
ওয়ারেন, ৮ মে : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘হে নূতন’ গানে চির নতুনের মধ্যে দিয়ে নিজের পৃথিবীকে আগমনের শুভক্ষণকে ব্যক্ত করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদঘাটন/সূর্যের মতন।/রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন।/উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে/মোর চিত্তমাঝে/চির-নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ।’
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ পৌঁছে দিয়েছেন বিকাশের চূড়ান্ত সোপানে। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে রবীন্দ্রনাথের রয়েছে অসামান্য অবদান। নিজের গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প ও অসংখ্য গানের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে পরিপূর্ণতা দান করেছেন তিনি। বিশ্বের দরবারে বাঙালিদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেও শিখিয়েছেন কবিগুরু। যার কারণে বাঙালির অস্তিত্বে মিশে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গল্পে, উপন্যাসে, কবিতায়, সুরে ও বিচিত্র গানের বাণীতে, অসাধারণ সব দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ প্রবন্ধে, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতিসংলগ্ন গভীর জীবনবাদী চিন্তা জাগানিয়া লেখায় এমনকি চিত্রকলায়ও রবীন্দ্রনাথ চিরনবীন। প্রথম এশীয় হিসাবে ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
এ সময় কবিগুরুর গান, কবিতা, সাহিত্য মানুষের মনে সাহস জোগায়, মনকে শান্ত করে। রবিঠাকুর বাঙালির মানসপটে সদাই বিরাজমান। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্যে আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু। তার সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা-সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়।
আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তী। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে দিনটি পালিত হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবার জাতীয় পর্যায়ে কবির স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে উদ্যাপন করা হবে জয়ন্তী উৎসব। এ উপলক্ষে কুঠিবাড়িতে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠান। সঙ্গে থাকছে গ্রামীণ মেলার আয়োজন। শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এ আয়োজন শুরু হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ও আগামীকাল শুক্রবার রবীন্দ্র-উৎসব আয়োজন করছে ছায়ানট। ছায়ানট মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবে।
বাংলা একাডেমি সেমিনার ও রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়ে জয়ন্তী উদ্যাপন করবে। একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ মিলনায়তনে আজ সেমিনার শুরু হবে বিকেল ৫টায়। একই আয়োজনে রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বছর রবীন্দ্র পুরস্কার পাচ্ছেন রবীন্দ্রসাহিত্যের গবেষণায় ড. অসীম দত্ত এবং রবীন্দ্রসংগীতচর্চায় শিল্পী এ এম এম মহীউজ্জামান চৌধুরী ময়না।
অনলাইনভিত্তিক শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিবিষয়ক লেখালেখির স্থান লেখালেখির উঠান আয়োজন করেছে মার্ক্স-রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান-গল্প-বই আড্ডা। ধানমন্ডির এনস কিচেনে এটি চলবে ৮, ৯ ও ১০ মে। আয়োজনের প্রথম দিন থাকছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর নিবেদন। শিল্পী লায়েকা বশীরের কণ্ঠে তাঁর প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতের পরিবেশনা। তবলায় সংগত করবেন ভুলু ধর রাজেশ। দ্বিতীয় দিনে থাকছে জাভেদ হুসেনের আলাপন। সমাপনী দিনে থাকছে জাভেদ হুসেন অনূদিত নাটক মার্ক্স ইন সোহোর নির্বাচিত অংশের পাঠাভিনয়। সমাপনী পর্বে থাকছে দুই প্রজন্মের শিল্পীদের পরিবেশনায় সারেঙ্গি বাদন। সারেঙ্গিশিল্পী মতিয়ার রহমান ও তাঁর দুই সন্তান মাহিমা মেহজাবিন এবং ইউসুফ আহমেদের সঙ্গে তবলায় থাকবেন শিল্পী জাকির হোসেন।
নাটকের দল স্বপ্নদল মঞ্চস্থ করবে নাটক ‘হেলেন কেলার’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকটি।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ পৌঁছে দিয়েছেন বিকাশের চূড়ান্ত সোপানে। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে রবীন্দ্রনাথের রয়েছে অসামান্য অবদান। নিজের গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প ও অসংখ্য গানের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে পরিপূর্ণতা দান করেছেন তিনি। বিশ্বের দরবারে বাঙালিদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেও শিখিয়েছেন কবিগুরু। যার কারণে বাঙালির অস্তিত্বে মিশে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গল্পে, উপন্যাসে, কবিতায়, সুরে ও বিচিত্র গানের বাণীতে, অসাধারণ সব দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ প্রবন্ধে, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতিসংলগ্ন গভীর জীবনবাদী চিন্তা জাগানিয়া লেখায় এমনকি চিত্রকলায়ও রবীন্দ্রনাথ চিরনবীন। প্রথম এশীয় হিসাবে ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
এ সময় কবিগুরুর গান, কবিতা, সাহিত্য মানুষের মনে সাহস জোগায়, মনকে শান্ত করে। রবিঠাকুর বাঙালির মানসপটে সদাই বিরাজমান। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্যে আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু। তার সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা-সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়।
আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তী। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে দিনটি পালিত হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবার জাতীয় পর্যায়ে কবির স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে উদ্যাপন করা হবে জয়ন্তী উৎসব। এ উপলক্ষে কুঠিবাড়িতে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠান। সঙ্গে থাকছে গ্রামীণ মেলার আয়োজন। শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এ আয়োজন শুরু হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ও আগামীকাল শুক্রবার রবীন্দ্র-উৎসব আয়োজন করছে ছায়ানট। ছায়ানট মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবে।
বাংলা একাডেমি সেমিনার ও রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়ে জয়ন্তী উদ্যাপন করবে। একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ মিলনায়তনে আজ সেমিনার শুরু হবে বিকেল ৫টায়। একই আয়োজনে রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বছর রবীন্দ্র পুরস্কার পাচ্ছেন রবীন্দ্রসাহিত্যের গবেষণায় ড. অসীম দত্ত এবং রবীন্দ্রসংগীতচর্চায় শিল্পী এ এম এম মহীউজ্জামান চৌধুরী ময়না।
অনলাইনভিত্তিক শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিবিষয়ক লেখালেখির স্থান লেখালেখির উঠান আয়োজন করেছে মার্ক্স-রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান-গল্প-বই আড্ডা। ধানমন্ডির এনস কিচেনে এটি চলবে ৮, ৯ ও ১০ মে। আয়োজনের প্রথম দিন থাকছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর নিবেদন। শিল্পী লায়েকা বশীরের কণ্ঠে তাঁর প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতের পরিবেশনা। তবলায় সংগত করবেন ভুলু ধর রাজেশ। দ্বিতীয় দিনে থাকছে জাভেদ হুসেনের আলাপন। সমাপনী দিনে থাকছে জাভেদ হুসেন অনূদিত নাটক মার্ক্স ইন সোহোর নির্বাচিত অংশের পাঠাভিনয়। সমাপনী পর্বে থাকছে দুই প্রজন্মের শিল্পীদের পরিবেশনায় সারেঙ্গি বাদন। সারেঙ্গিশিল্পী মতিয়ার রহমান ও তাঁর দুই সন্তান মাহিমা মেহজাবিন এবং ইউসুফ আহমেদের সঙ্গে তবলায় থাকবেন শিল্পী জাকির হোসেন।
নাটকের দল স্বপ্নদল মঞ্চস্থ করবে নাটক ‘হেলেন কেলার’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকটি।