হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার দাবিতে জেলা  প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি

আপলোড সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ০১:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ০১:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ, ২৫ মার্চ : ভয়াবহ শিল্পদূষণ বন্ধ ও পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করে স্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপনের দাবী জানানো হয়েছে। আজ সোমবার (২৪ মার্চ)  বিকেলে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক এর কাছে এ দাবি জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার এর নেতৃবৃন্দ। 
বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মো: ইকরামুল ওয়াদুদ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ফরিদুর রহমান এর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করে শিল্পদূষণ এর ভয়াবহতা ও পুরাতন খোয়াই নদী দখলের চিত্র তুলে ধরেন।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় জেলা প্রশাসন আন্তরিক। শিল্পদূষণ বন্ধ ও পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাপা হবিগঞ্জের সহ-সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, এডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার  ও বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল , পরিবেশকর্মী এডভোকেট বিজন বিহারী দাস। বাপা সভাপতি অধ্যাপক মো: ইকরামুল ওয়াদুদ ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি এসময় জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রায় ৫ দশক ধরে হবিগঞ্জে শিল্পদূষণ সমস্যা শুরু হলেও গত এক যুগ ধরে এটি চরম আকার ধারণ করেছে। জেলার মাধবপুর ,শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো বৃহৎ ও মাঝারী আকারের কলকারখানা। এসব কারখানার দূষণ নদী, নালা, খাল -বিল হাওড়ে ছড়িয়ে  পড়ছে।
কলকারখানার বর্জ্য নিক্ষেপের কারণে হবিগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সুতাং নদী, খড়কির খাল,  শৈলজুড়া খাল, বেজুড়া খাল, রাজ খাল, ফকিরা খালসহ বিভিন্ন ছড়া, হাওর হয়ে সোনাই, বলভদ্র, কানাই ও খাস্টি নদী স্পর্শ করে শেষ পর্যন্ত লাখাই উপজেলার কাছে মেঘনা নদী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা পরিবেশ ও মানবিক বিপর্যয় ঘঠিয়ে আসছে। এসব এলাকায় দূষণের তীব্র দুর্গন্ধ , কালো ও দূষিত পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
কৃষি কাজে শেষ ব্যবস্থার নামে ২০১৫ সালের শুরুতে শৈলজুড়া নামক খালটি পুনঃখনন করে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে কোম্পানিগুলোর অপরিশোধিত বর্জ্য সহজেই খালের মাধ্যমে ছাড়া হচ্ছে সুতাং নদীতে।  কলকারখানা গুলো থেকে খালটিতে যেন শিল্পবর্জ্য নিক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য খালের সাথে কলকারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পথ বন্ধ করা জরুরি। 
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,  অতি সম্প্রতি হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দলের গবেষণায় শিল্পদূষণের কারনে সুতাং নদীর পানি ও মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এছাড়া নদীর পানির ভৌত- রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদনদী, জলাশয় ও  প্রাণীকুলের জন্য এটি একটি ভয়ঙ্কর বিষয়। হবিগঞ্জকে বাঁচাতে শিল্পদূষণ বন্ধে যথাশীঘ্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com