মাধবপুর (হবিগঞ্জ) ৫ ফেব্রুয়ারি : অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি ও মানসিকভাবে নাজেহাল করায় উপজেলার শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম স্ট্রোক করেছেন। এখন তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার দুপুরে শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার ১০-১৫ জন যুবক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়তলার প্রবেশ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমকে পদত্যাগ করতে চাপ দেন। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষককে আড়াই লাখ টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির হিসাব তুলে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক অচেতন হয়ে পড়েন। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ফয়সল নামে এক যুবক তার ফেসবুক আইডি থেকে অচেতন শিক্ষকের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ছেড়ে দেন। ফয়সল তার ভিডিও চিত্রে বলেন, শিক্ষকের সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি। পদত্যাগের কথা বলায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে মানসিকভাবে মারাত্মক নাজেহাল করায় চাপ সইতে না পেরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা রেজাউল করিমকে দ্রুত মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে সিলেটে রেফার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির আসন্ন ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আজকের ঘটনা এটারই বহিঃপ্রকাশ।
শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদ বিন কাশেম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিস্তারিত জানতে বিদ্যালয়ের অপরাপর শিক্ষকদের ডেকেছি। প্রধান শিক্ষকের জ্ঞান ফিরেছে বলে জেনেছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার ১০-১৫ জন যুবক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়তলার প্রবেশ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমকে পদত্যাগ করতে চাপ দেন। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষককে আড়াই লাখ টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির হিসাব তুলে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক অচেতন হয়ে পড়েন। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ফয়সল নামে এক যুবক তার ফেসবুক আইডি থেকে অচেতন শিক্ষকের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ছেড়ে দেন। ফয়সল তার ভিডিও চিত্রে বলেন, শিক্ষকের সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি। পদত্যাগের কথা বলায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে মানসিকভাবে মারাত্মক নাজেহাল করায় চাপ সইতে না পেরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা রেজাউল করিমকে দ্রুত মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে সিলেটে রেফার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির আসন্ন ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আজকের ঘটনা এটারই বহিঃপ্রকাশ।
শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদ বিন কাশেম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিস্তারিত জানতে বিদ্যালয়ের অপরাপর শিক্ষকদের ডেকেছি। প্রধান শিক্ষকের জ্ঞান ফিরেছে বলে জেনেছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।