কলকাতা, ০৮ মে : বুদ্ধদেব গুহর একটা ছোট্ট রসিকতার জন্যে বাড়ির বাইরে বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমরেশ মজুমদারের। তাঁর গল্পে, উপন্যাসে বারবার ঘুরেফিরে এসেছে উত্তরবঙ্গের সৌন্দর্য। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা কম নেই ফেলুদা, কাকাবাবু, ব্যোমকেশ সবাই কলকাতায় থাকেন। কিন্তু সমরেশ মজুমদারের সত্যসন্ধানী অর্জুন জলপাইগুড়ির ছেলে। উত্তরবঙ্গের উপর কেন ছিল তাঁর অমোঘ টান? জীবনদ্বীপ নিভল চিরঘুমের দেশে সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার।
বাংলা সাহিত্যে উত্তরবঙ্গকে অন্য আলোতে তুলে ধরেছিলেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারই। এই উত্তরবঙ্গেই গিয়েই বুদ্ধদেব গুহ-র একটা রসিকতার বড় মাশুল গুনতে হয়েছিল সমরেশ মজুমদারকে। বুদ্ধদেব গুহকে ‘লালাদা’ বলে ডাকতেন। একসময় প্রিয় লালাদার মজার কারণেই মুখের উপর কালবেলার স্রষ্টা বলে দিয়েছিলেন, “এইজন্যই তুমি বড় লেখক হতে পারলে না”। আসলে বুদ্ধদেব গুহ মজা করতে অসম্ভব ভালোবাসতেন। একবার দার্জিলিং থেকে ফিরছেন উনি বৃষ্টির মধ্যে ওঁনার জিপটা উল্টে গেল। অল্প চোট পেলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। এবার এই ঘটনা নিয়ে একটি কলামে তিনি মজা করে লিখেছিলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র, আর এর পিছনে রয়েছে সমরেশ মজুমদারের হাত।’ তারপর এটা ছাপাও হল কাগজে। সমরেশ মজুমদার তখন এর বিন্দুবিসর্গ জানেন না। এরপর একের পর এক ফোন আসতে থাকে। অজস্র লোক ফোন করে এটা সেটা বলা শুরু করেন। তিনি তো শুনে হাঁ। ওই দিনগুলোতে কোথাও বেরোতে পর্যন্ত পারেননি লজ্জায়। প্রিয় লালাদাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি প্রশ্ন শুনে দুষ্টু হেসে বলেছিলেন ‘আরে একটু মজা করলাম আর কী। সমরেশ মজুমদারের সেদিন রাগ হয়নি। তিনিও মজা করে বলেন “এটা মজা? এইজন্যই তুমি বড় লেখক হতে পারলে না”
বাংলা সাহিত্যে উত্তরবঙ্গকে অন্য আলোতে তুলে ধরেছিলেন, সমরেশ মজুমদার। তাঁর শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা বাগানে। এই উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সেই কেটেছে সমরেশ মজুমদারের ছাত্রজীবন। তাঁর গল্পে, উপন্যাসে বারবার ঘুরেফিরে এসেছে উত্তরবঙ্গের অনন্য সৌন্দর্য। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে পড়েছেন। তারপর চলে আসেন কলকাতায়। তাঁর গর্ভধারিনী উপন্যাসে হিমালয়ের কোলে সান্দাকফু পেরিয়ে এক বরফঢাকা গ্রামে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর উপন্যাসের তরুণ চরিত্রদের। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা কম নেই ফেলুদা, কাকাবাবু, ব্যোমকেশ সকলেই কলকাতায় থাকেন। রহস্য ধরতে হিল্লিদিল্লিও যান। সেখানে সমরেশ মজুমদারের গল্পের গোয়েন্দা অর্জুন জলপাইগুড়ির ছেলে।
গত কয়েকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি ৷ ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণে তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ৷ সেখানেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা ৷ শেষের দিকে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয় ৷ কিন্তু, তা-ও হল না শেষরক্ষা হল না। সোমবার (৮ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে কলকাতায় একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে তিনি। চিরঘুমের দেশে অনিমেষ মাধবীলতার স্রষ্টা।
সূত্র : প্রথম কলকাতা
বাংলা সাহিত্যে উত্তরবঙ্গকে অন্য আলোতে তুলে ধরেছিলেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারই। এই উত্তরবঙ্গেই গিয়েই বুদ্ধদেব গুহ-র একটা রসিকতার বড় মাশুল গুনতে হয়েছিল সমরেশ মজুমদারকে। বুদ্ধদেব গুহকে ‘লালাদা’ বলে ডাকতেন। একসময় প্রিয় লালাদার মজার কারণেই মুখের উপর কালবেলার স্রষ্টা বলে দিয়েছিলেন, “এইজন্যই তুমি বড় লেখক হতে পারলে না”। আসলে বুদ্ধদেব গুহ মজা করতে অসম্ভব ভালোবাসতেন। একবার দার্জিলিং থেকে ফিরছেন উনি বৃষ্টির মধ্যে ওঁনার জিপটা উল্টে গেল। অল্প চোট পেলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। এবার এই ঘটনা নিয়ে একটি কলামে তিনি মজা করে লিখেছিলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র, আর এর পিছনে রয়েছে সমরেশ মজুমদারের হাত।’ তারপর এটা ছাপাও হল কাগজে। সমরেশ মজুমদার তখন এর বিন্দুবিসর্গ জানেন না। এরপর একের পর এক ফোন আসতে থাকে। অজস্র লোক ফোন করে এটা সেটা বলা শুরু করেন। তিনি তো শুনে হাঁ। ওই দিনগুলোতে কোথাও বেরোতে পর্যন্ত পারেননি লজ্জায়। প্রিয় লালাদাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি প্রশ্ন শুনে দুষ্টু হেসে বলেছিলেন ‘আরে একটু মজা করলাম আর কী। সমরেশ মজুমদারের সেদিন রাগ হয়নি। তিনিও মজা করে বলেন “এটা মজা? এইজন্যই তুমি বড় লেখক হতে পারলে না”
বাংলা সাহিত্যে উত্তরবঙ্গকে অন্য আলোতে তুলে ধরেছিলেন, সমরেশ মজুমদার। তাঁর শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা বাগানে। এই উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সেই কেটেছে সমরেশ মজুমদারের ছাত্রজীবন। তাঁর গল্পে, উপন্যাসে বারবার ঘুরেফিরে এসেছে উত্তরবঙ্গের অনন্য সৌন্দর্য। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে পড়েছেন। তারপর চলে আসেন কলকাতায়। তাঁর গর্ভধারিনী উপন্যাসে হিমালয়ের কোলে সান্দাকফু পেরিয়ে এক বরফঢাকা গ্রামে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর উপন্যাসের তরুণ চরিত্রদের। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা কম নেই ফেলুদা, কাকাবাবু, ব্যোমকেশ সকলেই কলকাতায় থাকেন। রহস্য ধরতে হিল্লিদিল্লিও যান। সেখানে সমরেশ মজুমদারের গল্পের গোয়েন্দা অর্জুন জলপাইগুড়ির ছেলে।
গত কয়েকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি ৷ ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণে তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ৷ সেখানেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা ৷ শেষের দিকে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয় ৷ কিন্তু, তা-ও হল না শেষরক্ষা হল না। সোমবার (৮ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে কলকাতায় একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে তিনি। চিরঘুমের দেশে অনিমেষ মাধবীলতার স্রষ্টা।
সূত্র : প্রথম কলকাতা