
ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা ইমন চক্রবর্তী সম্প্রতি তাঁর প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম (পিএমএস) নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে খোলাখুলি কথা বলেছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন এবং এর প্রভাব তাঁর দৈনন্দিন জীবনে পড়ছে। ইমন বলেন, “পিএমএস মেয়েদের খুবই গুরুতর সমস্যা। নিজের যত্ন নিন। ধ্যান করুন, ব্যায়াম করুন, ভালো করে খাওয়াদাওয়া করুন। আর যদি কিছু করতে ইচ্ছে না করে, তাহলে দয়া করে কিছু করবেন না কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন, তারপর কাজে ফিরে আসুন। আমি অনেক দিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি এবং জানি, আমি প্রতিবারই এটা সামলে উঠতে পারবো। সকল মেয়েদের জন্য শুভকামনা রইল…”
পিএমএস বা প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম হল এমন কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গের সংমিশ্রণ যা অনেক নারী মাসিকের ১–২ সপ্তাহ আগে অনুভব করেন। মাথাব্যথা, পেটব্যথা, হঠাৎ মন খারাপ, কান্না পাওয়া, বদহজম, হাড় ও পেশীতে ব্যথা ইত্যাদি সাধারণ লক্ষণ। ৯০ শতাংশের বেশি নারীরাই মাসিকের আগে এসব উপসর্গ অনুভব করেন। কারও ক্ষেত্রে উপসর্গ এত তীব্র হয় যে কাজ বা স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। সাধারণত ৩০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ইমন চক্রবর্তীর এই সাহসী প্রকাশে অনেক নেটিজেন সহমত প্রকাশ করেছেন এবং তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, পিএমএস একটি বাস্তব সমস্যা এবং এর প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
একজন মন্তব্য করেছেন: "একদমই ঠিক। বিশেষ করে যদি কারো ডিপ্রেশন থাকে, তাহলে পিএমএস পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে! সাবধান। আলিঙ্গন।"
অন্য একজন লিখেছেন: "আমিও ভুক্তভোগী, খুবই সমস্যা।" আরও একজন বলেন: "পিএমএস সত্যি বড্ড কষ্টের।" আরেক এক নেটিজেন জানিয়েছেন, একই সমস্যায় আমি ভুগেছিলাম, কিন্তু একজন খুব ভালো গাইনোকোলজিস্ট এ বিষয়ে আমাকে পরামর্শ দেন। এরপরই কাটিয়ে উঠেছি। তারপর আমি মেয়ের জন্ম দিলাম — কোনো জটিলতা ছাড়াই।" ইমনের মতো একজন জনপ্রিয় শিল্পীর খোলামেলা আলোচনা সমাজে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো আজও অনেক ক্ষেত্রে লজ্জা বা গোপনীয়তার চাদরে ঢাকা থাকে। কিন্তু যখন একজন পরিচিত মুখ, যিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণা, সেই সমস্যাগুলো নিয়ে সাহস করে মুখ খোলেন, তখন তা অন্য নারীদের জন্যও হয়ে ওঠে এক বড় শক্তি।
আর তাই এই প্রতিক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায়, ইমনের অভিজ্ঞতা ও প্রকাশ অনেক নারীর নিজস্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলে গেছে, এবং তাঁর এই পদক্ষেপে অনেকেই নিজেদের সমস্যাকে স্বীকৃতি জানানোর সাহস পেয়েছেন। পিএমএস নিয়ে সমাজে সচেতনতা ও সহানুভূতির প্রয়োজনীয়তাও এর মাধ্যমে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
পিএমএস বা প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম হল এমন কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গের সংমিশ্রণ যা অনেক নারী মাসিকের ১–২ সপ্তাহ আগে অনুভব করেন। মাথাব্যথা, পেটব্যথা, হঠাৎ মন খারাপ, কান্না পাওয়া, বদহজম, হাড় ও পেশীতে ব্যথা ইত্যাদি সাধারণ লক্ষণ। ৯০ শতাংশের বেশি নারীরাই মাসিকের আগে এসব উপসর্গ অনুভব করেন। কারও ক্ষেত্রে উপসর্গ এত তীব্র হয় যে কাজ বা স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। সাধারণত ৩০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ইমন চক্রবর্তীর এই সাহসী প্রকাশে অনেক নেটিজেন সহমত প্রকাশ করেছেন এবং তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, পিএমএস একটি বাস্তব সমস্যা এবং এর প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
একজন মন্তব্য করেছেন: "একদমই ঠিক। বিশেষ করে যদি কারো ডিপ্রেশন থাকে, তাহলে পিএমএস পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে! সাবধান। আলিঙ্গন।"
অন্য একজন লিখেছেন: "আমিও ভুক্তভোগী, খুবই সমস্যা।" আরও একজন বলেন: "পিএমএস সত্যি বড্ড কষ্টের।" আরেক এক নেটিজেন জানিয়েছেন, একই সমস্যায় আমি ভুগেছিলাম, কিন্তু একজন খুব ভালো গাইনোকোলজিস্ট এ বিষয়ে আমাকে পরামর্শ দেন। এরপরই কাটিয়ে উঠেছি। তারপর আমি মেয়ের জন্ম দিলাম — কোনো জটিলতা ছাড়াই।" ইমনের মতো একজন জনপ্রিয় শিল্পীর খোলামেলা আলোচনা সমাজে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো আজও অনেক ক্ষেত্রে লজ্জা বা গোপনীয়তার চাদরে ঢাকা থাকে। কিন্তু যখন একজন পরিচিত মুখ, যিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণা, সেই সমস্যাগুলো নিয়ে সাহস করে মুখ খোলেন, তখন তা অন্য নারীদের জন্যও হয়ে ওঠে এক বড় শক্তি।
আর তাই এই প্রতিক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায়, ইমনের অভিজ্ঞতা ও প্রকাশ অনেক নারীর নিজস্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলে গেছে, এবং তাঁর এই পদক্ষেপে অনেকেই নিজেদের সমস্যাকে স্বীকৃতি জানানোর সাহস পেয়েছেন। পিএমএস নিয়ে সমাজে সচেতনতা ও সহানুভূতির প্রয়োজনীয়তাও এর মাধ্যমে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।