মাধবপুর, (হবিগঞ্জ) ২২ ডিসেম্বর : মাধবপুরে এনজিও নিশানের আমানতকারীর শত কোটি টাকা ফেরতে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে আমানত রাখা মানুষ গত তিন দিন মাস ধরে চরম উগ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। অধিক মুনাফার আসায় জমিজমা বিক্রি করে অনেকই টাকা রেখেছেন নিশানে। বেশ কিছু দিন ধরে কর্মকর্তাদের অনিয়মিত অনুপস্থিতি ও লাভের টাকা না পেয়ে আমানতকারীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শনিবার সন্ধ্যায় এনজিওটির চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিশান কার্যালয়ে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ে আমানতকারীর মাঝে। প্রতিষ্টানের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন দেশ ছেড়ে বিদেশ পালিয়ে যাবে এমন আশংকায় মুহুর্তের মধ্যে বিক্ষুব্ধ কয়েকশত লোক নিশান অফিস ঘেরাও করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবরুব্ধ করে রাখে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ প্রহরায় অবরুদ্ধ অবস্খায় রয়েছেন।
উপজেলার তেলিয়াপাড়ায় নিশান নামে একটি এনজিও বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাধারণ মানুষকে প্রতি লাখে মাসে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মুনাফার প্রলোভন দিয়ে মাধবপুর, চুনারুঘাট ও শ্রীমঙ্গল সহ বিভিন্ন এলাকার শত শত ব্যবসায়ী ও কৃষকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে। এখন গোপনে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এমন খবর পেয়ে শনিবার রাতে শত শত আমানতকারিরা টাকা ফেরত পেতে নিশানের তেলিয়াপাড়া সদর দপ্তরে নিশানের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা নিশানের চেয়ারম্যান বরখাস্ত সেনা সদস্য জালাল উদ্দিনে নিজের পাসপোর্ট বিক্ষুব্ধ লোকজনের হাতে তুলে দিতে বাধ্য দেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের হাত করে আইনকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া অতি মুনাফার অফার দিয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক বা ডাকঘর আমানত জমা রাখলে প্রতি লাখে মাসে মুনাফা দেয় ভ্যাট বাদে ৭শ কি ৮ শ টাকা। কিন্তু নিশান এনজিওর অতি মুনাফার ফাঁদে পড়ে মাধবপুর এলাকার সব পেশার মানুষ টাকা জমা রাখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এ সুযোগে নিশানের পরিচালক মঈন উদ্দিন বেলাল, তার শ্যালক জালাল উদ্দিন, মাসুদ রানা, আমেনা বেগম, সায়েম,গোবিন্দ কৈরি, গোলাপ খা গ্রামে গ্রামে, হাট বাজারে গিয়ে শত শত কোটি কোটি টাকা জমা নিয়েছে। বিশেষ করে যাদের জমি বিভিন্ন শিল্প কারখানায় বিক্রি করেছে তারা বেশি লাভের আশায় লাখ লাখ টাকা জমা করেছে। এ সুযোগে অনেকে অধিক মুনাফার লোভে জমিজমা ও মূল্যবান সম্পদ বিক্রী করে নিশানে টাকা জমা রাখে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, নিশান পরিবেশ, স্বাস্থ্য সমবায় সমিতির অনুমোদন নিয়ে গত ১৫ বছর গোপনে চুনারুঘাট শ্রীমঙ্গলে কর্ম এলাকার বাইরে গিয়ে এনজিওর আদলে ঋন বিতরন কার্যক্রম শুরু করেন। নিশানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, নিশানের সাথে সংশ্লিষ্টদের বৈধ আয়ের কোন উৎস নেই। কিন্তু তাদের সবার রয়েছে নামিদামি একাধিক গাড়ি, জমিজমা।
জনতার তোপের মুখে পড়ে শনিবার রাতে নিশানের পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, তারা মানুষের কাছ থেকে শত কোটি টাকা নিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যবসায় তারা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারনে তারা টাকা পাচ্ছেনা। তাই তারা আমানতদারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছেনা। টাকা ফেরত দিতে তারা গ্রাহকের কাছে সময় চেয়েছেন।
মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন জানান, বর্তমানে আমানককারীদের একটি বিক্ষুব্ধ গ্রুপ নিশান অফিস ঘেরাও করে রেখেছে। নিশানের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্টাফ অফিসের ভেতরে রয়েছেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের একটি টিম নিশান অফিস এলাকায় অবস্থান করছে।বিষয়টির একটি সুরাহার জন্য স্থাণীয় গণ্যমান্য লোকজন চেষ্টা করছেন বলেও তিনি জানান। ইউ এন ও জাহিদ বিন কাশেম বলেন এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন আছে কি না ও কাগজ পত্র ঠিক আছে কী না খবর নিয়ে দেখবো।
উপজেলার তেলিয়াপাড়ায় নিশান নামে একটি এনজিও বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাধারণ মানুষকে প্রতি লাখে মাসে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মুনাফার প্রলোভন দিয়ে মাধবপুর, চুনারুঘাট ও শ্রীমঙ্গল সহ বিভিন্ন এলাকার শত শত ব্যবসায়ী ও কৃষকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে। এখন গোপনে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এমন খবর পেয়ে শনিবার রাতে শত শত আমানতকারিরা টাকা ফেরত পেতে নিশানের তেলিয়াপাড়া সদর দপ্তরে নিশানের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা নিশানের চেয়ারম্যান বরখাস্ত সেনা সদস্য জালাল উদ্দিনে নিজের পাসপোর্ট বিক্ষুব্ধ লোকজনের হাতে তুলে দিতে বাধ্য দেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের হাত করে আইনকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া অতি মুনাফার অফার দিয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক বা ডাকঘর আমানত জমা রাখলে প্রতি লাখে মাসে মুনাফা দেয় ভ্যাট বাদে ৭শ কি ৮ শ টাকা। কিন্তু নিশান এনজিওর অতি মুনাফার ফাঁদে পড়ে মাধবপুর এলাকার সব পেশার মানুষ টাকা জমা রাখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এ সুযোগে নিশানের পরিচালক মঈন উদ্দিন বেলাল, তার শ্যালক জালাল উদ্দিন, মাসুদ রানা, আমেনা বেগম, সায়েম,গোবিন্দ কৈরি, গোলাপ খা গ্রামে গ্রামে, হাট বাজারে গিয়ে শত শত কোটি কোটি টাকা জমা নিয়েছে। বিশেষ করে যাদের জমি বিভিন্ন শিল্প কারখানায় বিক্রি করেছে তারা বেশি লাভের আশায় লাখ লাখ টাকা জমা করেছে। এ সুযোগে অনেকে অধিক মুনাফার লোভে জমিজমা ও মূল্যবান সম্পদ বিক্রী করে নিশানে টাকা জমা রাখে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, নিশান পরিবেশ, স্বাস্থ্য সমবায় সমিতির অনুমোদন নিয়ে গত ১৫ বছর গোপনে চুনারুঘাট শ্রীমঙ্গলে কর্ম এলাকার বাইরে গিয়ে এনজিওর আদলে ঋন বিতরন কার্যক্রম শুরু করেন। নিশানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, নিশানের সাথে সংশ্লিষ্টদের বৈধ আয়ের কোন উৎস নেই। কিন্তু তাদের সবার রয়েছে নামিদামি একাধিক গাড়ি, জমিজমা।
জনতার তোপের মুখে পড়ে শনিবার রাতে নিশানের পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, তারা মানুষের কাছ থেকে শত কোটি টাকা নিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যবসায় তারা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারনে তারা টাকা পাচ্ছেনা। তাই তারা আমানতদারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছেনা। টাকা ফেরত দিতে তারা গ্রাহকের কাছে সময় চেয়েছেন।
মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন জানান, বর্তমানে আমানককারীদের একটি বিক্ষুব্ধ গ্রুপ নিশান অফিস ঘেরাও করে রেখেছে। নিশানের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্টাফ অফিসের ভেতরে রয়েছেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের একটি টিম নিশান অফিস এলাকায় অবস্থান করছে।বিষয়টির একটি সুরাহার জন্য স্থাণীয় গণ্যমান্য লোকজন চেষ্টা করছেন বলেও তিনি জানান। ইউ এন ও জাহিদ বিন কাশেম বলেন এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন আছে কি না ও কাগজ পত্র ঠিক আছে কী না খবর নিয়ে দেখবো।