ঢাকা, ০৮ মে : আর কেউ রুখতে পারবে না, ২০৪১ এই স্মার্ট হবে বাংলাদেশ। কিন্তু, স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার মূল চাবিকাঠি কি? কেমন হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ? স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা সম্পর্কে কতটুকু জানেন? রাজধানীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’তেই থাকছে চমক। প্রযুক্তির যুগে নতুন করে দেখুন বাংলাদেশকে। “স্মার্ট বাংলাদেশ” কথাটা এই মুহূর্তে ভীষণ রকম পরিচিত, ট্রেন্ডিং ও। কিন্তু আগে জানতে হবে, যে স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে এত কথা, এত লেখালেখি, এত আলোচনা সেই “স্মার্ট বাংলাদেশ” বলতে কী বোঝায়? প্রযুক্তি নির্ভর নির্মল ও স্বচ্ছ একটা রাষ্ট্র যেখানে ভোগান্তি ছাড়া প্রত্যেক নাগরিক পাবে অধিকারের নিশ্চয়তা এবং কর্তব্য পালনের সুবর্ণ সুযোগ। স্মার্ট বাংলাদেশের রুপরেখা কে চারভাগে ভাগ করেছে হাসিনা সরকার।
১. স্মার্ট সিটিজেন
২. স্মার্ট ইকনোমি
৩. স্মার্ট গভর্নমেন্ট
৪. স্মার্ট সোসাইটি
এই শব্দগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ থিওরির বাস্তব রূপায়ণ সম্ভব। যার মূল সারমর্ম, দেশের প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে, উইথ স্মার্ট ইকনোমি। মানে, অর্থনীতির সব কার্যক্রম প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচালনা করা হবে। হ্যাঁ, বাংলাদেশ বলছে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গঠন করতে পেরেছে তাঁরা, এটা বাস্তবতা স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে বাংলাদেশ।
সরকারের দাবি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট অনেকটা করে ফেলেছে তাঁরা। তাই বাকিটাও করে ফেলবে। বাংলাদেশের গোটা সমাজটাই হবে স্মার্ট সোসাইটি, দাবি তাদের। কিন্তু কিভাবে? ’২১ থেকে ’৪১ পর্যন্ত সময়ে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, তার একটা কাঠামো পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তবে ২০৪১ সালেই শেষ নয়, ২১০০ সালেও যেন দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে ‘সুন্দর, সুস্থ ও স্মার্টলি’ বাঁচতে পারে, সেইজন্যেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। আর, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে তরুণ প্রজন্ম তার মূল চাবিকাঠি হলো “ডিজিটাল সংযোগ”, জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক উন্নত হতে হবে। সেই উদ্যোগ সফল করতে স্মার্ট বাংলাদেশ এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী এক কর্মপরিকল্পনা। অনেকেই বলছেন, দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ নামের স্লোগানের কী প্রয়োজন? প্রয়োজন আছে স্মার্ট বাংলাদেশ তো শুধু একটি স্লোগান নয়, আগামী দুই যুগ ধরে চলবে এমন এক বিশাল কর্মযজ্ঞের নাম স্মার্ট বাংলাদেশ। দাবি করে দেশটার মানুষ। তার জন্য কি প্ল্যান সাজিয়েছে বাংলাদেশ?
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের পরবর্তী প্ল্যান বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, রোবোটিকস, বিগ ডেটার মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে। আসলে, বাংলাদেশ বুঝে গেছে আগামীতে যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে থাকবে, তারাই ব্যবসা-বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় নিজেদের নিয়ে যেতে পারবে।
কেমন হবে নতুন, স্মার্ট বাংলাদেশ?
২০৪১ এর বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কেমন হবে, তা দেখাতে বোঝাতেই দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’। আগামী ৯ জুন অন্যতম বৃহৎ এই এক্সপো আয়োজন করবে জেসিআই বাংলাদেশ দুদিনব্যাপী এই আয়োজনে অংশ নেবে ৫০টা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে দুদিনব্যাপী এই সামিটে এআই প্রযুক্তির নানান ব্যবহারের সাথে কৃষি, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন খাতের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির প্রদর্শনীর আয়োজন থাকছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এমন ব্যতিক্রম আয়োজন দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সরকার। তাই আপাতত এই গ্র্যান্ড আয়োজনের দিকেই নজর গোটা বাংলাদেশের।
বুঝতে হবে, একবিংশ শতাব্দীতে গবেষণা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, চিকিৎসা; মহাকাশ, মহাসমুদ্র সব ক্ষেত্রেই লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে পিছিয়ে থাকতে চায় না বাংলাদেশ, সেটা বেশ পরিষ্কার। তাই, ২০৪১ সালকে সামনে রেখে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন প্রয়োজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই উদ্যোগকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে চলা। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করা, যার মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ এগোবে বহুদূর।
সূত্র : ।। প্রথম কলকাতা ।।
১. স্মার্ট সিটিজেন
২. স্মার্ট ইকনোমি
৩. স্মার্ট গভর্নমেন্ট
৪. স্মার্ট সোসাইটি
এই শব্দগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ থিওরির বাস্তব রূপায়ণ সম্ভব। যার মূল সারমর্ম, দেশের প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে, উইথ স্মার্ট ইকনোমি। মানে, অর্থনীতির সব কার্যক্রম প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচালনা করা হবে। হ্যাঁ, বাংলাদেশ বলছে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গঠন করতে পেরেছে তাঁরা, এটা বাস্তবতা স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে বাংলাদেশ।
সরকারের দাবি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট অনেকটা করে ফেলেছে তাঁরা। তাই বাকিটাও করে ফেলবে। বাংলাদেশের গোটা সমাজটাই হবে স্মার্ট সোসাইটি, দাবি তাদের। কিন্তু কিভাবে? ’২১ থেকে ’৪১ পর্যন্ত সময়ে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, তার একটা কাঠামো পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তবে ২০৪১ সালেই শেষ নয়, ২১০০ সালেও যেন দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে ‘সুন্দর, সুস্থ ও স্মার্টলি’ বাঁচতে পারে, সেইজন্যেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। আর, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে তরুণ প্রজন্ম তার মূল চাবিকাঠি হলো “ডিজিটাল সংযোগ”, জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক উন্নত হতে হবে। সেই উদ্যোগ সফল করতে স্মার্ট বাংলাদেশ এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী এক কর্মপরিকল্পনা। অনেকেই বলছেন, দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ নামের স্লোগানের কী প্রয়োজন? প্রয়োজন আছে স্মার্ট বাংলাদেশ তো শুধু একটি স্লোগান নয়, আগামী দুই যুগ ধরে চলবে এমন এক বিশাল কর্মযজ্ঞের নাম স্মার্ট বাংলাদেশ। দাবি করে দেশটার মানুষ। তার জন্য কি প্ল্যান সাজিয়েছে বাংলাদেশ?
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের পরবর্তী প্ল্যান বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, রোবোটিকস, বিগ ডেটার মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে। আসলে, বাংলাদেশ বুঝে গেছে আগামীতে যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে থাকবে, তারাই ব্যবসা-বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় নিজেদের নিয়ে যেতে পারবে।
কেমন হবে নতুন, স্মার্ট বাংলাদেশ?
২০৪১ এর বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কেমন হবে, তা দেখাতে বোঝাতেই দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’। আগামী ৯ জুন অন্যতম বৃহৎ এই এক্সপো আয়োজন করবে জেসিআই বাংলাদেশ দুদিনব্যাপী এই আয়োজনে অংশ নেবে ৫০টা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে দুদিনব্যাপী এই সামিটে এআই প্রযুক্তির নানান ব্যবহারের সাথে কৃষি, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন খাতের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির প্রদর্শনীর আয়োজন থাকছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এমন ব্যতিক্রম আয়োজন দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সরকার। তাই আপাতত এই গ্র্যান্ড আয়োজনের দিকেই নজর গোটা বাংলাদেশের।
বুঝতে হবে, একবিংশ শতাব্দীতে গবেষণা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, চিকিৎসা; মহাকাশ, মহাসমুদ্র সব ক্ষেত্রেই লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে পিছিয়ে থাকতে চায় না বাংলাদেশ, সেটা বেশ পরিষ্কার। তাই, ২০৪১ সালকে সামনে রেখে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন প্রয়োজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই উদ্যোগকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে চলা। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করা, যার মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ এগোবে বহুদূর।
সূত্র : ।। প্রথম কলকাতা ।।