![](https://suprobhatmichigan.com/public/postimages/67ad8201b0ac7.jpg)
টাঙ্গাইল, ১৩ ফেব্রুয়ারি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের বাধার মুখে লালন স্মরণোৎসব স্থগিত করা হয়েছে। লালন সাঁইয়ের ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মধুপুর উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মধুপুর লালন সংঘের আয়োজনে লালন স্মরণোৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত উৎসবটি করা যায়নি।
লালন সংঘের সভাপতি মো. ফরহাদ মিয়া বলেন, ‘২০১৭ সালে আমরা লালন সংঘ প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠার পর বেশ জাঁকজমকভাবে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে লালন স্মরণ উৎসব করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও লালন স্মরণোৎসব ২০২৫ নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।’
উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের আয়োজন সুন্দর করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমরা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান অতিথি, সহকারী কমিশনার ভূমিকে বিশেষ অতিথি করেছি। তাঁরা যেহেতু অনুষ্ঠানের অতিথি হতে সম্মতি দিয়েছেন, তাই আমরা পৃথকভাবে অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। হঠাৎ করে ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য মধুপুরের ধর্মীয় নেতারা আলোচনা শুরু করেন। পরে হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের নেতা ও বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা আলোচনায় বসি। ওই আলোচনায় তাঁরা লালন উৎসব না করার পক্ষে অনড় থাকেন। একপ্রকার অমীমাংসিতভাবেই আমাদের সভা শেষ হয়।’
সবুজ মিয়া আরও বলেন, ‘লালন উৎসব যাতে না হতে পারে, সে ব্যাপারে আজ বুধবার সকালেও ওই দুটি সংগঠনের নেতারা বাসস্ট্যান্ড মসজিদে সভা করেন। তাঁরা লালনের ভ্রান্ত মতাদর্শ মধুপুরে প্রচার করতে দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। ‘আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা এখানে মতাদর্শ প্রচারের জন্য এই আয়োজন করিনি। এখানে লালনের মতাদর্শ নিয়ে কোনও আলোচনা ইতোপূর্বে হয়নি, এবারও হবে না। আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। এ ছাড়া যে গানগুলো নিয়ে তাদের আপত্তি, সেই গানগুলো অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হবে না’ জানিয়েছিলেন সবুজ। তিনি বলেন, ‘লালন বাদ দিয়ে সাধারণ কনসার্ট করলে আপত্তি থাকবে না—শুরুতে হেফাজত নেতারা এমন কথা জানালেও পরবর্তীতে বলেন, কিছুতেই অনুষ্ঠান করতে দেবেন না।’ পরে আমরা বিশৃঙ্খলা এড়াতে অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি।
এ ব্যাপারে কওমি ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয়কে সমর্থন আলেমেরা করতে পারে না। মধুপুরের আলেমরা লালনের উৎসব বন্ধ করার ব্যাপারে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবীর বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। বুধবার এসে জানতে পেরেছি, লালন স্মরণোৎসবের বিষয়ে ইসলামি দলগুলো আপত্তি জানিয়েছে।’ এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘আলোচনার ভিত্তিতে লালন উৎসব স্থগিত করা হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। বাধার মুখে বন্ধ হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
লালন সংঘের সভাপতি মো. ফরহাদ মিয়া বলেন, ‘২০১৭ সালে আমরা লালন সংঘ প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠার পর বেশ জাঁকজমকভাবে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে লালন স্মরণ উৎসব করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও লালন স্মরণোৎসব ২০২৫ নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।’
উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের আয়োজন সুন্দর করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমরা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান অতিথি, সহকারী কমিশনার ভূমিকে বিশেষ অতিথি করেছি। তাঁরা যেহেতু অনুষ্ঠানের অতিথি হতে সম্মতি দিয়েছেন, তাই আমরা পৃথকভাবে অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। হঠাৎ করে ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য মধুপুরের ধর্মীয় নেতারা আলোচনা শুরু করেন। পরে হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের নেতা ও বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা আলোচনায় বসি। ওই আলোচনায় তাঁরা লালন উৎসব না করার পক্ষে অনড় থাকেন। একপ্রকার অমীমাংসিতভাবেই আমাদের সভা শেষ হয়।’
সবুজ মিয়া আরও বলেন, ‘লালন উৎসব যাতে না হতে পারে, সে ব্যাপারে আজ বুধবার সকালেও ওই দুটি সংগঠনের নেতারা বাসস্ট্যান্ড মসজিদে সভা করেন। তাঁরা লালনের ভ্রান্ত মতাদর্শ মধুপুরে প্রচার করতে দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। ‘আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা এখানে মতাদর্শ প্রচারের জন্য এই আয়োজন করিনি। এখানে লালনের মতাদর্শ নিয়ে কোনও আলোচনা ইতোপূর্বে হয়নি, এবারও হবে না। আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। এ ছাড়া যে গানগুলো নিয়ে তাদের আপত্তি, সেই গানগুলো অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হবে না’ জানিয়েছিলেন সবুজ। তিনি বলেন, ‘লালন বাদ দিয়ে সাধারণ কনসার্ট করলে আপত্তি থাকবে না—শুরুতে হেফাজত নেতারা এমন কথা জানালেও পরবর্তীতে বলেন, কিছুতেই অনুষ্ঠান করতে দেবেন না।’ পরে আমরা বিশৃঙ্খলা এড়াতে অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি।
এ ব্যাপারে কওমি ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয়কে সমর্থন আলেমেরা করতে পারে না। মধুপুরের আলেমরা লালনের উৎসব বন্ধ করার ব্যাপারে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবীর বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। বুধবার এসে জানতে পেরেছি, লালন স্মরণোৎসবের বিষয়ে ইসলামি দলগুলো আপত্তি জানিয়েছে।’ এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘আলোচনার ভিত্তিতে লালন উৎসব স্থগিত করা হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। বাধার মুখে বন্ধ হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’