আইনি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।
ফ্র্যাঙ্কলিন অ্যাডেলের মৃত্যুর পর তার মেয়েরা তাদের ভাই কীভাবে ব্যবসা চালায় তা চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করে। বোনেরা একটি মামলা দায়ের করে অভিযোগ করে যে সে তার নিজের ব্যবহারের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে এবং ট্রাস্টের সম্পদ নষ্ট করছে। এক পর্যায়ে তাকে ট্রাস্টি হিসাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে ডেট্রয়েট নিউজ জানিয়েছে। ২০১২ সালে ৩.২৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময় বোনেরা ওয়ার্ডের সাউথফিল্ড অফিসগুলির ব্যবস্থাপনা সংস্থা অ্যাডেল ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন এবং বার্মিংহাম প্রপার্টিজ ইনক অন্তর্ভুক্ত এস্টেটে তাদের ভাইয়ের বিরুদ্ধে সমস্ত দাবি এবং অভিযোগ খারিজ করতে সম্মত হয়েছিল৷
৭৮ বছর বয়সে ফ্র্যাঙ্কলিন অ্যাডেল মারা যান। ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে আমেরিকান গাড়িতে ব্যবহৃত একটি দরজার গার্ড আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। তিনি মাউন্ট ক্লেমেন্সে ডব্লিউএডিএল-টিভি (চ্যানেল ৩৮) চালাতেন এবং ২০০০ সালে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন।সাউথফিল্ডে অবস্থিত নেটওয়ার্কটি এখন ২০০ টিরও বেশি দেশে দেখা যায় এবং এর ওয়েবসাইট অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯৩ মিলিয়ন বাড়িতে পৌঁছেছে।
Source & Photo: http://detroitnews.com

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com