হ্যামট্রাম্যাক, ৭ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবে মিশিগানের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আগামীকাল রোববার দুপুর ১টায় হ্যামট্রাম্যাক টাউন সেন্টরে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মিশিগান কালিবাড়ী, শিবমন্দির টেম্পল অব জয়, রামকৃষ্ণ মিশন এবং ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পলের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সকল সনাতনীকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রদোহিতার এক মামলায় আটক করে। কয়েক মাস ধরেই ছিলেন আলোচনায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন তুমুল আলোচনায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে প্রচারে আসেন তিনি। সেই বিক্ষোভের সময় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আসামি করা হয় তাকে। এরপর তিনি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করেন। নতুন এই জোটের মুখপাত্রও তিনি। কয়েক দিন আগে এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করে।
প্রায় এক মাস পর ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পরদিন ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের ওই মামলায় জামিন নাকচ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম।
ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। সনাতনী সাধু চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পর জেলায় জেলায় বিক্ষোভে নামে সনাতন সম্প্রদায়।
এদিকে ২৭ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও সাইফুল হত্যাকাণ্ডের জেরে জামিন শুনানি হয়নি। ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় জামিন শুনানি এক মাস পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সকল সনাতনীকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রদোহিতার এক মামলায় আটক করে। কয়েক মাস ধরেই ছিলেন আলোচনায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন তুমুল আলোচনায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে প্রচারে আসেন তিনি। সেই বিক্ষোভের সময় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আসামি করা হয় তাকে। এরপর তিনি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করেন। নতুন এই জোটের মুখপাত্রও তিনি। কয়েক দিন আগে এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করে।
প্রায় এক মাস পর ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পরদিন ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের ওই মামলায় জামিন নাকচ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম।
ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। সনাতনী সাধু চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পর জেলায় জেলায় বিক্ষোভে নামে সনাতন সম্প্রদায়।
এদিকে ২৭ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও সাইফুল হত্যাকাণ্ডের জেরে জামিন শুনানি হয়নি। ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় জামিন শুনানি এক মাস পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।