
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারী: বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষিয়ান রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান আর নেই। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আবদুল্লাহ আল নোমানের ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আজিম হিরু বলেন, ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। পরে দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার জানাজাসহ পরবর্তী কার্যক্রম দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বর্ষিয়ান এ রাজনীতিকের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি তার সহধর্মিণী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর সংবাদে রাজনৈতিক অঙ্গন, সারাদেশের বিএনপি ও বীর চট্টলায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুহের মাগফেরাত কামনা, শোক প্রকাশ, স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন। আজই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান বক্তা থাকার কথা ছিল আবদুল্লাহ আল নোমানের। মৃত্যুর পর এ সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের জনগণসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অবশ্য এর আগে, দুপুর আড়াইটায় সংসদ ভবন প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী এলাকা থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ১৯৮১ সালে যোগ দেন দলটিতে।
বিএনপিতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বীর চট্টলায় তিনি অন্যতম শীর্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন। বিএনপি’র শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল আবদুল্লাহ আল নোমানের।
বর্ষিয়ান এ রাজনীতিকের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি তার সহধর্মিণী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর সংবাদে রাজনৈতিক অঙ্গন, সারাদেশের বিএনপি ও বীর চট্টলায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুহের মাগফেরাত কামনা, শোক প্রকাশ, স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন। আজই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান বক্তা থাকার কথা ছিল আবদুল্লাহ আল নোমানের। মৃত্যুর পর এ সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের জনগণসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অবশ্য এর আগে, দুপুর আড়াইটায় সংসদ ভবন প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী এলাকা থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ১৯৮১ সালে যোগ দেন দলটিতে।
বিএনপিতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বীর চট্টলায় তিনি অন্যতম শীর্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন। বিএনপি’র শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল আবদুল্লাহ আল নোমানের।